আজ শনিবার বিকেল ৪টার দিকে লালপুরের নাটোর-পাবনা মহাসড়কের কদিমচিলানে
এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত ১৩ জনই লেগুনার যাত্রী ছিলেন। এর মধ্যে যে কজনের
পরিচয় পাওয়া গেছে তারা হলেন- লেগুনার চালক ঠাকুরগাঁওয়ের রহিম আলী (২৮),
নাটোরের বড়াইগ্রাম নারায়ণপুরের রজুফা বেগম (৫০) ও শেফালী বেগম (৪৫),
জামাইদিঘার লগেনা বেগম (৬৫), পাবনা দাশুড়িয়া মিরকামারি গ্রামের শাপলা
আক্তার (২০), টাঙ্গাইল গোপালপুরের রোকন শেখ (২২)।
নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার সীমানা সংলগ্ন লালপুরে যাত্রীবাহী বাস একটি লেগুনাকে ধাক্কা দেওয়ায় দুই শিশুসহ ১৩ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৫ পুরুষ ও ৬ জন নারী। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও ২০ জন।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেলে পাবনা থেকে রাজশাহীগামী চ্যালেঞ্জার পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে বনপাড়া থেকে ঈশ্বরদীগামী লেগুনার সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই এক শিশুসহ ১৩ জন নিহত হয়।
খবর পেয়ে বনপাড়া হাইওয়ে থানা পুলিশ ও নাটোর ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার কাজ শুরু করে। ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে লেগুনার সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটিয়ে পাশের খাদে উল্টে পড়ে। এতে বাসের ২০ যাত্রী আহত হয়। আহত ব্যক্তিদের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ রিপোর্ট লেখার সময় উদ্ধার কাজ চলছে। নিহত ব্যক্তিদের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি। তবে নিহতের অধিকাংশই নাটোর ও পাবনা জেলার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে নাটোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সাধারণ) মো. রাজ্জাকুল ইসলাম ও পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
বনপাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসূন নূর আমাদের সময়কে বলেন, নিহত ৬ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ৩ সদস্যের একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। বিস্তারিত রিপোর্ট পেতে অপেক্ষা করতে হবে।