পরিচিতিঃ
ক্ষেতপাপড়া ৬০০০ ফুট উচু পার্বত্য প্রদেশেও জন্মে। পথে, ঘাটে, মাঠে, বাগানে, দেয়ালে, ফুটপাথে সর্বত্রই জন্মায়। এই গাছ গুলি ৩/৪ ইঞ্চি থেকে ২ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়। শাখা প্রশাখাগুলি ২ থেকে ৩ ইঞ্চি লম্বা থাকে।
পাতাগুলি পাতলা, লম্বাটে ও ডিম্বাকৃতি,২২ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হয়। ছোট ছোট ফলগুলি একত্রে ৩ থেকে ৪টি ততোধিকও হয়,ফল গোলকার,তার মধ্যে বীজ থাকে। বীজের মাধ্যমে বংশবিস্তার হয় আর খুব দ্রুত বাড়ে বলে এদের সবখানে দেখা যায়।
ক্ষেতপাপড়া এর ভেষজ গুনাগুণ
১.ক্ষেতপাপড়ায় ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, সোডিয়াম ও পলিস্যাকারাইড আছে। ক্যালসিয়াম আমাদের হাড় ও দাঁত মজবুত করে।
২.কাঁচা ক্ষেত পাপড়া শাকের মতো রান্না করে খেলে যে কোন জ্বরে উপকার পাওয়া যায়।
৩.১৫ গ্রাম কাঁচা ক্ষেতপাপড়া কাঁচা গাছ দুই কাপ গরম পানিতে আধাঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে ছেঁকে নিন। তারপর খেলে ডায়রিয়া ও আমাশয় ভালো হয়ে যাবে।
৪.রক্ত দূষণ হলে ক্ষেত পাপড়া পানিতে ফুটিয়ে সেই পানি সেবন করতে হবে। তাহলে রক্তজনিত যে কোন চর্মরোগ ভালো হয়।
৫.হাত-পায়ে জ্বালাপোড়া করলে শুকনো ক্ষেতপাপড়া কিছুক্ষণ পানিতে সিদ্ধ করে খেলে উপকার পাওয়া যায়। সকালে ও বিকেলে দুবার পান করুন। কয়েক দিনের মধ্যে হাত-পা জ্বালাপোড়া দূর হয়ে যাবে।
৬.ক্ষেতপাপড়া ব্লাডপ্রেশার নিয়ন্ত্রণ করে
৭.ক্ষেত পাপড়ার ক্বাথ বের করে মধু সহ খেলে বমি ভালো হয়ে যায়।
৮.পটাসিয়াম শরীরে পানির ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করে এবং শক্তি উৎপাদন করা এনজাইমগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করে। ঘুম বাড়ায় ও স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
৯.মুথা ও মাংসপেশি ও হরমোনের কার্যকারিতায় সাহায্য করে।র ক্বাথ খেলে অতিসার রোগে ভালো ফল পাওয়া যায়।
১০.ক্ষেত পাপড়া মাংসপেশি ও হরমোনের কার্যকারিতায় সাহায্য করে।
১১.স্নায়বিক ইনফরমেশন পরিবহনে স্নায়ুতন্ত্রকে বিশেষ সহায়তা করে।
১২. ১০ গ্রাম কাঁচা ক্ষেতপাপড়া ৩ কাপ পানিতে সিদ্ধ করে সকাল ও বিকেলে দুবার খেলে কাশি কমবে।
১৩. শরীরে ভিটামিন শোষণে সহায়তা করে।