শিরিষ এর উপকারিতা ও ঔষদি গুণাগুণ
শিরিষ হচ্ছে Albizia গণের একটি প্রজাতি। Albizia গণের সকল প্রজাতির সাধারণ নাম শিরিষ হলেও গণের একটি ব্যাপক বিস্তৃত সদস্য হওয়ায় এই গাছের নাম ও শিরিষ হয়েছে। শিরীষ গাছ ছায়াতরু হিসাবে পথের ধারে লাগানো হয়ে থাকে। গাছটি ১৮-৩০ মিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। পাতাগুলো ৭.৫-১৫ সেমি. হয়। ফুলগুলো সাদা। পুংকেশর ২.৫-৩.৮ সেমি. হয়। গাছের ফল ৮-১০ সেমি লম্বা এবং ৪-৬ সেমি চওড়া সাদা চ্যপ্টা শুকনো ফল গাছে ঝুলতে থাকে, ফলের মাঝখানে বোতামের মতো গোল গোল বীজের দাগ থাকে।
স্থানীয় নাম: কড়ই, সৃষ্টিকড়ই, এন্ডিকড়ই
ইংরেজি নাম: Lebbeck, Lebbek Tree, Flea Tree, Frywood, Koko এবং Woman's tongues Tree
বৈজ্ঞানিক নাম: Albizia lebbeck
ব্যবহার
পরিবেশ ব্যবস্থাপনা, পশু খাদ্য, ওষুধ এবং কাঠের জন্য এর চাষ করা হয়। উত্তর এবং দক্ষিণ আমেরিকায় ছায়া দানকারী উদ্ভিদ হিসেবে এর চাষ করা হয়। ভারত এবং পাকিস্তানে এই উদ্ভিদের কাঠ ব্যবহার করা হয়। শিরিষ গাছের কাঠের ঘনত্ব ০.৫৫-০.৬৬ গ্রাম/সেমি.৩ অথবা তারও বেশি।
ভেষজ গুনাগুণ
১.দীর্ঘদিন থেকে একজিমা ও হাঁপানির হাত থেকে নিস্তার পেতে এ গাছের মুলের ছালের চূর্ণ উপকারী।
২.যাঁদের রক্ত দূষিত হয়ে গায়ে কালো দাগ হয়, সে ক্ষেত্রে গাছের ফল বেটে অল্প ঘি মিশিয়ে লাগালে স্বাভাবিক হয়।
৩.বিষাক্ত পোকা-মাকড়ের কামড়ের বিষক্রিয়া নষ্টের জন্য এর ছাল উপকারী।
৪.যদি দাঁত নড়তে থাকে, তা বন্ধেত জন্য ও মাড়ি শক্ত করতে এর ছাল উপকারী।
৫.যাদের ঘুমালে ঘাম হয় (যাকে বলে নৈশ ঘর্ম), এক্ষেত্রেও এর মূলের ছালের চূর্ণ খাওয়ালে কয়েকদিনের মধ্যেই ঘাম কমিয়ে দেয়, অথচ কোনো প্রতিক্রিয়া হয় না; এই ক্ষয় বন্ধ হলে রোগীর দুর্বলতাও কমে যায়।
৬.চোখ ওঠা সমস্যায় শিরীষের বীজ চোখে কাজলের মত ঘসে দিলে চোখ উপকার হয়।