-632722d8721ca.webp)
দোপাটি ভেষজ গুনাগুণ
দোপাটি হচ্ছে Balsaminaceae পরিবারের ইম্পেসেন্স গণের একটি সপুষ্পক বর্ষজীবী বিরুৎ। এটি উচ্চতায় ২0-৭৫ সেমি লম্বা হয়। এটি পুরু হয় কিন্তু ডাটা নরম। পাতাগুলি সর্পিল ও গভীরভাবে দাগযুক্ত, ২.৫ -৯ সেমি লম্বা এবং ১-২.৫ সেমি বিস্তৃত। ফুলের রং গোলাপী, লাল, ফিকে লাল, বেগুনি অথবা সাদা এবং ফুলের ব্যাস ২.৫-৫ সেমি। মৌমাছি এবং অন্যান্য পোকামাকড় দ্বারা পরাগায়ন হয়।
বৈজ্ঞানিক নাম: Impatiens balsamina
ইংরেজি নাম: Garden Balsam, Lady Slipper, balsam, rose balsam, touch-me-not বা spotted snapweed
বিস্তৃতি
দোপাটি দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা, মায়ানমার পর্যন্ত বিস্তৃত।
ভেষজ গুনাগুণ
শ্বাসকষ্টের সমস্যায়
অনেকেই বর্ষা পড়লে শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভোগেন। তাঁদের জন্য কিন্তু বেশ উপকারী এই দোপাটি। দোপাটি ফুলের মূল শুকিয়ে গুঁড়ো করে নিতে হবে। এবার তা মোটা ছালের মধ্যে পুরে চুরুট হিসেবে বানিয়ে খেলে শ্বাসকষ্টের সমস্যার সমাধান হয়। যাঁদের ক্রনিক অ্যাজমা রয়েছে তাঁরাও উপকার পাবেন।
অর্শ্ব রোগ হলে
দোপাটি গাছের পাতা প্রথমে সিদ্ধ করে নিতে হবে। এবার এই পাতা খেলে আপনার অর্শ্ব রোগ ভালো হয়ে যায়।
জ্বর ও সর্দি-কাশিতে
দোপাটির মূল সিদ্ধ করে নিন। এবার তা ছেঁকে নিয়ে চাল ধোওয়া জলের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। এভাবে খেতে পারলে জ্বর কমে।
পেট পরিষ্কার করতে
যাঁরা নিয়মিত ভাবে অর্শ্বর সমস্যায় ভোগেন তাঁরা দোপাটির পাতা সিদ্ধ করে খান। এতে উপকার পাবেন। মলত্যাগে কোনও কষ্ট হবে না। সেই সঙ্গে পেটো থাকবে পরিষ্কার।
বদহজম ও কোষ্ঠকাঠিন্যে
কোরিয়ায় এই গাছের ফুল ব্যবহার হয় ব্যাপক ভাবে। তারা বদহজম কমাতে ও কোষ্ঠকাঠিন্য সারাতে এই গাছের ফুল প্রয়োগ করে থাকে।
হাতে-পায়ে জ্বালা থাকলে
কোথাও কেটে গেলে পা পুড়ে গেলে সেই স্থানে যগি সঙ্গে সঙ্গে দোপাটি পাতা ঘষে দিতে পারেন তাহলে উপকার পাওয়া যায়। বছরের পর বছর ধরে কিন্তু চলে আসছে এই টোটকা। দোপাটি পাতা যে কোনও ক্ষতস্থানে ঘষলে রক্তপাও বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়াও দোপাটি ফুলের নির্যাস কাজ করে অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে। আয়ুর্বেদ ওষুঝ তৈরিতে তা ব্যবহার করা হয়।
শ্বেতী রোগ হলে
অনেকেরই শ্বেতির সমস্যা রয়েছে। তাঁরা যদি দোপাটি গাছের ছাল বেটে নিয়ে নিয়মিত ভাবে ত্বকে লাগাতে পারেন তাহলেও উপকার পাবেন। সমস্যা কমবে অনেকটাই।