মুচকুন্দ এর ভেষজ গুণাগুণ
মুচকুন্দ বা মুসকান্দা, মুচাকুন্দা, কনক-চাঁপা মালভাসি পরিবারের, Pterospermum গণের একটি এক প্রকারের ঘন পাতাবিশিষ্ট গুল্ম। মুচকুন্দচাঁপা বা মুচকুন্দ বিশাল আকারের বৃক্ষ। এই গাছ উচ্চতায় ৫০ থেকে ৬০ ফুট হয়ে থাকে।
পাতা বেশ বড়, আয়তনে অনেকটা সেগুন পাতার মতো গোলাকার। পাতার আরেকটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল- পাতার একপিঠ উজ্জ্বল সবুজ ও মসৃণ আর অন্যপিঠ রুক্ষ-রোমশ ও সাদাটে ধূসর।
ফুল ফোটার মৌসুম বসন্ত থেকে পুরো বর্ষাজুড়ে। ফুলের কলি আঙুলাকৃতির, দীর্ঘ গোলাকার ও বাদামি-হলুদ রঙের। প্রস্ফুটিত মুচকুন্দের ৫টি মুক্ত বৃত্তাংশ মাংসল ও রোমশ। শুকনো ফুলের গন্ধও অনেকদিন অটুট থাকে। পাপড়ির রঙ দুধসাদা, বেশ কোমল ও ফিতা-আকৃতির। পরাগচক্র সোনালি সাদা, একগুচ্ছ রেশমি সুতার মতো নমনীয় ও উজ্জ্বল।
ফুল ঝরে পড়ার পরপরই আসে ফল। ফল ডিম্বাকৃতির, আকারে কিছুটা বড় ও শক্ত ধরনের।
বৈজ্ঞানিক নাম: Pterospermum acerifolium
ইংরেজি নাম: Oleander, Roseberry Spurge
বিস্তৃতি
ঢাকায় রমনা, বেইলি রোড, বাংলাদেশ শিশু একাডেমি এবং বলধা ও বোটানিক্যাল গার্ডেন। আরও একটি মুচকুন্দ চাঁপার গাছ আছে গফরগাঁও সরকারি কলেজের পুকুরের উত্তরপাড়ে।
ঔষধি গুণ
হাত-পা জ্বালাপোড়া হলে পাতার ডগা ভিজিয়ে রসটুকু খেয়ে নিলে উপকার পাওয়া যায়।
মুচকুন্দ গাছের পাতার রস দুধের সাথে মিলিয়ে গরম করে খেলে আমাশায় ভালো হয়।
মুচকুন্দ গাছের বাকল ও পাতা বসন্ত রোগের মহৌষধ।
বসন্ত রোগ হলে মুচকুন্দ গাছের পাতা থেতো করে সেখানে লাগিয়ে দিলে ভালো হয়।
শ্বেতপ্রদর, টিউমার, আলসার, রক্ত রোগ, পাকস্থলীর যেকোনো ব্যথা, কুষ্ঠব্যাধি এবং দাহ্যতা নিরাময়ে ব্যবহৃত হয়।
চর্মোরোগ হলে মুচকুন্দ গাছের বাকল ও পাতা গরম করে সেই পানি দিয়ে গোসল করলে উপকার পাওয়া যায়।