২০২৪ সালের রমজান কত তারিখ | রমজানের সময় সূচি 2024-Ramadan Calendar 2024
মাহে রমজান ২০২৪, হিজরী ১৪৪৫, সেহরী ও ইফতারের সময়সূচি
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে এবার পবিত্র রমজান মাস শুরু হবে আগামী ১২ বা ১৩ মার্চ। তবে রমজান শুরুর সময় ১২ মার্চ ধরে ঢাকার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি নির্ধারণ করেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি ইসলামিক ফাউন্ডেশন ১৪৪৫ হিজরির রমজান মাসের সেহরি ও ইফতারের এ সময়সূচি চূড়ান্ত করে।
আগের যুগে এ সকল ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান যেমনঃ শবে কদর, শবে বরাত , ঈদুল ফিতর,ইদুল আযহা পালন করা হতো চাঁদ দেখে কিন্তু বিজ্ঞানের উন্নতির ফলে এখন আগে থেকেই সব তারিখ দেখা সম্ভব হয় । তাহলে চলুন দেখে নেয়া যাক ২০২৪ সালে কোন মাসে রোজা এবং কোন তারিখে রোজার ঈদ হবে ।
রোজার গুরুত্ব বা ফজিলত মুখে বলে শেষ করা যাবে না । রোজা শব্দের অর্থ হল সিয়াম । ইসলামিক পরিভাষার রোজার সংজ্ঞা হলঃ সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় কোন কিছু পানাহার ও ইন্দ্রিয় তৃপ্তি থেকে বিরত থাকা। প্রত্যেক প্রাপ্ত বয়স্ক মুসলিম নারী এবং পুরুষের রোজা পালন করা ফরজ । রোজা আমাদের অনেক খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখে । তাই আমরা সকলেই রোজা পালন করবো ২০২৪ সালের রোজার সময়সূচী অনুযায়ী ।
পবিত্র মাহে রমযান ১৪৪৫ হিজরি, ১৪১০/১৪২৬ বঙ্গাব্দ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।
জেনে নিন আজকের সেহেরির শেষ সময় এবং ইফতারের শেষ সময়।
১৪৪৫ হিজরি রমযান | ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ মার্চ/এপ্রিল | বার | সেহরির শেষ সময় | ফজরের ওয়াক্ত শুরু | ইফতারের সময় |
০১ | ১২ মার্চ | মঙ্গলবার | ৪-৫১ মিঃ | ৪-৫৭ মিঃ | ৬-১০ মিঃ |
০২ | ১৩ মার্চ | বুধবার | ৪-৫০ মিঃ | ৪-৫৬ মিঃ | ৬-১০ মিঃ |
০৩ | ১৪ মার্চ | বৃহস্পতিবার | ৪-৪৯ মিঃ | ৪-৫৫ মিঃ | ৬-১১ মিঃ |
০৪ | ১৫ মার্চ | শুক্রবার | ৪-৪৮ মিঃ | ৪-৫৪ মিঃ | ৬-১১ মিঃ |
০৫ | ১৬ মার্চ | শনিবার | ৪-৪৭ মিঃ | ৪-৫৩ মিঃ | ৬-১২ মিঃ |
০৬ | ১৭ মার্চ | রবিবার | ৪-৪৬ মিঃ | ৪-৫২ মিঃ | ৬-১২ মিঃ |
০৭ | ১৮ মার্চ | সোমবার | ৪-৪৫ মিঃ | ৪-৫১ মিঃ | ৬-১২ মিঃ |
০৮ | ১৯ মার্চ | মঙ্গলবার | ৪-৪৪ মিঃ | ৪-৫০ মিঃ | ৬-১৩ মিঃ |
০৯ | ২০ মার্চ | বুধবার | ৪-৪৩ মিঃ | ৪-৪৯ মিঃ | ৬-১৩ মিঃ |
১০ | ২১ মার্চ | বৃহস্পতিবার | ৪-৪২ মিঃ | ৪-৪৮ মিঃ | ৬-১৩ মিঃ |
১১ | ২২ মার্চ | শুক্রবার | ৪-৪১ মিঃ | ৪-৪৭ মিঃ | ৬-১৪ মিঃ |
১২ | ২৩ মার্চ | শনিবার | ৪-৪০ মিঃ | ৪-৪৬ মিঃ | ৬-১৪ মিঃ |
১৩ | ২৪ মার্চ | রবিবার | ৪-৩৯ মিঃ | ৪-৪৫ মিঃ | ৬-১৪ মিঃ |
