সন্ধ্যামালতী বা সন্ধ্যামনি,কৃষ্ণকলি
বৈজ্ঞানিক নাম: Mirabilis jalapa
ইংরেজি নাম: marvel of Peru, four o'clock flower
দুপুর গড়িয়ে চারটে নাগাদ যখন সন্ধ্যার আগমনী প্রহর শুরু হয়, তখনই ফোটে এই ফুল। অবশ্য শীতের সকালেও এর খোঁজ পাওয়া যায়।সন্ধ্যামালতী সবার কাছে খুবই পরিচিত একটি ফুলের গাছ। তবে এটি শুধু যে ফুল ফুটিয়ে শোভা বর্ধন করে তা কিন্তু নয়। এর রয়েছে অনেক ওষুধি গুণও।
সন্ধ্যামালতী বা সন্ধ্যামনির ঔষধি গুনাগুন
(১)সন্ধ্যামালতীর পাতাও খাওয়া যায়, অবশ্য তা কেবল জরুরি প্রয়োজনে রান্না করেই তা সম্ভব। এছাড়া কেক ও জেলী রঙের কাজেও এর রঙ ব্যবহৃত হয়।
(২)সন্ধ্যামালতীর পাতা প্রদাহ কমাতে ব্যবহৃত হয়।
(৩)সন্ধ্যামালতীর ক্বাথ ফোড়া চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়।
(৪)সন্ধ্যামালতী পাতার রস ক্ষতের চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।
(৫)সন্ধ্যামালতীর শিকড়ে রেচক প্রভাব রয়েছে।
(৬)সন্ধ্যামালতী পাতার রস লাগালে আগুনে পোড়ায় উপকার পাওয়া যায়।
(৭)সন্ধ্যামালতীর বীজের চূর্ণ, কিছু প্রজাতের বীজ প্রসাধনী হিসাবে ব্যবহৃত হয় এবং রঞ্জক শিল্পে কাজে লাগে।
(৮)ভারতীয়রা মাথা ব্যথা নিরাময়ে, ক্ষত ধুতে শুকনো ফুলের গুঁড়ো ব্যবহার করে এবং কুষ্ঠেরর মতো ত্বকের চিকিত্সার জন্য মূলের ডিকোশন ব্যবহার করে।
(৯)পেরুতে সন্ধ্যামালতী ফুল থেকে উত্তোলিত রস হার্পিসের ক্ষত এবং কানের জন্য ব্যবহৃত হয়।
(১০)সন্ধ্যামালতী মূল থেকে বের করা রস কানের ব্যথা, ডায়রিয়া, আমাশয়, সিফিলিস এবং লিভারের সংক্রমণের জন্য ব্যবহার করা হয়।
(১১)মেক্সিকোয়, পুরো উদ্ভিদের ডিকোশনগুলি আমাশয়, সংক্রামিত ক্ষত এবং মৌমাছি ও বিচ্ছুর কামড়ে ব্যথা নাশ করতে এর ডাল ব্যবহার করা হয়।
তবে এর বীজগুলি বিষাক্ত হিসাবে বিবেচিত হয়।