চাপালিশ কাঠাল-Monkey Jack
Artocarpus lacucha

চাপালিশ কাঠাল-Monkey Jack

চাপালিশ Moraceae পরিবারের আর্টোকারপাস গণের একটি বৃহৎ ও পাতাঝরা বৃক্ষ। নির্বিচারে গাছ কাটার ফলে প্রাকৃতিক অবস্থায় চাপালিশের বংশবৃদ্ধি সীমিত হয়ে গেছে।

বাংলা নাম: চাম কাঁঠাল’ চাম্বল, চাম্বুল, চাম, কাঁঠালি চাম্বুল ইত্যাদি।

ইংরেজি নাম: Lakoocha or Monkey Jack tree

বৈজ্ঞানিক নাম: Artocarpus chama

বর্ণনাঃ

চাপালিশ উঁচু পত্রঝরা গাছ, ৩০ মিটার পর্যন্ত উঁচু হতে পারে। ডাল ভাঙলে দুধের মতো ল্যাটেক্স বের হয়। গাছের কচি কাণ্ড রোম দিয়ে ঢাকা। বোঁটাযুক্ত, উপপত্র বড় এবং এটি কাণ্ডকে ঘিরে রাখে। চারা, চারার চেয়ে বড় গাছ এবং নতুন ডগার পাতা অনেক বড়। আবাসস্থল পত্রঝরা এবং চিরহরিৎ বন। 

চাপালিশ ফলঃ

ফুল ও ফল আসে এপ্রিল থেকে আগস্টে। এই গাছের ফল দেখতে ছোট আকারের কাঁঠালের মতো। চাপালিশ গাছের ফল খাওয়া যায়। স্বাদে হালকা টক-মিষ্টি। বীজ আগুনে পুড়িয়ে খাওয়া যায়। স্বাদে আনেকটা চীনা বাদামের মতো। ফল হাতির খুবই প্রিয় খাবার।

ব্যবহারঃ

চাপালিশগাছের কাঠ হলুদাভ বাদামি, শক্ত, মজবুত ও মসৃণ। দীর্ঘস্থায়ী ও টেকসই বলে এই কাঠ বেশ মূল্যবান। এই কাঠ দরজা-জানালা, আসবাবপত্র ও রেলপথের স্লিপার তৈরিতে বেশি ব্যবহৃত হয়।

চাষাবাদঃ

বন এলাকায় প্রাকৃতিকভাবে চাপালিশের বীজ থেকে চারা ও গাছ জন্মায়। জুন-জুলাই মাসে সংগৃহীত পরিপক্ব ফল পাঁচ-ছয় দিন রেখে দিলে পচে যায়। এ অবস্থায় পানিতে ধুয়ে বীজ বের করে বপন করলে অঙ্কুরোদগম হয়। চারা গজাতে সময় লাগে ৭ থেকে ১৫ দিন।

বিস্তৃতিঃ

বাংলাদেশ ছাড়াও ভারতের সিকিম, আসাম ও আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ, ভুটান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, চীন, লাওস, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় এই গাছ জন্মে।

অবস্থাঃ

বর্তমানে বিভিন্ন প্রয়োজনে নির্বিচারে গাছ কাটার ফলে প্রাকৃতিক অবস্থায় চাপালিশের বংশবৃদ্ধি সীমিত হয়ে গেছে।

কালমেঘ পাতার ১৫ টি উপকারিতা
শরিফা ফলের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ
অপরাজিতা গাছের গুনাগুন
দৌম গাছের ঔষধি গুনাগুন - Medicinal properties of doum palm
জয়ন্তী বৃক্ষের ভেষজ গুণাগুণ
বিশল্যকরণী গাছের উপকারিতা
সুষমা, বিচিত্রা গাছ-Brunfelsia
ঢেঁড়সের পুষ্টিগুণ
চা পাতা ও ফুল-tea leaves and flowers
গোয়ালে লতার ভেষজ গুণাগুণ - Herbal properties of Cayratia