
হিজল মাঝারি আকারের ডালপালা ছড়ানো দীর্ঘজীবী গাছ। হিজল বৈজ্ঞানিক নাম:Barringtonia acutangula এ ছাড়া জলন্ত, নদীক্রান্ত এসব নামেও হিজলগাছ পরিচিত।
বিস্তৃতিঃ হিজল গাছের আদি নিবাস বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়া, মালয়েশিয়া ও অস্ট্রেলিয়া।
আকারঃ
হিজল মাঝারি ধরনের। ডালপালার বিস্তার চারদিকে। সাধারণত জলজ কাদা, পানিতে এই গাছ জন্মে। বীজ থেকে গাছ হয়। উচ্চতা ১০ থেকে ১৫ মিটার।
ফুলঃ
হিজল ফুল ফোটে বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসে। হিজল ফুল দেখতে খুবই সুন্দর। হালকা গোলাপি রঙের ১০-১২ সেমি লম্বা পুষ্পদণ্ডের মাঝে অসংখ্য ফুল ঝুলন্ত অবস্থায় ফোটে। গভীর রাতে ফুল ফোটে, সকালে ঝরে যায়। ফুলে একধরনের মিষ্টি মাদকতাময় গন্ধ আছে।
হিজল গাছের উপকারিতা
১। হিজল পাতার রস খেলে ডায়রিয়া ভালো হয়।
২। যদি পেটে গ্যাস হয়, ঢেকুর উঠে, পেট ফেপে যায় তাহলে হিজল বীজ চূর্ণ করে খেলে উপকার পাওয়া যায়।
৩। বীজ শিশুদের ঠাণ্ডা লাগলে ব্যবহার করা যায়।
৪। হিজল বীজ চূর্ণ করে গরম মসলা সহ খেলে কিছুক্ষনের মধ্যে বমি বমি ভাব কেটে যাবে।
৫। হিজলের বাকল ও ফল বিরোচক এবং নাকের ক্ষতে উপকারী। বীজ শিশুদের ঠাণ্ডা লাগলে ব্যবহার করা যায়।
৬। চোখ উঠলে চোখ লাল হয়, চুলকায়,পানি পড়ে। তাহলে হিজল বীজ নিয়ে পাথরে ঘসে চন্দনের মত চোখের চারি পাশে লাগিয়ে দিলে উপকার পাওয়া যায়।
৭। মাথা ব্যথা ও কপাল যন্ত্রনা হলে হিজল বীজ শুকিয়ে গুড়ো করে দুই চামচ পরিমাণ এক কাপ দুধসহ সকালে এবং বিকেলে খেলে মাথা যন্ত্রনা কমে যায়।
৮। এটি টিউমার প্রতিরোধ করে।