-63271db3c7518.webp)
জই এর উপকারিতা
জই হচ্ছে এক ধরনের খাদ্যশস্য যা জই গাছের বীজ থেকে পাওয়া যায়। প্রাণীর খাদ্য হিসেবে জইয়ের বহুল ব্যবহার রয়েছে এবং এটা মানুষের খাওয়ার জন্য উপযোগী। জইয়ে উচ্চ পুষ্টিমান রয়েছে।
ইংরেজি নাম: oat
বৈজ্ঞানিক নাম: Avena sativa
জই এর স্বাস্থ্য উপকারিতা
কোলেস্টেরল কমায়
জইয়ে রয়েছে বিটা গ্লুকান নামক বিশেষ ধরনের ফাইবার যা শরীরে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। প্রতিদিন তিন গ্রাম জই খেলে তা প্রায় আট থেকে দশ শতাংশ পর্যন্ত কোলেস্টেরল কমানোর সহায়ক।
হার্ট ভালো রাখে
জইয়ে রয়েছে বিশেষ এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান যা শরীরের ভালো কোলেস্টেরল মানে এলডিএলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। আর এর ফলে হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে। মোটের উপর ভালো থাকে হার্ট।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে
অতিরিক্ত মানসিক চাপ বা দুশ্চিন্তার কারণে হাইপারটেনশনের ঝুঁকি কমায় জই।
ইমিউনিটি বাড়ায়
জইতে বেটা-গ্লুকোন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বা ইমিউনিটি সিস্টেমকে বৃদ্ধি করে। শরীরে ব্যাকটেরিয়া জনিত ইনফেকশন প্রতিরোধেও সাহায্য করে জই।
ডায়াবেটিস রোগে
ডায়াবেটিস রোগীরাও তাঁদের খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন জই। লো ক্যালোরি ও সুগার ফ্রি হওয়ায় ডায়াবেটিসের রোগীরা অনায়াসেই এটি ব্রেকফাস্টে রাখতে পারেন।
হজমে সাহায্যকারী
হজম ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে জই। যাঁরা কোষ্ঠকাঠিন্য বা হজমের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের জন্য জই দারুণ উপকারী। কেননা এতে থাকা ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। তাছাড়া লিভারের জন্যও ওটস উপকারী।
ওজন নিয়ন্ত্রণ
নিসন্দেহে জই ওজন কমাতে সাহায্য করে। দিনে তিন বেলা জই খাওয়ার অভ্যাস করা যেতেই পারে। জই দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে। কিছুক্ষণ পর পর খাওয়ার চাহিদা কমে যায়।
ত্বকের যত্নে
কলোইডাল ওট এক্সট্রাক্ট ত্বকের মসৃনতা বৃদ্ধিতে, ত্বকের স্বাস্থ্য সুরক্ষা, রুক্ষতা দূরে করে এবং ত্বকের প্রদাহ দূর করতে সহায়তা করে। জই খাওয়ার সাথে সাথে আপনি এটি মুখে বা শরীরের ত্বকে লাগাতে পারেন। এটি ত্বককে আর্দ্রতা প্রদান করে ও ত্বককে করে তুলে নরম ও কোমল। জই অনেক প্রসাধন সামগ্রিতে যেমনঃ ক্লিঞ্জার, মাস্ক, ফেসিয়াল ক্রিমে ব্যবহার করা হয়।
চিন্তা দূর করে
এটি মস্তিষ্কে সেরোটোনিনের মাত্রা বৃদ্ধি করে। সেরোটোনিন হল এমন একটি হরমোন যা ক্ষুধা, ঘুম ও মেজাজ নিয়ন্ত্রণ করে। সেরোটোনিন থাকার ফলে জই চিন্তা বা দুঃখ দূর কমাতে সাহায্য করে। ম্যাগনেসিয়াম গভীর ঘুমের জন্য দায়ী। জইয়ে রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম তাই এটি মনকে শান্ত ও প্রফুল্ল রাখতে সহায়ক ভুমিকা পালন করে।
ক্যান্সার প্রতিরোধ করে
জইতে রয়েছে বিভিন্ন ধরণের অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস, ফাইটোকেমিক্যালস এবং ফাইবার যা ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে; বিশেষ করে কোলোরেক্টাল ক্যান্সার। এর ফাইবার কোলন ও ক্ষুদ্রান্ত্রের সুস্থতা বজায় রাখে এবং কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।