১৪ | ২৫ মার্চ | সোমবার | ৪-৩৮ মিঃ | ৪-৪৪ মিঃ | ৬-১৫ মিঃ |
১৫ | ২৬ মার্চ | মঙ্গলবার | ৪-৩৬ মিঃ | ৪-৪২ মিঃ | ৬-১৫ মিঃ |
১৬ | ২৭ মার্চ | বুধবার | ৪-৩৫ মিঃ | ৪-৪১ মিঃ | ৬-১৬ মিঃ |
১৭ | ২৮ মার্চ | বৃহস্পতিবার | ৪-৩৪ মিঃ | ৪-৪০ মিঃ | ৬-১৬ মিঃ |
১৮ | ২৯ মার্চ | শুক্রবার | ৪-৩৩ মিঃ | ৪-৩৯ মিঃ | ৬-১৭ মিঃ |
১৯ | ৩০ মার্চ | শনিবার | ৪-৩১ মিঃ | ৪-৩৭ মিঃ | ৬-১৭ মিঃ |
২০ | ৩১ মার্চ | রবিবার | ৪-৩০ মিঃ | ৪-৩৬ মিঃ | ৬-১৮ মিঃ |
২১ | ০১ এপ্রিল | সোমবার | ৪-২৯ মিঃ | ৪-৩৫ মিঃ | ৬-১৮ মিঃ |
২২ | ০২ এপ্রিল | মঙ্গলবার | ৪-২৮ মিঃ | ৪-৩৪ মিঃ | ৬-১৯ মিঃ |
২৩ | ০৩ এপ্রিল | বুধবার | ৪-২৭ মিঃ | ৪-৩৩ মিঃ | ৬-১৯ মিঃ |
২৪ | ০৪ এপ্রিল | বৃহস্পতিবার | ৪-২৬ মিঃ | ৪-৩২ মিঃ | ৬-১৯ মিঃ |
২৫ | ০৫ এপ্রিল | শুক্রবার | ৪-২৪ মিঃ | ৪-৩০ মিঃ | ৬-২০ মিঃ |
২৬ | ০৬ এপ্রিল | শনিবার | ৪-২৪ মিঃ | ৪-৩০ মিঃ | ৬-২০ মিঃ |
২৭ | ০৭ এপ্রিল | রবিবার | ৪-২৩ মিঃ | ৪-২৯ মিঃ | ৬-২১ মিঃ |
২৮ | ০৮ এপ্রিল | সোমবার | ৪-২২ মিঃ | ৪-২৮ মিঃ | ৬-২১ মিঃ |
২৯ | ০৯ এপ্রিল | মঙ্গলবার | ৪-২১ মিঃ | ৪-২৭ মিঃ | ৬-২১ মিঃ |
৩০ | ১০ এপ্রিল | বুধবার | ৪-২০ মিঃ | ৪-২৬ মিঃ | ৬-২২ মিঃ |
ঢাকার সময়ের সাথে যেসব জেলার সময় বাড়বে
জেলার নাম | সেহরি | জেলার নাম | ইফতার |
মাদারীপুর | ১ মি. | মানিকগঞ্জ, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, পঞ্চগড়, নীলফামারী, ভোলা | ১ মি. |
মানিকগঞ্জ, ময়মনসিংহ, গোপালগঞ্জ ,বাগেরহাট, ফরিদপুর | ২ মি. | শরীয়তপুর, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, জয়পুরহাট, ফরিদপুর, মাদারীপুর ,বরিশাল | ২ মি. |
শেরপুর, খুলনা, টাঙ্গাইল, নড়াইল | ৩ মি. | নওগাঁ, ঝালকাঠি, গোপালগঞ্জ | ৩ মি. |
সিরাজগঞ্জ, জামালপুর, মাগুরা | ৪ মি. | নাটোর, পাবনা, কুষ্টিয়া, রাজবাড়ী, মাগুরা, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, নড়াইল, বাগেরহাট | ৪ মি. |
পাবনা, ঝিনাইদা, যশোর, সাতক্ষীরা, রাজবাড়ী | ৫ মি. | রাজশাহী, ঝিনাইদহ, যশোর, খুলনা | ৫ মি. |
চুয়াডাঙ্গা, গাইবান্ধা, কুষ্টিয়া, বগুড়া | ৬ মি | চাঁপাইনবাবগঞ্জ, চুয়াডাঙ্গা | ৬ মি |
নাটোর, মেহেরপুর, কুড়িগ্রাম | ৭ মি. | সাতক্ষীরা, মেহেরপুর | ৭ মি. |
রাজশাহী, নওগাঁ, রংপুর, জয়পুরহাট, লালমনিরহাট | ৮ মি | ||
নীলফামারী, দিনাজপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ | ১০ মি | ||
পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও | ১২ মি |
ঢাকার সময়ের সাথে যেসব জেলার সময় কমবে
জেলার নাম | সেহরি | জেলার নাম | ইফতার |
শরীয়তপুর, নর্সিংদি, বরিশাল, পটুয়াখালী, সুনামগঞ্জ | ১ মি. | নোয়াখালী, শেরপুর, জামালপুর, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নর্সিংদি, গাইবান্ধা, কক্সবাজার | ১ মি. |
চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নোয়াখালী | ২ মি. | চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, ফেনী | ২ মি. |
কুমিল্লা, মৌলভীবাজার, ভোলা,হবিগঞ্জ | ৩ মি. | ময়মনসিংহ, বি-বাড়িয়া, কিশোরগঞ্জ | ৩ মি. |
ফেনী, সিলেট | ৪ মি. | রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, নেত্রকোনা, হবিগঞ্জ | ৪ মি. |
খাগড়াছড়ি, চট্টগ্রাম | ৭ মি. | খাগড়াছড়ি | ৫ মি. |
রাঙ্গামাটি | ৮ মি. | সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার | ৬ মি. |
বান্দরবান, কক্সবাজার | ১০ মি. | সিলেট | ৭ মি. |
ইসলামের পাঁচটি ফরজ এর মধ্যে রমজান বা রোজা বা সিয়াম হচ্ছে তিন নম্বর ফরয। রোজা রাখা প্রত্যেক মুসলমানের উপর ফরজ করা হয়েছে। যা প্রত্যেক মুসলমানকে পালন করতে হয়। মূলত হিজরি সনের “রমজান” মাস অনুসারে রমজান বা রোজা পালন করা হয়।
রোজা রাখার নিয়ত
রোজা রাখার জন্য সাহরির পর অন্তরের দৃঢ় সংকল্প করাই নিয়ত।
বহু প্রচলিত রোজার নিয়ত-
- نَوَيْتُ اَنْ اُصُوْمَ غَدًا مِّنْ شَهْرِ رَمْضَانَ الْمُبَارَكِ فَرْضَا لَكَ يَا اللهُ فَتَقَبَّل مِنِّى اِنَّكَ اَنْتَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْم
উচ্চারণ : ‘নাওয়াইতু আন আছুমা গাদাম মিন শাহরি রমাজানাল মুবারাকি ফারদাল্লাকা, ইয়া আল্লাহু ফাতাকাব্বাল মিন্নি ইন্নিকা আংতাস সামিউল আলিম।’
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আগামীকাল তোমার পক্ষ থেকে পবিত্র রমজানের নির্ধারিত ফরজ রোজা রাখার ইচ্ছা পোষণ (নিয়ত) করলাম। অতএব তুমি আমার পক্ষ থেকে (আমার রোজা তথা পানাহার থেকে বিরত থাকাকে) কবুল কর, নিশ্চয়ই তুমি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞানী।
ইফতারের দোয়া
ইফতারের সময় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দোয়া পড়ে ইফতার করা
اَللَّهُمَّ لَكَ صُمْتُ وَ عَلَى رِزْقِكَ وَ اَفْطَرْتُ بِرَحْمَتِكَ يَا اَرْحَمَ الرَّاحِيْمِيْن
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা লাকা ছুমতু ওয়া আলা রিযক্বিকা ওয়া আফতারতু বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমিন।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি তোমারই সন্তুষ্টির জন্য রোজা রেখেছি এবং তোমারই দেয়া রিযিক্বের মাধ্যমে ইফতার করছি।
রোজা ভঙ্গের কারণ
১.সহবাস করা
২.পানাহার করা
৩.ভুল নিয়মে রোজা রাখার নিয়ত পড়া
৪.শিঙ্গা লাগানো বা এমন জাতীয় কোন কাজ করার কারণে রক্ত বের করা
৫.ইচ্ছাকৃতভাবে বমি করলে
৬.মহিলাদের হায়েয ও নিফাসের কারণে রক্ত বের হওয়া
৭.হস্তমৈথুন করা
রোজা নিয়ে প্রশ্নের উত্তর
১: কত বছর বয়স থেকে রোজা রাখা ফরজ?
