লাল চন্দন গাছের ঔষধি গুণাগুণ
লাল চন্দনকে রক্ত চন্দনও বলা হয়। উইকিপিডিয়াতে এটিকে রঞ্জনা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। লাল চন্দন একটি ভেজষ উদ্ভিদ। এটি Fabaceae পরিবারের একটি উদ্ভিদ। গাছ প্রায় ৪০ থেকে ৫০ ফুট লম্বা হয় । গাছের ছাল প্রায় কালো আভাযুক্ত ধূসর বর্ণের । কাঠ শক্ত, বাহ্যিকভাবে সাদা এবং ভিতরে রক্তবর্ণ। পাতার মাথা কিছুটা চাপা ও চামড়ার ন্যায় শক্ত এবং উভয় দিক গোলাকার এবং নীচের দিকে মসৃণ অস্পষ্ট লোমযুক্ত। পুস্পদন্ড লম্বা এবং চারিদিক ফুল হয়। গ্রীষ্মকালে ফুল ও ফল হয়। চন্দন সাধারণত দুই ধরনের হয়ে থাকে সেতু চন্দন এবং লাল বা লোহিত চন্দন।
লাল চন্দনের বিভিন্ন নাম রয়েছে যেমন- Almugh, Saunderwood, Red Sanders, Red Sanderswood, Coral-wood, Peacock flower fence, Red beadtree,Red Saunders, Rakt Chandan, Red Chandan, Ragat Chandan, Rukhto Chandan।
বৈজ্ঞানিক নাম: Adenanthera pavonina
বিস্তার
এটা ব্রাজিল, বাংলাদেশ, ভারতসহ উপমহাদেশের বিভিন্ন দেশে পাওয়া যায়।
ভেষজ গুণাগুণ
এই গাছটিও ভেষজ গুণে বহুবিধ উপকারী। প্রাচীন কাল থেকেই রূপচর্চার অন্যতম উপাদান উপকরন এই কাঠ। এছাড়াও দামি ভাস্কর্য, বাদ্যযন্ত্র এবং বিলাসবহুল আসবাব পত্রের জন্য এ কাঠ বিখ্যাত।
১.রক্তচন্দন গাছের বীজে রয়েছে স্তন ক্যানসার রোধের উপাদান।
২.লাল চন্দন পরিপাকতন্ত্রের সমস্যা এবং তরল ধারণে চিকিৎসায় সহায়ক।
৩.রক্ত পরিশোধন" জন্য ব্যবহার করা হয় লাল চন্দন।
৪.লাল চন্দন প্রসাবে জ্বালাপোড়া এবং মাথা ব্যথা ও চোখের রোগে উপকারী ।
৫.রক্তচন্দন হৃদরোগে বিশেষ কার্যকারী ।
৬.জ্বর, তৃষ্ণা, পিত্তজ কাশ, দাহ, কৃমি, বাত, রক্তদোষ, ব্রণ, বমন, রক্তপিত্ত, পিত্ত ও চক্ষুরোগ নিবারক ।
৭.রক্তচন্দনের মধ্যে এন্টিসেপটিক, এন্টি ইনফ্ল্যামেটরি, এন্টি এজিং উপাদান রয়েছে যার জন্য ব্রণ, ফোঁড়া, ফুস্কুরি দূর করতে সাহায্য করে।
৮.৪/৫ মিলিগ্রাম পরিমাণ আদা, চন্দন-ঘষা, তন্ডুলোদক, বিহিদানা ভিজান পানি মিশিয়ে মধু সহ খেলে প্রমেহ নিবারিত হয় ।
৯.গরমী ঘা ও গ্যাঙ্গারিন এবং পচা ক্ষতে চন্দন কাঠের গুড়া খুবই উপকারি ।
১০.লাল চন্দন ব্রণ দূর করতে ব্যবহার করা যেতে পারে।
১১.রক্তচন্দন গুড়া রুপচর্চা তে বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। ত্বকের যত্নে রক্ত চন্দন গুড়ার ব্যবহার অপরিসীম। নিয়মিত ব্যবহারের ফলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে। ১ চা চামচ রক্তচন্দের গুড়ার সাথে ১ চা চামচের ৪ ভাগের ১ ভাগ কস্তুরি হলুদ গুড়া নিয়ে তার সাথে পরিমাণ মতো টক দই মিশিয়ে পেষ্ট বানিয়ে সেটি মুখে নিয়ে ১৫-২০ মিনিট রাখতে হবে। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এটি সপ্তাহে ২-৩ব্যবহার করা যাবে।
১২.মূত্র নালীর প্রদাহ, ডায়রিয়া, কাশি ও চামড়ার যাবতীয় সমস্যার কাজে রক্ত চন্দনের ব্যবহার উল্লেখ যোগ্য।