
পরিচিতিঃ
স্থানীয় নাম: বুল খুরিয়া, নূনে শাক, বুল খুরিয়া; বৈজ্ঞানিক নাম : Portulaca oleracea এটি একটি বর্ষজীবী, রসাল, গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ। পাতা তেলতেলে এবং রসালো। পাতা গাঢ় সবুজ রংয়ের।
কাণ্ড মসৃণ, লাল রঙ বা লালচে সবুজ, মাটিতে বিস্তৃত কাণ্ড ও ডাল পালা পর্যান্বিত পাতা গিঁটে গিঁটে এবং ডগায় সাজানো। হলুদ রঙের ফুল ৬ মিলিমিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। বৃষ্টিপাতের ওপর নির্ভর করে বছরের যে কোনো সময় ফুল ফোটে।পাতা গুচ্ছের মাঝখানে একটি করে ফুল ফোটে। সূর্যের অলো বিকশিত হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরে ফুল ফোটে।ফল পাকার পরে ফেটে বীজ ঝরে পড়ে। লম্বা শিকড় মাটির গভীরে প্রবেশ করে এবং খরার সময় টিকে থাকে।
পুষ্টিগুণঃ
এতে খনিজ পদার্থের মধ্যে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনিসিয়াম, পটাশিয়াম এবং আয়রন। এর পাতায় রয়েছে কার্বোঅক্সালিক এসিড, অক্সালিক এসিড, সোডিয়াম,ভিটামিন-এ, ভিটামিন-সি, ভিটামিন-ই, থাইয়ামিন, রিবোফ্লাভিন, ক্যারোটিনসহ অন্যান্য প্রয়েোজনীয় উপাদান।এ শাকে যথেষ্ট পরিমানে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড আছে। প্রতিগ্রামে ০.০১ মিলিগ্রাম ইকোচ্যাপেনটানিক এসিডও রয়েছে।
নুনে শাকের ঔষধি গুন
১.এত রয়েছে ওমেগা-৩ এর মতো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাটি এসিড যা হার্টের জন্য খুবই উপকারী।
২.নুনে শাকে রয়েছে ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনিসিয়াম যা শরীরের হাড়কে মজবুত করে।
৩. নুনে শাকে রয়েছে পটাশিয়াম যা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে।
৪.এ শাক যকৃৎ, স্পিলিন, কিডনি সম্যসায় উপকারী।
৫.ডায়াবেটিস ও এ্যাজমা রোগীদের পথ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয় নুনে শাক।
৬.চোখ উঠলে চোখে ময়লা জমে চোখ খোঁচা খোঁচা ভাব হয়। তাহলে নুনে শাকের রস দিলে সমস্যা দূর হয়ে যায়।
৭.নুনে শাকের রস হালকা গরম করে বাচ্চাদের খাওয়ালে কাশি ভালো হয়।
৮.নুনে শাকের রস কিছুক্ষণ মুখে ধরে রেখে ফেলে দিবেন এভাবে কিছুদিন ব্যবহার করলে তোতলামি ভালে হবে।
৯.গনোরিয়া রোগের ভেষজ চিকিৎসায় নুনে শাক উপকারি।
১০.বিষাক্ত কোন কিছু লেগে গা চুলকালে নুনে শাক বেটে উষ্ণ করে প্রলেপ দিলে জ্বালা ও চুলকানি ভালো হয়।
১১.নুনে শাকের রস হালকা গরম করে মধুর সাথে মিশিয়ে সকাল বিকেল খেলে আমাশয় ভালো হয়।
আপনার মতামত লিখুন