তোপচিনি
নামঃ বাংলা-তোপচিনি, স্থানীয়-হরিনশুক চীনা, আরবী- খসবুছ চিনি, ফারসী-চূবচীনী, উর্দু- চোব চীনী, হিন্দি- চোম্বচিনি, সংস্কৃতি- চোবচিনি, দীপান্তর বচ। English- China Root,
বর্ণঃ তোপচিনির শেকড় হলদে বা লাল বর্ণের হয়।
গন্ধঃ তোপচিনি বৈশিষ্টপূর্ন স্বাদযুক্ত।
স্বাদঃ তোপচিনি মিষ্টি ও আঠালো স্বাদের হয়।
বিশেষ ক্রিয়াঃ প্রধান অঙ্গসমূহের শক্তিদায়ক এবং রক্তে দুষ্টি জনিত রোগে বিশেষ উপকারী।
তোপচিনির উপকারিতাঃ
১.রক্তদোষ জনিত ফোড়া, অর্বুদ, কুষ্ঠ, সিফিলিস, গনোরিয়া ও গন্ডমালার রোগে এবং শ্বেতকুষ্ঠ রোগে উপকারী।
২.তোপচিনি-রক্ত পরিষ্কারক, হৃদপিন্ড, যকৃত ও মস্তিষ্কের শক্তিকারক এবং প্রফুল্লতা আনয়ন কারক ও জীবনী শক্তিবর্ধক।
৩.বলগম জনিত রোগে উপকারী এবং বলগম জনিত পুরোনো মাথা ব্যথা দূর করে নিদ্রা আনয়ন করে।
৪.এস্তেস্কা লাহমী ও সুয়োলকেনিয়া রোগে এবং চোখের রোগে উপকারী। সওদা জনিত পুরাতন জ্বও, কামলা, শোথ ও পালাজ্বর এবং আফিমের অভ্যাস দূর করে।
৫.বাত ব্যথা, সন্ধি ব্যথা, পক্ষাঘাত, লাকোয়া, রাশা এবং সর্বপ্রকার অম্লজনিত উন্মাদ, মালেখুলিয়া ও মৃগী রোগে উপকারী।
৬.শরীর চিকন করে এবং প্রস্রাব ও ঋতুস্রাব প্রবাহক।
৭.শুক্রকীট ও ডিম্বকোষের বৃদ্ধির মাধ্যমে গর্ভের সঞ্চার করে এবং জরায়ুর বিভিন্ন রোগে ব্যবহৃত হয়।
৮.মূত্রাশয়ের ক্ষত এবং ফোটা ফোটা প্রস্রাব বন্ধ করে। গুহ্যদ্বাওে অর্শ ও ভগন্দও রোগে উপকারী।
৯.পুরাতন মাথা ব্যথায় অন্তমূলের সাথে ব্যবহার করা হয়।
১০.বিকৃত ধাতুকে স্বাভাবিক অবস্থায় আনে এবং চোখের বর্ণ কালো ও উজ্জল করে।
১১.আসামের পার্বত্য জাতিরা তোপচিনির শেকড়ের টাটকা রস ক্ষত ও জনযন্ত্রেও রোগে ব্যবহার করে।
১২.যৌবনের শেষ ভাগে এবং বার্ধক্যেও প্রথমাবস্থায় তোপচিনি ব্যবহারে বিশেষ ফল পাওয়া যায়।
১৩.হাত-পা ব্যথায় তোপচিনির প্রলেপ দিতে হয়।