চরফ্যাসনের দুলারহাট থানার আহাম্মদপুর ইউনিয়নে আমেনা নামের এক গৃহবধূকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে দেবর ও শ্বশুরের বিরুদ্ধে। বুধবার সকালে দুলারহাট থানার আহাম্মদপুর ২নং ওয়ার্ডে ওই গৃহবধুর শ্বশুর বাড়িতে এ নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। এসময় হামলাকারীদের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৩ বছরের শিশু সন্তান ও । খবর পেয়ে গৃহবধুকে উদ্ধারে স্থানীয় দফাদার জসিম উদ্দিন এগিয়ে এলে তাকে ও মারধর করে গুরুতর আহত করা হয়।প্রতিবেশিরা আহত গৃহবধু ও দফাদারকে উদ্ধার করে চরফ্যাসন হাসপাতালে ভর্তি করেন। এঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে গৃহবধু আমেনা জানিয়েছেন। খবর পেয়ে দুলারহাট থানা পুলিশ গৃহবধুকে নির্যাতনকারী শ্বশুর মোতাহার ও দেবর ছগির ও স্থানীয় যুবক আরিফসহ ৩ জনকে আটক করেছেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গৃহবধূ আমেনা অভিযোগ করেন, ৯ বছর পুর্বে পারিবারিক ভাবে তাদের বিয়ে হয়। দাম্পত্য জিবনে তার দুই সন্তান রয়েছে। স্বামী কবির হোসেন ৫ বছর আগে দক্ষিন কোরিয়া চলে যান । গত এক বছর ধরে তার সাথে কোন যোগাযোগ করেন না। স্বামী প্রবাসে থাকার এ সুযোগে শ্বশুর দেবর মিলে তাকে বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন করে আসছে। ঘটনারদিন শ্বশুর মোতাহার ও দেবর ছগির এবং স্থানীয় ভারটিয়া সন্ত্রাসী যুবক আরিফ ও মামুন তার সন্তানদেরকে ঘর থেকে বের করে ঘরের আসবাবপত্র জোর করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এসময় তিনি বাঁধা দিলে তাকে বেধরক মারধর করে গুরুতর আহত করেন। তার চিৎকারে শিশু সন্তানরা এগিয়ে এলে শিশু সন্তানদেরকে ও মারধর করে গুরুতর আহত করেন। প্রতিবেশিরা শিশু সন্তানসহ তাদেরকে উদ্ধার করে চরফ্যাসন হাসপাতালে ভর্তি করেন। এঘটনায় মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে বলে তিনি জানান।
এ ব্যাপারে আহাম্মদপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ফখরুল ইসলাম জানান, এ বিষয়টি দুই মাস আগে শুনেছি। গৃহবধুর দেবর মিজান ও শ্বশুরকে ইউনিয়ন পরিষদে ডেকে গৃহবধুর ওপর কোনো চাপ প্রয়োগ করতে নিষেধ করেছি। তবে আজকের ঘটনাটি খুবই দুঃখ জনক। ঘটনাস্থলে আমার ইউনিয়নের দফাদার মোঃ জসিম উদ্দিন হামলার শিকার হয়েছে। আহাম্মদপুর ইউনিয়নের দফাদার মোঃ জসিম উদ্দিন জানান, আমি সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি আমেনার দেবর ও শ্বশুর মিলে গৃহবধুর ঘর থেকে মালামাল বের করে এবং আমেনাকে মারধর করে। আমি বাধা দেওয়ায় আমার ওপরও হামলা করে। স্থানীয়দের সহায়তায় আমি এবং ওই গৃহবধু আমেনা চরফ্যাসন হাসপাতালে ভর্তি হই। রাত ১০টায় ওসি স্যার আমাকে এবং ঐ গৃহবধু আমেনাকে থানায় আসতে বলে আমি ও গৃহবধু আমেনা থানায় আসি। গৃহবধু আমেনার পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগের প্রস্তুতি চলছে। আমার বিষয়টি ওসি স্যার দেখবে বলছে। এঘটনায় দুলারহাট থানা পুলিশ গৃহবধুর শ্বশুর ও দেবরসহ ৩ জনকে আটক করেছেন।
দুলারহাট থানার উপ-পরিদর্শক মোঃ হেলাল বলেন, ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। দুলারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ ইকবাল হোসেন বলেন, বিষয়টি সমোযতার চেষ্টা চলছে।