-6310419cba1ea.webp)
ক্ষুদে ঘুঘু-Little brown dove
ক্ষুদে ঘুঘু হল একটি ছোট কবুতর যা আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণ এশিয়া এবং পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার একটি আবাসিক প্রজননকারী পাখি।
ইংরেজি নাম: Little brown dove,laughing turtle dove, palm dove and Senegal dove
বৈজ্ঞানিক নাম: Streptopelia senegalensis
বর্ণনাঃ
ক্ষুদে ঘুঘু একটি লম্বা লেজযুক্ত পাখি এরা সাধারণত ২৫ সেমি (9.8 ইঞ্চি) হয়ে থাকে। মাথা ও ঘাড় গোলাপি-বাদামি। পিঠ বালু মিশ্রিত বাদামি বর্ণ। লেজের বাইরের পালক সাদা। লেজের গোড়া ও কাঁধের পালক ধূসর। ডানার প্রান্ত পালক কালো। ওড়ার পালক কালো। বুক গোলাপি-বাদামি। পেট বালু মিশ্রিত বাদামি। চোখ বাদামি কালো। ঠোঁট শিং কালো। পা গোলাপি লাল। নখর কালো।
স্বভাবঃ
বলা যায় অতি বিরল দর্শন ‘ক্ষুদে ঘুঘু’। দেখতে অনেকটাই তিলা ঘুঘুর মতো। কণ্ঠস্বরও সেরকম। সুরে মাদকতা রয়েছে। বারবার শুনতে ইচ্ছে করে। চেহারা কবুতর আদলের। দেখতে মায়াবী। স্বভাবে শান্ত। পারতপক্ষে নিজেদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদে লিপ্ত হয় না। বিচরণ করে মাঠে-ঘাটে। তবে সেটি অবশ্য শুষ্ক শস্যভূমি হতে হবে। ভেজা বা স্যাঁতসেঁতে এলাকা এদের একদম অপছন্দ। জলপান ব্যতিরেকে জলাশয়ের কাছে ঘেঁষে না। গোসল করে নিয়মিত। তবে গায়ে জলের পরিবর্তে ধূলি ছিটিয়ে গোসল করে। খাদ্যের সন্ধানে বের হয় জোড়ায় কিংবা ছোট দলে। প্রজনন মৌসুমে পুরুষ পাখির হাঁকডাক বেড়ে যায়। তখন ‘কুকু..ক্রো..ক্রো..’ সুরে ডেকে স্ত্রী পাখিকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করে।
প্রজননঃ
প্রজনন মৌসুম নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি। অঞ্চলভেদে প্রজনন মৌসুমের হেরফের রয়েছে। গাছের তেডালে অথবা দালানের ফাঁকে খড়কুটা দিয়ে বাসা বাঁধে। পুরুষরা দিনের বেলায় বাসা তৈরিতে বেশি সময় ব্যয় করে। ডিম পাড়ে ১-২টি। স্ত্রী-পুরুষ উভয়ে পালা করে ডিমে তা দেয়। তাদের মধ্যে এক দিনের ব্যবধানে দুটি ডিম পাড়ে । দ্বিতীয় ডিম পাড়ার পর ডিমগুলো ছিদ্র করা হয় এবং প্রায় ১৩ থেকে ১৫ দিন পর ডিম ফুটে। অল্পবয়স্করা প্রায় ১৪ থেকে ১৫ দিন পর উড়তে শেখে।
খাদ্য তালিকাঃ
শস্যবীজ, ঘাসের কচি ডগা ও মাটি। মাঝেমধ্যে উইপোকা খেতে যায়।
বিস্তৃতিঃ
বাংলাদেশ ছাড়া এদের বৈশ্বিক বিস্তৃতি পূর্ব ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, ইসরাইল, লেবানন, সিরিয়া, তুরস্ক, সংযুক্ত আরব অমিরাত, সৌদি আরব, ইরান পর্যন্ত। আফ্রিকা অঞ্চলেও দেখা যায়।
অবস্থাঃ
আই. ইউ. সি. এন. এই প্রজাতিটিকে Least Concern বা আশংকাহীন বলে ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশে এদের অবস্থা সম্বন্ধে প্রয়োজনীয় তথ্য নেই । বাংলাদেশের ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনে এই প্রজাতিটি সংরক্ষিত।