পরিচিতিঃ
নল রাস্না একটি ভূমিজ অর্কিড। পাহাড়ে জন্মে এ অর্কিড। রাস্নার বৈজ্ঞানিক নাম arundina graminifolia।
বর্ণনাঃ
উদ্ভিদ বহুবর্ষজীবী, স্থলজ বীরুৎ। কাণ্ড ১০০ সেন্টিমিটােরর বেশি লম্বা। ঘাসসদৃশ অনেক পাতাবিশিষ্ট। পাতা ও গাছ দেখতে নল ঘাসের মতো।
ফুলটির ছড়াগুলো প্রায় ৩-৪ হাত পর্যন্ত লম্বা হয়। এক জায়গা থেকেই ১০-১৫টি ছড়া বের হয়। যখন ফুল হয় তখন কোন পাতা থাকেনা। যখন পাতা থাকে তখন কোন ফুল থাকেনা। যখন বীজ হয় তখন কোন ফুল থাকেনা। বর্ষাকাল আসলেই পাতা গজাতে শুরু করবে।” ফুলের রঙ হালকা গোলাপী ও বেগুনী রঙের সংমিশ্রণ। চার-পাচঁটি পাপড়িযুক্ত।
উৎপত্তিঃ
আসাম, বাংলাদেশ, পূর্ব হিমালয়, ভারত, মালদ্বীপ, নেপাল, শ্রীলংকা, আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ, মায়ানমার, থাইল্যান্ড, লাউস, মালয়েশিয়া, বর্ণী, জাভা, সুমাত্রা, অস্ট্রেলিয়া।
বিস্তৃতিঃ
এটি বাংলাদেশের রাঙামাটি, বান্দরবান, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি ও সিলেট জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে আছে।
রাস্না গাছের উপকারিতা
আদিবাসীরা রাস্নার শিকড় দিয়ে পেস্ট তৈরি করে বাত ও ব্যথা নিরাময় করে।
সর্প দংশনের চিকিৎসায় শিকড়ের নির্যাস ব্যবহার করা হয়।
শরীরের চর্ম রোগ দূর করার জন্য রাস্নার শিকড় উপকারি। এটি তৈরি করার জন্য রাস্নার পাশাপাশি মেহেদী গাছের ছাল, ঢারু হরিত্রা ফল, স্থল পদ্ম ফুল, মশুরের ডাল একসাথে পেস্ট করতে হয় এবং সারা শরীরে অথবা যে অংশে চর্মরোগ আছে সেই স্থানে ১০-১৫ মিনিট মেখে রাখতে হয়
রাস্নার শিকড়ের নির্যাস রূপ চর্চার জন্য ব্যবহার করা হয়।