নামঃ করবী একটি লাল গোলাপী বা সাদা ফুলবিশিষ্ট চিরহরিৎ গুল্ম। এর বৈজ্ঞানিক নাম: Nerium oleander বা Nerium indicum, ইংরেজি নাম: Oleander, অন্যান্য নাম Alheli Extranjero, Baladre, Espirradeira,। গোলাপী রঙের করবী ফুলকে রক্তকরবী বলা হয়।
গাছের বর্ণনাঃ করবী মাঝারি মানের উচ্চতা বিশিষ্ট গুল্ম জাতীয় ফুলগাছ। করবী গাছ উচ্চতায় ১০-১৫ ফুট পর্যন্ত বেড়ে থাকে। গাছের মূলদেশ থেকে বহু শাখা-প্রশাখা বের হয়।
পাতাঃ পাতা চার থেকে ছয় ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা।পাতার মাঝখানের শিরা বেশ শক্ত।পাতার রং গাঢ় সবুজ, চিরল পাতার ফাঁকে উঁকি দেওয়া গাছের শাখা-প্রশাখার অগ্রভাগে অসংখ্য ফুল ফোটে।
ফুলঃ এ ফুলের রয়েছে বাহারি রং। আমাদের দেশে উজ্জ্বল হলুদ, কমলা, গোলাপি ও পাটকিল রঙের করবী ফুল ফুটতে দেখা যায়। ফুটন্ত ফুলগাছ দেখতে অত্যন্ত আকর্ষণীয় ও মনোরম। ফুল শেষে গাছে বীজ হয়।
ব্যবহার্য অংশঃ পাতা এবং মূলের বাকল ।
করবী পাতার উপকারী
১.করবী কচি পাতা ৫০ গ্রাম ছোট ছোট টুকরা করে ১০০ মি.লি. পানি দিয়ে সিদ্ধ করতে হবে। তারপর পানিটা ফুলা যায়গায় লাগাতে হবে। এভাবে কয়েক দিন লাগালে ফুলা সেরে যাবে।
২.করবী গাছের কচি পাতার টাটকা রস চোখে দিলে চোখ ওঠা রোগে আরাম হয়। সারা দিনের মধ্যে মাত্র দু’বার দিলেয় উপকার পাওয়া যাবে।
৩.বিছা ও ভীমরুলে কামড়ালে করবী গাছের কচি পাতাকে সিদ্ধ করে তার পানি দিয়ে আক্রান্ত স্থান ধুয়ে দিলে, বিষ নষ্ট হয় এবং ফোলা-যন্ত্রণাও কমে যায়।
৪.করবী গাছের মূলের ছালের তেল গোসল করার পর লাগালে চর্মরোগে উপকার পাওয়া যায়। এছাড়াও কুষ্ঠ রোগে আক্রান্ত স্থানে একই ঔষধ দিনে দুবার লাগালে উপকার হয়।
৫. করবী গাছের টাটকা শিকড় সামান্য পানি দিয়ে বেটে সেটা কার্বাঞ্চলের ওপর প্রলেপ দিলে তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়। তবে সারতে একটু সময়ও লাগতে পারে। ১০ থেকে ১৫ দিন ধরে প্রতিদিন দিনে একবার করে প্রলেপ দিতে হয়।
৬.অকালে চুল পাকা কমাতে করবীর মুলের ছাল উপকারী।
৭.শুকনো ছাল গুঁড়ো করে মধুর সঙ্গে মিশিয়ে চেটে চেটে খেতে হয়। এতে শরীরের ভেতরের সমস্ত রকম জ্বর জ্বালা দূর হয়।
৮.ব্রণ কমাতে মূলের ছাল বেশ উপকারী।
৯.করবী গাছের শুকনা মূলের গুড়া দেড় গ্রাম ঠাণ্ডা পানির সাথে খেলে গর্ভপাত হয়।
১০.করবী গাছের মূল পরিষ্কার পানির সাথে ঘষে থেঁতো করে পুরুষাঙ্গে লেপন করলে ক্ষত আরাম হয়। লিঙ্গমুণ্ডে ঘা হয় সিফিলিস রোগে আক্রান্ত হলে।