
Indian Abutilon-দেশি পেটারি
দেশি পেটারি হচ্ছে মালভেসি পরিবারের গুল্ম; যা উষ্ণমণ্ডলীয় এবং উপউষ্ণমণ্ডলীয় অঞ্চলের স্থানীয় উদ্ভিদ। এটিকে মাঝেমাঝে আলংকারিক উদ্ভিদ হিসেবে চাষ করা হয়। এই উদ্ভিদটি প্রায় ভেষজ উদ্ভিদ হিসেবে ব্যবহৃত হয় ।
ইংরেজি নাম: Indian Abutilon বা Indian Mallow
বৈজ্ঞানিক নাম : Abutilon indicum
পরিচিতিঃ
দেশি পেটারির উচ্চতা ৭-৮ ফুট পর্যন্ত উঁচু হতে পারে। তবে গড় উচ্চতা ৪ ফুটের মতো। পেটারির কাণ্ডের রং গাঢ় বাদামী। কাণ্ড ২-৩ ইঞ্চি মোটা হয় এবং কাণ্ড শক্ত ও ভঙ্গুর। কাণ্ডের একেবারে শুরু থেকে ডালপালা বের হয়। এজন্যে পেটারি গাছকে ঝোপালো মনে হয়।
ফুল: পৌষ-ভাদ্র। ফুল হলুদ বর্ণের, পাপড়ি পাঁচটি। ফল গোলাকার, ১০-১৬টি খণ্ডক
ফল: ফলের ওপরে শুয়া আছে। এর আঁশ দিয়ে হালকা জিনিসপত্র বানানো যায়। বীজ থেকে চারা হয়।
পেটারির ভেষজ গুণ
১.দাঁতব্যথা বা মাড়ির প্রদাহে পাতার নির্যাসকে মাউথওয়াশ হিসেবে ব্যবহার করলে উপশম হয়।
২.গনোরয়িা বা মূত্রথলির প্রদাহেও উপকারী। পাতাসিদ্ধ পানি দিয়ে ঘাযুক্ত ক্ষতস্থান পরিস্কার করা যায়।
৩.অর্শজনিত রক্তপাত বন্ধের জন্য পাতা রান্না করে খেলে উপকার হয়।
৪.গাছের নির্যাস শিশুদের নাকের ক্ষত সারাইয়ে ব্যবহার্য।
৫.পেটারির মূল বা মূলের ছাল জ্বর, মূত্রকৃচ্ছ্রতা, অর্শ, গলিত কুষ্ঠ, রক্তপ্রদর ইত্যাদি রোগের চিকিৎসায় কাজে লাগে।
৬.চন্দনঘষা ও চালমুগরা তেল মধুসহ এর শিকড়বাটা শ্বেতিতে লাগালে আরোগ্য হয়।
৭.রক্তবমি ও কফজনিত সমস্যায় ফুলচূর্ণ ঘি-সহযোগে খেলে উপকার পাওয়া যায়।
৮.বীজের শরবত ঠাণ্ডা পানীয় হিসেবে ব্যবহূত হয়।
৯.মূত্রকৃচ্ছ্রতায় পাঁচ গ্রাম পরিমাণ শুকনো পেটারির শেকড় তিন কাপ পানিতে সিদ্ধ করে একে কাপ থাকতে নামিয়ে ছেঁকে ঠাণ্ডা করে দিনে ২-৩ বার করে খেলে উপকার হয়। এসব ছাড়া পেটারি আরও অনেক রোগের মহৌষধ হিসেবে কাজ করে।