চরফ্যাসনের দুলারহাটে অপ্রাপ্ত বয়সের ৯ম শ্রেনীর মাদ্রাসা পড়–য়া ছাত্রী ও কলেজ পড়ুয়া প্রেমিক যুগলকে আটক করে বিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে নীলকমল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর হাওলাদারের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অপ্রাপ্ত বয়স্ক প্রেমিক যুগলকে আটক করেন স্থানীয়রা। পরে ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে উদ্ধারে যান দুলারহাট থানা পুলিশ। কিশোর প্রেমিক শহিদুলকে থানায় আটকের পর ইউপি চেয়ারম্যানের মধ্যস্থায় মুচলেকায় মুক্ত করে নেন তার পরিবার। রাতে ওই অপ্রাপ্ত বয়ষ্ক কিশোর কিশোরীকে ৪ লাখ টাকা দেন মহররে চেয়ারম্যানের মধ্যস্থায় বিয়ে দেন তাদের পরিবার।
স্থানীয় সুত্রে জানাযায়, নীলকমল ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের মোকতারের ছেলে শহিদুল ইসলামের সাথে একই ইউনিয়নের চর যমুনা গ্রামের ৯ম শ্রেনীতে পড়–য়া মাদ্রাসা ছাত্রীর সাথে প্রেম সম্পর্ক গড়ে উঠে। প্রেমের সুত্র ধরে কিশোর শহিদুল ইসলামকে দেখা করতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাড়িতে ডেকে নেন ওই কিশোরী। বিষয়টি আচ করতে পেরে স্থানীয়রা কিশোর -কিশোরী প্রেমিক যুগলকে আটক করে এবং ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে পুলিশে সোপর্দ করেন। দুলারহাট থানা পুলিশ প্রেমিক শহিদুলকে থানায় নিয়ে এলে ও রেখে আসেন কিশোরীকে। রাতে স্থানীয় চেয়ারম্যানের মধ্যস্থতায় কিশোরের পরিবার তাকে মুচলেকায় মুক্ত করে নেন। স্থানীয় চেয়ারম্যনের মধ্যেস্থতায় উভয় পরিবার রাতেই অপ্রাপ্ত ৯ম শ্রেনীতে পড়–য়া কিশোরীর সাথে ওই কিশোরের বিয়ে দেন।
কিশোরীর দাদী ছকিনা বেগম জানান,স্থানীয়রা তাদেরকে আটকের পর ইউপি চেয়ারম্যানের মধ্যস্থতায় ৪ লাখ টাকা দেনমহরে তার নাতনির সাথে কিশোর শহিদুলের বিয়ে পড়ানো হয়। পরে রাতেই ছেলেকে ছেলের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
দুলারহাট থানার এসআই লেলিন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে কিশোরকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এলে অপ্রাপ্ত বয়স্ক প্রেমিক যুগলকে তাদের পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হাওলাদার অপ্রাপ্ত কিশোর- কিশোরীকে বিয়ে দেয়ার বিষয় অস্বাীকার করে তিনি বলেন, লোক মুখে শুনতে পেয়েছি স্থানীয়রা ছেলে মেয়ে দুজনকে আটক করেছে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ তাদেরকে উদ্ধার করেন। পরে কি হয়েছে তার আমার জানানাই।
দুলারহাট থানার ওসি মোঃ মোরাদ হোসেন জানান, ছেলে এবং মেয়ে দুজনই অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় ওই ছাত্রকে তার পরিবারের জিম্মায় রেখে আসা হয়েছে। আর কিশোর শহিদুলকে থানায় এনে তার বাবার জিম্মায় দেয়া হয়েছে। পরে কি হয়েছে তা আমার জানা নাই।