Brunfelsia
সুষমা, বিচিত্রা গাছ
লিনিয়াস জার্মান ভেষজবিদ অটো ব্রুনফেলস (১৪৮৮-১৫৩৪) এর নাম অনুসারে প্রজাতিটির নামকরণ করেছেন (Brunfelsia)ব্রুনফেলসিয়া।
বৈজ্ঞানিক নাম: Brunfelsia pauciflora
বর্ণনাঃ
বিচিত্রার(ব্রানফেলসিয়ার) আদিনিবাস ব্রাজিল।কাঁটাবিহীন ঝোপলো ছোট গাছ, গুল্ম প্রকৃতির। শোভা বর্ধনকারী এবং কখনও কখনও রাতে সুগন্ধ ছড়ায়। ব্রানফেলসিয়ার প্রায় ৫০টি প্রজাতি রয়েছে। বিশেষ করে ফুলের রং বদলানোর স্বভাব এই ফুলটিকে স্বাতন্ত্র্য দিয়েছে। ফুল ফোটার সময় ফুলের রং থাকে গাঢ় বেগুনি। ধীরে ধীরে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সে রং ফিকে হতে থাকে। হয়ে যায় নীলচে গোলাপি, শেষে হয় সাদা। এই তিন রঙের ফুলই এক গাছে একসঙ্গে থাকে। এ জন্য এ ফুলটির ইংরেজি নাম রাখা হয়েছে yesterday-today-and-tomorrow, বাংলায় দাঁড়ায় আজ-কাল-পরশু। গাছ দুই থেকে আড়াই মিটার লম্বা হয়। ঝোপ প্রায় দেড় মিটার পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। বহু বছর বাঁচে। বছরের সব সময়ই গাছে পাতা থাকে। পাতার ওপর পিঠ গাঢ় সবুজ, নিচের পিঠ হালকা সবুজ।
ষোড়শ শতকে এ ফুলের গণ নাম ব্রানফেলসিয়া রাখা হয়েছে জনৈক জার্মান ভেষজবিদ ওটো ব্রানফেলসের নাম থেকে। লাতিন শব্দ বনোডোরার সঙ্গেও এর সম্পর্ক আছে, যার অর্থ সুমিষ্ট সুগন্ধ।
চাষাবাদঃ
গাছের আগার ডাল কেটে কলম করে এর চারা তৈরি করা যায়। বীজ থেকেও চারা হয়। এই ফুলের গাছ রোদে ভালো হয়। আংশিক ছায়াযুক্ত জায়গাতেও লাগানো যেতে পারে। বাগানে, টবে, ড্রামে ছাদের বাগানে লাগানো যায়। বছরে দুবার অর্থাৎ আগস্ট ও ডিসেম্বর মাসে গাছের গোড়ার মাটিতে জৈবসার দিলে গাছের বৃদ্ধি ও চেহারা ভালো হয়, ফুলও বেশি ফোটে।
বিষাক্ততাঃ
ইউরোপীয় খাদ্য সুরক্ষা কর্তৃপক্ষের ২০১২ সালে প্রকাশিত একটি সংক্ষেপে নির্দিষ্ট ব্রুনফেলসিয়া প্রজাতির শিকড়কে মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক যৌগগুলি হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
প্রজাতি বি গ্র্যান্ডিফ্লোরাতে বিষের লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে মাথা ঘোরা , ক্লান্তি , বমি বমি ভাব , হাইপারসালাইভেশন , পেশীর দুর্বলতা , অলসতা , মুখের স্নায়ু পক্ষাঘাত , মুখের ব্যথা, ফোলা জিহ্বা , হাতের পাতায় অসাড়তা সহ ঝাঁকুনি এবং অসহ্য শীতলতা অনুভূতি) কাঁপুনি এবং ঝাপসা দৃষ্টি । উচ্চতর ক্ষেত্রে, প্রলাপ এবং সম্ভাব্য অন্ধত্ব । আধুনিক প্রতিবেদনগুলি অভিজ্ঞতাটি তুলনামূলকভাবে ধূমপায়ীদের উপরে নিকোটিনের মাত্রাতিরিক্ত মাত্রার প্রভাবের সাথে তুলনা করেছে[৬] ।