ঘন্টাপারুল বা ঘন্টাপাটালি গাছের উপকারিতাি
ইংরেজি নাম: weaver's beam tree, mala plasu, muskkakavrksam, maggamaram', manimaram, mushkakavriksham, malamplasu and malamblasu
বৈজ্ঞানিক নাম: Schrebera swietenioides
ঘন্টাপারুল-এর বোটানিক্যাল নাম Schrebera swietenioides. ফ্যামিলী Oleaceae. এই গাছের আর একটি প্রজাতি আছে, তার বোটানিক্যাল নাম s. pubescens Kurz। এটি ভারত, বাংলাদেশ, মায়ানমার, থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া এবং লাওসে পাওয়া যায়। এটি শুষ্ক বন পছন্দ করে। এটি সাধারণত তাঁতীর মরীচি গাছ নামে পরিচিত।
ঘন্টাপারুল একটি মাঝারি আকারের পর্ণমোচী গাছ, যা ২০ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়, যার ছাল ঘন ধূসর। ফুলগুলি হলদে সাদা, বাদামী রঙের। ফুল রাতে সুগন্ধযুক্ত হয়। ফুলের টিউব ফানেল আকৃতির, ৮-১২ মিমি লম্বা। পাপড়িগুলি ৫-৭টি, ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়া, কীলক আকৃতির, ভোঁতা, উপরের দিকে বাদামী। প্রতিটি কোষে ৪ টি বীজ থাকে, দুলযুক্ত, অনিয়মিতভাবে ডিম্বাকৃতি, সংকুচিত, একটি দীর্ঘ ঝিল্লিযুক্ত ডানা তৈরি হয়। তাঁতের রশ্মি তৈরিতে তাঁতিরা কাঠ ব্যবহার করে। ফুলের মৌসুম ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল।
ঔষধি ব্যবহার: শিকড়, বাকল এবং পাতা, ক্ষুধাবর্ধক, হজমকারী, থার্মোজেনিক, আমাশয়, অপসারণকারী, কোষ্ঠকাঠিন্যকারী মূত্রনালীতে অ্যাস্ট্রিঞ্জেন্ট এবং অ্যান্থেলমিন্টিক। ফলগুলি হাইড্রোসিল নিরাময়ে উপকারী বলে জানা গেছে।
ঘন্টাপারুল গাছের ঔষধের জন্য ব্যবহার্য অংশ
পাতা: এটা স্বাদে তিক্ত, অতিশয় কটু,আমাশয় শূল,ক্রিমি,মূত্রকৃচ্ছ,অতিসার,রক্তহীনতা,বাত ও কফজ ব্যাধি এবং গুহ্যদ্বার সংক্রান্ত পীড়ায় ব্যবহার্য।
মূল: কুষ্ঠরোগে ব্যবহার হয়। মূলত্বকের ক্বাথ দিয়ে সরিষার তৈল পাক করে সেই তেল লাগালে দগ্ধব্রণ আরাম হয়।
ফুল: মধুর সঙ্গে খেলে হিক্কা আরাম হয়।
ঘন্টাপারুল বা ঘন্টাপাটালি গাছের উপকারিতা
১.অম্লপিত্তে: পটোল পাতা ঘন্টাপারুলের ক্বাথ ধনে ও শুঠ চূর্ণ সহ পান করলে অম্লপিত্ত থেকে রক্ষা পাওয়া য়ায়।
২.কুন্ঠে: গাছের মূলের ছাল চূর্ণ দ্বারা প্রস্তুত ঘৃত কুষ্ঠ নিবারক। এটি সুশ্রুতের ব্যবস্থা।
৩.মুখরোখ ও গ্রহণীরোগে: ঘন্টাপারুলের গাছের ছালের ছাই বা ভস্ম থেকে ক্ষারপ্রস্তুত পদ্ধতিতে ক্ষার তৈরিকরে সেই ক্ষার ব্যবহার করলে দুটি রোগ সেরে যাবে।
৪. প্রমেহ ও বাতরক্তে: ঘন্টাপারুলের গাছের ছালের ছাই থেকের প্রস্তুত করা ক্ষার ব্যবহার্য ব্যাথানাশের কাজে ব্যবহার হয়।