কারিপাতা আমাদের অনেকেরই পরিচিত একটি উপাদান। আমরা আমাদের বিভিন্ন রান্নায় স্বাদ এবং ঘ্রাণ বাড়ানোর জন্য কারিপাতা ব্যবহার করে থাকি। কারিপাতার বৈজ্ঞানিক নাম -Murraya koenigii
কারিপাতা এর ইংরেজি নাম -Barsunga জুন-জুলাই মাস কারিপাতা গাছের চারা রোপনের উপযুক্ত সময়।
কারিপাতার উপকারিতা
১.চুলের তেলে কয়েকটি কারি পাতা যোগ করুন তারপর তেল ফুটিয়ে নিন এবং মাথার খুলির উপর এটি লাগান। এটি চুলের স্বাস্থ্যের উন্নতি করবে।কারি পাতা চুলের অকালপক্বতা প্রতিরোধ করে।কারি পাতা চুলের যত্নের জন্য ভাল কাজ করে।
২.কারি পাতা দৃষ্টিশক্তি উন্নতিতে সহায়ক হয়। চোখের ছানি প্রতিরোধ করতে পারে।
৩. এগুলি শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে এবং আপনার শরীরকে চর্বিমুক্ত করতে সাহায্য করে।
৪.এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভালো খাবার। এটি রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। প্রাতরাশে কারি পাতার পাউডার ব্যবহার করা ভালো।
৫.নিয়মিত কারিপাতা খেলে অ্যাসিডিটি নিয়ন্ত্রণ হয়। হজমের সমস্যা, গ্যাস ইত্যাদি সেরে যায়।
৬.লিভারের জন্য কারি পাতা বেশ উপকারি।
৭.কারি পাতা ডায়রিয়ার জন্য ভাল প্রতিকার। ডায়রিয়ার চিকিৎসা করতে, কারি পাতা নিন এবং সরাসরি এর পেস্ট বা রস তৈরি করুন।
৮.যে কোনও আঘাত বা জখম অনায়াসে নির্মূল করতে সাহায্য করে এটি। কারি পাতা সিদ্ধ জল চুলকানি, অল্প পোড়া, ইত্যাদি সারাতে ভালো কাজ দেয়।
৯.কারিপাতা ভিটামিন সি, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি ইনফ্লেমেটারিতে পরিপূরণ থাকায় এটি হার্টের পক্ষে খুব উপকারী। নিয়মিত কারিপাতার রস খেলে হার্টের রোগ প্রতিরোধ সহজ হয়।
১০.কারি পাতা বদহজম এবং বমি বমি ভাবের প্রতিকার করে। কারি পাতা থেকে রস বের করে নিন এবং এটি তাজা লেবুর রস এবং চিনির সঙ্গে মিশ্রিত করুন।
১১.কারি পাতা কেমোথেরাপি এবং বিকিরণ থেরাপির জন্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হ্রাস করতে সাহায্য করে।
১২.কাচা কারি পাতা চিবালে ওজন কমে। খাবারে নিয়মিত কারিপাতা ব্যবহার করল বা নিয়মিত কারিপাতার রস খেলে চর্বি গলে যায়। ওজন কমে।
১৩.ফলিক এবং আয়রনে ভরপুর এই প্রাকৃতিক উপাদানটি শরীরে প্রবেশ করার পর লহিত রক্ত কনিকার মাত্রা এতটাই বাড়িয়ে দেয় যে অ্যানিমিয়ার মতো রোগ বেশিদিন শরীরে থাকার সুযোগই পায় না। প্রতিদিন সকালে একটা খেজুরের সঙ্গে ২টা কারি পাতা খেলেই উপকার পাবেন
১৪.পেটে ব্যথা কিডনির সমস্যার পিছনে অন্যতম কারণ হতে পারে। কারি গাছের বাকল পেটের সমস্যার থেকে ত্রাণ পেতে সাহায্য করে।
১৫.আপনি যদি পিত্তজনিত বমিতে ভুগে থাকেন, তাহলে কারি পাতা আপনার জন্য একটি বিস্ময়কর প্রতিকার হতে পারে।
১৬.গর্ভাবস্থার পরে নারী শরীরে হরমোনের পরিবর্তনের পিছনে এই বমি-বমি ভাব দায়ী। আপনি কারি পাতা সেদ্ধ করা পানি পান করতে পারেন, অস্বস্তি এবং সকালে অসুস্থতা কমানোর জন্য গর্ভবতী নারীদের পক্ষে এটি সত্যিই কার্যকর হতে পারে।
খাদ্য উপাদানঃ
সুগন্ধি মসলা হিসেবে সবুজ পাতা রান্নায় ব্যবহার করা যায়। পাতায় ৬.১% প্রোটিন, ১.০% তেল, ১৬% শ্বেতসার, ৬.৪% আঁশ ও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি (৪ মিলিগ্রাম/১০০গ্রাম পাতা) আছে।
পুষ্টিগুণঃ
কারি পাতায় রয়েছে বিটা-ক্যারোটিন, প্রোটিন, আয়রন, ফলিক এসিড, ভিটামিন সি, বি, এ, ই। এসব কারণে এ পাতা ব্যবহার করে খাবারের পুষ্টিগুণ বাড়ায় এবং এর মাধ্যমে রূপচর্চাতেও বহু উপকার পাওয়া যায়। চকচকে সবুজ কারি পাতা কোলেস্টেরল এবং রক্তের গ্লুকোজের মাত্রার পরিমান ঠিক রাখে।