উওর: সাত বছর বয়স থেকে রোজা রাখা ফরজ এবং সাত বছরের পর থেকে যদি আপনি রোজা রাখেন তাহলে জেনে রাখুন আপনার জন্য সাজার ব্যবস্থা তৈরি হচ্ছে।
২: রোজা অবস্থায় আমি যদি সেক্সুয়াল অ্যাট্রেকশন ফিল করি তাহলে কি রোজা ভেঙে যাবে?
উওর: আপনি যদি নিজেকে সংযত রেখে অন্য দিকে মন নিয়ে যেতে পারেন তাহলে রোজা ভাঙবে না । কিন্তু যদি আপনার গোপন অঙ্গ দিয়ে কোন তরল পদার্থ বের হয়ে আসে তখন আপনার রোজা ভেঙে যাবে।
৩: রোজা থাকা অবস্থায় কি টিভি দেখা যাবে?
উওর: টিভি দেখা যাবে নাচ-গান ব্যতীত সবকিছুই দেখা যাবে। আমি সাজেস্ট করবো ইসলামিক চ্যানেল গুলো দেখার জন্য।
৪: ভুলবশত পানি খেলে কি রোজা ভেঙে যায়?
উওর: আপনি যদি ইচ্ছাকৃতভাবে পানি পান করে থাকেন তাহলে নিশ্চিন্ত থাকুন আপনার রোজা ভাঙ্গে না।
রোযা ভঙ্গের গ্রহণযোগ্য কারণ কি কি?
রোযা ভঙ্গের কারণ সমূহ হচ্ছেঃ
১) অসুস্থতা, ২) সফর। পবিত্র কুরআনে বর্ণিত হয়েছে। আল্লাহ্ বলেন, وَمَنْ كَانَ مَرِيضًا أَوْ عَلَى سَفَرٍ فَعِدَّةٌ مِنْ أَيَّامٍ أُخَرَ আর যে ব্যক্তি অসুস্থ হবে অথবা সফরে থাকবে (সে রোযা ভঙ্গ করে) অন্য দিনে তা কাযা আদায় করে নিবে।(সূরা বাক্বারাঃ ১৮৫)
৩) গর্ভবতী নারীর নিজের বা শিশুর জীবনের আশংকা করলে রোযা ভঙ্গ করবে।
৪) সন্তানকে দুগ্ধদানকারীনী নারী যদি রোযা রাখলে নিজের বা সন্তানের জীবনের আশংকা করে তবে রোযা ভঙ্গ করবে।
৫) কোন বিপদগ্রস্ত মানুষকে বাঁচাতে গিয়ে রোযা ভঙ্গ করা: যেমন পানিতে ডুবন্ত ব্যক্তিকে উদ্ধার, আগুন থেকে বাঁচাতে গিয়ে দরকার হলে রোযা ভঙ্গ করা।
৬) আল্লাহ্র পথে জিহাদে থাকার সময় শরীরে শক্তি বজায় রাখার জন্য রোযা ভঙ্গ করা। কেননা নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মক্কা বিজয়ের সময় ছাহাবীদেরকে বলেছিলেন,إِنَّكُمْ مُصَبِّحُو عَدُوِّكُمْ وَالْفِطْرُ أَقْوَى لَكُمْ فَأَفْطِرُوا আগামীকাল তোমরা শত্রুর মোকাবেলা করবে, রোযা ভঙ্গ করলে তোমরা অধিক শক্তিশালী থাকবে, তাই তোমরা রোযা ভঙ্গ কর।
রোজা সম্পর্কে ৫টি হাদিস-
১) হযরত আবু হুরায়রা (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সো:) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি পরিপূর্ণ বিশ্বাস ও পর্যালোচনাসহ রমজান মাসের সিয়াম পালন করবে, তার পূর্ববর্তী ও পরবর্তী গুণাহ মাফ করে দেওয়া হবে। (সহীহ বুখারী: ৩৮, সহীহ মুসলিম: ৭৬০)
