টগর ফুল
নামঃ
বাংলাদেশের সিলেটে একে দুধফুল বলে ডাকা হয়। এছাড়া এর অন্যান্য প্রচলিত নাম কাঠ মালতী, কাঠমল্লিকা।
টগর ঝোপঝাড়বিশিষ্ট চিরহরিৎ গাছ। আগে টগরের উদ্ভিদতাত্ত্বিক নাম ছিল Ervatamia coronaria stapf.। এখন বৈজ্ঞানিক নাম Tabernaemontana divaricata Br., যা Apocynaceae পরিবারের অন্তর্ভুক্ত।
প্রকারভেদঃ
সারা পৃথিবীতে টগরের প্রায় ৪০টির মতো প্রজাতি আছে। বাংলাদেশ ও ভারতে মূলত দুই রকমের টগর পাওয়া যায়।টগর দুই রকম- থোকা টগর ও একক টগর। একটি টগরের একক পাপড়ি, অন্যটির গুচ্ছ পাপড়ি। এদেরকে "বড় টগর" ও "ছোট টগর" বলা হয়।
বিস্তৃতিঃ
সারা পৃথিবীতে এই গণের ৪০ টি প্রজাতি আছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ ও ভারতে ৪টি প্রজাতি পাওয়া যায়। দক্ষিণ আমেরিকা থেকে এই গাছ ভারত উপমহাদেশে এসেছে।
বিবরণঃ
ঝাঁকড়া মাথার জন্য টগর গাছ সুন্দর। ডালগুলোও সোজা ওঠে না, বহু শাখা-প্রশাখা নিয়ে ঝোঁপের মতো বাগানের শোভা বাড়ায়। সুন্দর করে ছেঁটে দিলে চমৎকার ঘন ঝোঁপ হয়। বাংলাদেশের বনে-বাদাড়ে টগর এমনিতেই জন্মে। টগরের কাণ্ডের ছাল ধূসর। গাছের পাতা বা ডাল ছিঁড়লে সাদা দুধের মতো কষ ঝরে বলে একে "ক্ষীরী বৃক্ষ" বলা যায়। পাতা ৪-৫ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা ও এক দেড় ইঞ্চি চওড়া হয়। পাতার আগা ক্রমশ সরু। ফুল দুধ-সাদা। সারা বছর ফুল ফোটে। থোকা টগরের সুন্দর মৃদু গন্ধ হয় কিন্তু একক টগরের গন্ধ নেই। ফুল থেকে ফলও হয়। তার মধ্যে ৩ থেকে ৬ত টি বীজ হয়। বড় টগরের বোঁটা মোটা এবং একক ফুল হয়। পাতাও একটু বড়।
টগর ফুলের উপকারিতা
টগর ফুলে কৃমি ও চুলকানি দূর হয়।
ঘামাচিতে টগরের কাঠ ঘষে প্রতিদিন চন্দনের মতো গায়ে মাখলে উপকার হয়।
টগরের কাঁচা ডাল চিবিয়ে দাঁতের অসুখ সারায়