পেয়ারার পুষ্টিগুণ
Nutritional value of guava

পেয়ারার পুষ্টিগুণ

Nutritional value of guava

পরিচিতিঃ

পেয়ারা এরা Myrteae পরিবারের সদস্য। পেয়ারার প্রায় ১০০টিরও বেশি প্রজাতি আছে। মেক্সিকো, মধ্য আমেরিকা, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া প্রভৃতি স্থানে পেয়ারা বেশি জন্মে। দেশী ফলগুলোর মধ্যে পেয়ারা পুষ্টিগুণে ভরপুর, বেশ সুস্বাদু এবং জনপ্রিয় একটি ফল। সাধারণ এবং সহজলভ্য এই ফলটির পুষ্টিগুণ অনেক। 

ইংরেজি নাম: Guavas

বৈজ্ঞানিক নাম: Psidium guajava

পুষ্টিগুণঃ

একটি পেয়ারায় ৪টি কমলালেবুর সমান পুষ্টিগুণ, বিশেষ করে ভিটামিন সি রয়েছে। একটি পেয়ারায় রয়েছে চারটি আপেল ও চারটি কমলালেবুর সমান পুষ্টিগুণ। এতে আছে প্রচুর পরিমাণ পানি, ফাইবার, ভিটামিন এ, বি, কে, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, প্রোটিন ও খনিজ পদার্থ। পেয়ারা ভিটামিন সি–এর ভালো উৎস। এতে ২১১ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি পাওয়া যায়। প্রতি ১০০ গ্রাম পেয়ারাতে রয়েছে- খাদ্যশক্তি ৬৮ কিলোক্যালরি, আমিষ ২.৫৫ গ্রাম, শর্করা ১৪.৩ গ্রাম, ফাইবার ৫.৪ গ্রাম, কোলেস্টেরল ০ মিলিগ্রাম, চর্বি ০.৯৫ গ্রাম, ভিটামিন এ ৬২৪ আইইউ, ভিটামিন সি ২২৮ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ৪১৭ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ১৮ মিলিগ্রাম, সোডিয়াম ২ মিলিগ্রাম, ম্যাগনেসিয়াম ২২ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ১১ মিলিগ্রাম, লৌহ ০.২৬ মিলিগ্রাম, জিংক ০.২৩ মিলিগ্রাম, লাইকোপেন ৫২০৪ মাইক্রোগ্রাম।

Nutritional value of guava

১.পেয়ারা ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের সাথে লড়াই করে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

২.পেয়ারাতে পাওয়া যায় ভিটামিন বি৩ এবং ভিটামিন বি৬ যা কিনা ব্রেনের রক্ত সঞ্চালনকে ভাল রাখতে সাহায্য করে।

৩.পেয়ারায় থাকা ভিটামিন ‘এ’ চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়ায় ও রাতকানা রোগ থেকে বাঁচায়।

৪.পেয়ারা ওজন কমাতে সাহায্য করে। এ ছাড়া এই ফলের রস সর্দি-কাশি, কোষ্ঠকাঠিন্য ও আমাশয়সহ পেটের অসুখ সারাতে  খুব ভালো কাজ করে। 

৫.পেয়ারা ডায়াবেটিস রোগীর জন্য খুবই উপকারী এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

৬.ক্যানসার প্রতিরোধেও পেয়ারা খুব ভালো কাজ করে। অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট, লাইকোপেন, ক্যানসার কোষের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে পারে এই ফল। প্রোস্টেট ও স্তন ক্যানসার প্রতিরোধে পেয়ারা খুবই উপকারী।

৭.যদি কেউ পেয়ারার পাতা চিবিয়ে রস খান, তাহলে তাঁর পিরিয়ডের ব্যথা দ্রুত সময়ে উপশম হতে পারে।

৮.পেয়ারায় প্রচুর পরিমাণ পানি থাকে, যা ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। ত্বকের রুক্ষ ভাব দূর করে ও শীতে পা ফাটা রোধ করে। তারুণ্য ধরে রাখে দীর্ঘদিন।

৯.পেয়ারাতে ম্যাগনেসিয়াম থাকার কারণে এটি মাংশপেশিকে এবং নার্ভকে রিলাক্স রাখতে সাহায্য করে।আর তাই অনেক কাজ শেষে অথবা অনেকে স্ট্রেস নেয়ার পর একটি পেয়ারা খেয়েই আপনি আপনার এনার্জি লেভেলকে পারেন বাড়াতে ।

১০.পেয়ারার পাতায় আছে এন্টি-ইনফ্লামেটরি গুণ এবং খুব শক্তিশালি এন্টিব্যাক্টেরিয়াল ক্ষমতা আছে যা কিনা ইনফেকশনের সাথে যুদ্ধ করে এবং জীবানূ ধবংস করে। আর তাই পেয়ারার পাতা দাঁত ব্যথার জন্য খুব ভাল একটি ওষুধ,যা কিনা আপনি ঘরে বসেই দূর করতে পারবেন।

বেলের ১৫টি গুনাগুণ ও উপকারিতা

ব্রোকলির স্বাস্থ্য উপকারিতা
নাক ডাকার কারণ ও সমাধান
আতা ফলের পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা
আলকুশী বীজের ১৫টি উপকারিতা
মিষ্টি আলুর স্বাস্থ্য উপকারিতা
হরতকি খেলে কী কী উপকার হয়-What are the benefits of taking chebulic myrobalan
মেষশৃঙ্গ গাছের উপকারিতা
পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর ১০টি ঘরোয়া উপায়
বাজারের সেরা ময়েশ্চারাইজার ২০২৩-best moisturizer on the ২০২৪
রোজা রাখলে শরীরে যেসব উপকার হয়- ramadan benefits the body