২) হযরত সাহল বিন সা’দ (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সো:) ইরশাদ করেছেন, জান্নাতের একটি দরজা আছে, একে রাইয়ান বলা হয়,। এই দরজা দিয়ে কিয়ামতের দিন একমাত্র সিয়াম পালনকারী ব্যক্তিই জান্নাতে প্রবেশ করবে। তাদের ছাড়া অন্য কেউ এই পথে প্রবেশ করবে না। সেদিন এই বলে আহ্বান করা হবে- সিয়াম পালনকারীগণ কোথায়? তারা যেন এই পথে প্রবেশ করে। এভাবে সকল সিয়াম পালনকারী ভেতরে প্রবেশ করার পর দরজাটি বন্ধ করে দেওয়া হবে। অত:পর এ পথে আর কেউ প্রবেশ করেবে না। (সহীহ বুখারী: ১৮৯৬, সহীহ মুসলিম: ১১৫২)
৩) হযরত আবু হুরায়রা (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সো:) ইরশাদ করেছেন, সিয়াম ঢালস্বরূপ। তোমাদের কেউ কোনোদিন সিয়াম পালন করলে তার মুখ থেকে যেন অশ্লীল কথা বের না হয়। কেউ যদি তাকে গালমন্দ করে অথবা ঝগড়ায় প্ররোচিত করতে চায় সে যেন বলে, আমি সিয়াম পালনকারী। (সহীহ বুখারী: ১৮৯৪, সহীহ মুসলিম: ১১৫১)
৪) হযরত আবু হুরায়রা (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সো:) ইরশাদ করেন, আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, সিয়াম ব্যতীত আদম সন্তানের প্রতিটি কাজই তার নিজের জন্য। কিন্তু সিয়াম আমার জন্য এবং আমিই এর প্রতিদান দেব। সিয়াম ঢালস্বরূপ। তোমাদের কেউ যেন সিয়াম পালনের দিন অশ্লীলতায় লিপ্ত না হয় এবং ঝগড়া-বিবাদ না করে। যদি কেউ তাকে গালি দেয় অথবা তার সঙ্গে ঝগড়া করে, তাহলে সে যেন বলে, আমি সিয়াম পালনকারী। যার হাতে মুহাম্মদের প্রাণ, তার শপথ! অবশ্যই সিয়াম পালনকারীর মুখের গন্ধ আল্লাহর নিকট মিসকের গন্ধের চেয়েও সুগন্ধি। সিয়াম পালনকারীর জন্য রয়েছে দু’টি খুশি, যা তাকে খুশি করে। যখন যে ইফতার করে, সে খুশি হয় এবং যখন সে তার প্রতিপালকের সাথে সাক্ষাৎ করবে, তখন সাওমের বিনিময়ে আনন্দিত হবে। (সহীহ বুখারী: ১৯০৪, সহীহ মুসলিম: ১১৫১)
৫) হযরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সো:) ইরশাদ করেন, তোমাদের নিকট রমজান মাস উপস্থিত। এটা এক অত্যন্ত বরকতময় মাস। আল্লাহ তা’য়ালা এ মাসে তোমাদের প্রতি সাওম ফরজ করেছেন। এ মাসে আকাশের দরজাসমূহ উন্মুক্ত হয়ে যায়, এ মাসে জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং এ মাসে বড় বড় শয়তানগুলোকে আটক রাখা হয়। আল্লাহর জন্যে এ মাসে একটি রাত আছে, যা হাজার মাসের চেয়েও অনেক উত্তম। যে লোক এ রাত্রির মহা কল্যাণলাভ হতে বঞ্চিত থাকল, সে সত্যিই বঞ্চিত ব্যক্তি। (সুনানুন নাসায়ী:২১০৬)