Long-legged Buzzard
লম্বাপা-তিসাবাজ
লম্বা পায়ের অধিকারী সে। যদিও বাজ পাখিরা দারুণ শিকারে পাখি। লম্বা পা হওয়াতে শিকারে অতিরিক্ত সুবিধাভোগ করে থাকে সে।
ইংরেজি নাম: Long-legged Buzzard
বৈজ্ঞানিক নাম: Buteo rufinus
বর্ণনাঃ
লম্বাপা-তিসাবাজ পাখি লম্বায় প্রায় ৬১ সেন্টিমিটার। প্রসারিত পাখা ১১৫-১৬০ সেন্টিমিটার। পুরুষের তুলনায় স্ত্রী পাখি সামান্য বড়। পুরুষ পাখির ওজন ১১০০ গ্রাম। স্ত্রী পাখির ওজন ১৩০০ গ্রাম। তাদের দেহে কালচে বাদামি আভা রয়েছে। ঘাড়, গলা আর মাথায় হলুদ রঙের ছাপ। লালচে-বাদামি রঙ রয়েছে পেট এবং লেজে। অপরিপূর্ণ বয়ষ্ক পাখিদের দেহ অল্প কালচে রঙের ছাপ রয়েছে।
খাদ্য তালিকাঃ
পাখি, পাখির ডিম, বাচ্চা, ইঁদুর জাতীয় কোনো ছোট সরীসৃপ দেখলে ছোঁ মেরে ধরে খায়। মাছ-ব্যাঙও ধরে খেয়ে থাকে।
স্বভাবঃ
এরা পাহাড়ি এলাকা কিংবা জলাভূমি আশেপাশে বসবাস করে থাকে। শিকারের সন্ধানে চাষাবাদ হয় এমন জমির ওপর চক্কর দিতে দেখা যায়। থাকে অনেক উঁচুতে। সমুদ্রপৃষ্ট থেকে প্রায় তিন হাজার মিটার উচ্চতায়ও এদের নজরে পড়ে। হাওয়ায় ভেসে বেড়াতে পছন্দ করে এরা।
প্রজননঃ
প্রজনন মৌসুম মার্চ থেকে মে। অঞ্চলভেদে প্রজনন মৌসুমের হেরফের রয়েছে। বাসা বাঁধে শিলা পাথুরে এলাকায়। বিশেষ করে পর্বতের কিনারে সামান্য সমান্তরাল জায়গা পেলে এরা বাসা বাঁধে। পুরনো দালান কিংবা উঁচু গাছের মাথায়ও বাসা বাঁধে। চিকন ডালপালা উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করে। ডিমের সংখ্যা ২-৩টি। কখনো কখনো ৩-৫টি ডিম পাড়ে। ডিম ফুটতে সময় লাগে ৩৩-৩৫ দিন।
বিস্তৃতিঃ
এরা আমাদের দেশের সুলভ আবাসিক পাখি হলেও এদের কম দেখা মেলে।এই প্রজাতি দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপ থেকে শুরু করে পূর্ব আফ্রিকা পর্যন্ত ভারতীয় উপমহাদেশের উত্তরাংশ পর্যন্ত বিস্তৃত।