পরিচিতি :
হলদে-সোনালি রঙের পরজীবী উদ্ভিদ স্বর্ণলতা। গ্রামগঞ্জে এটি শূন্যলতা বা অলোকলতা নামেও পরিচিত। নরম, সরু ও মূল-পাতাহীন এই লতার বৈজ্ঞানিক নাম Cuscuta reflexa। ছোট ও মাঝারি উচ্চতার গাছে জড়িয়ে থাকতে দেখা যায় এ লতা।
হলুদ, কমলা ও লাল রঙের বিভিন্ন প্রজাতি আছে। এ পর্যন্ত প্রায় ১৭০ প্রজাতির লতার সন্ধান পাওয়া গেছে। অন্য গাছের ওপর নির্ভর করেই এরা বেড়ে ওঠে। শাখা লতার মাধ্যমে পোষক গাছকে খুব কম সময়ে জড়িয়ে ফেলতে পারে। পোষক গাছের কাণ্ডে নিজের কাণ্ড গেঁথে তার সাহায্যে খাদ্য সংগ্রহ করে। অনেক সময় পোষক গাছের মৃত্যুও ঘটায় এ লতা। তাই উপকারী গাছে এদের বেড়ে উঠতে দেওয়া হয় না। শীতের সময় সাদা রঙের ফুল ফোটে। ফুল থেকে ফল হয়, ফল থেকে বীজ পেয়ে আবার বংশ বিস্তার করে।
এদের বীজ ও কাণ্ড বিভিন্ন রোগের ওষুধ হিসেবেও ব্যবহার করা হয়। যেমন-
অরুচি ভাব দূর হয় :
কারও মুখে অরুচি দেখা দিলে বা খেতে ইচ্ছা না করলে স্বর্ণ্লতা সিদ্ধ করে সেই পানি সেবন করলে অরুচি ভাব কেটে যায়।
মুখের ঘা সারাতে :
মুখে ঘা হলে স্বর্ণ্লতা সিদ্ধ করে সেই পানি দিয়ে কুলকুচি করলে ঘা দ্রুত ভালো হয়।
বায়ুনাশে সমস্যা হলে :
পেটের বায়ুনাশে সমস্যা দেখা দিলে স্বর্ণ্লতার বীজ চূর্ণ্ করে খেলে উপকার পাওয়া যায়।
কৃমি ভালো হয় :
স্বর্ণ্লতা গাছ থেকে বীজ সংগ্রহ করে সেই বীজ চূর্ণ্ করে খেলে কৃমি ভালো হয়।
ক্ষত দ্রুত ভালো হয় :
ক্ষতে স্থানে স্বর্ণ্লতা পিষে প্রলেপ দিলে ক্ষত দ্রুত ভালো হয়।
জন্ডিস ভালো হয় :
প্রথমে স্বর্ণ্লতা সংগ্রহ করে থেতো করতে হবে। এবার থেতো করে সেবন করলে জন্ডিস রোগ ভালো হয়।
সাম্প্রতিক মন্তব্য
#ফখরুজ্জামান খান
সকলের জানা দরকার।#m abdul malik
আগেকার দিনের সেই স্বর্ণলতা এখন আর গ্রাম শহরে পাওয়া যায় না যদি পাইতাম তাহলে অনেক উপকার হত।