সীতাকুণ্ড দর্শনীয় স্থান সমূহের তালিকা ২০২৩-List of Sitakunda Attractions 2023
ভ্রমণপিপাসুদের জন্য চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড যেমন আকর্ষণীয় তেমনই রোমাঞ্চকর। এ কারণেই পর্যটকদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষস্থানে আছে সীতাকুণ্ড। সেখানে গেলে পাহাড়, সমুদ্রসৈকত, মন্দির, ঝরনা, ট্রেইল, ট্রেকিং ঝিরিপথ, কৃত্রিম লেক প্রকৃতির সব বিস্ময়কর রূপ উপভোগ করতে পারবেন।
কর্মব্যস্ত জীবনে অনেকেই বেশ কয়েকদিন হাতে নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার সময় পান না। এমন মানুষেরা ডে লং টুর বা একদিনেই ভ্রমণের জন্য বিভিন্ন গন্তব্যের খোঁজ করেন। তাদের জন্য চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড ভ্রমণ হতে পারে সেরা বিকল্প।
সীতাকুণ্ড দর্শনীয় স্থানসমূহ
সীতাকুণ্ডে অনেক দর্শনীয় স্থান রয়েছে । একদিনে যেহেতু এগুলো ভ্রমণ করা সম্ভব নয়, তাই আপনি ২-৩দিন সময় নিয়ে সবগুলো স্থান ভ্রমণ করতে পারেন। সীতাকুণ্ড গেলে আপনি যেসব স্থান ভ্রমণ করতে পারবেন, সেগুলো নিয়ে নিচে বিস্তারিত ধারণা পেয়ে যাবেন।
কুমিরা ঘাট
সুপ্তধারা – সহস্রধারা ট্রেইল
হরিণমারা হাঁটুভাঙ্গা ট্রেইল
কুমারীকুন্ড
বাঁশবাড়িয়া সমুদ্র সৈকত
কমলদহ ঝর্ণা
ছাগলকান্দা ঝর্ণা
সহস্রধারা ঝর্ণা
উপরোক্ত স্থানগুলো ছাড়াও আরও সীতাকুণ্ড দর্শনীয় স্থান রয়েছে অনেক। আপনি এগুলো ভ্রমণ করতে পারেন। চলুন তবে, সীতাকুণ্ড দর্শনীয় স্থানসমূহ নিয়ে আর বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।
বাঁশবাড়িয়া সমুদ্র সৈকত
চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ড উপজেলার গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকত এর নিকটেই বাঁশবাড়িয়া সমুদ্র সৈকত অবস্থিত। সীতাকুণ্ড উপজেলা প্রাকৃতিক ভাবে অনেক সৌন্দর্যে ভরপুর হওয়ার কারণে ভ্রমণ পিপাসু মানুষের অনেক আকর্ষণের একটি জায়গা। চট্টগ্রাম শহর থেকে ২৫ কিঃমি উত্তরে একটি ছোট্ট বাজারের নাম বাঁশবাড়িয়া বাজার। এই বাজারের মাঝে দিয়ে ১৫ মিনিটের রাস্তা হাঁটলেই পৌঁছানো যাবে বাঁশবাড়িয়া সমুদ্র উপকুলে। বাঁশবাড়িয়া সমুদ্র সৈকতের বিশেষ একটি দিক হচ্ছে, আপনি প্রায় আধা কিলোমিটার এর মতো রাস্তা সমুদ্রের উপর দিয়ে হাঁটতে পারবেন। রাস্তার মতো একটি ব্রিজ রয়েছে, যেখানে সমুদের পানি এসে আছাড় খায়। হাঁটার সময় মনে হবে পানির উপর দিয়ে হাঁটছেন।
বাঁশবাড়িয়া সমুদ্র সৈকতে রয়েছে বিশাল বড় একটি বালির মাথ, রয়েছে ঝাউ বাগানের সারি সারি ঝাউ গাছ। সীতাকুণ্ড দর্শনীয় স্থানসমূহ ভ্রমণ করার সময় অন্যান্য জায়গার মতো বাঁশবাড়িয়া সমুদ্র সৈকত ঘুরতে পারেন। হাতে সময় থাকলে ২-৩ দিনে পুরো সীতাকুণ্ড দর্শনীয় স্থান গুলো ভ্রমণ করতে পারবেন। গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকত এবং বাঁশবাড়িয়া সমুদ্র সৈকত প্রায় কাছাকাছি অবস্থিত। তাই, একসাথে দুইটি জায়গা ভ্রমণ করতে পারবেন।
আরো পড়ুন: চট্রগ্রামের দর্শনীয় স্থান
কীভাবে যাবেন?
ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের বাসে গেলে সীতাকুণ্ড নামা যায়। চট্টগ্রাম শহরের অলঙ্কার মোড় থেকেও বাসে আসা যায়। জনপ্রতি ভাড়া ৩০-৪০ টাকা। সিএনজি চালিত অটো রিকশা নিয়েও যেতে পারেন চট্টগ্রাম শহর থেকে। ভাড়া পড়বে ৩০০-৪০০ টাকা।
চট্টগ্রাম থেকে সীতাকুন্ড
চট্টগ্রাম থেকে সিএনজি বা অটোরিক্সা রিজার্ভ নিয়ে সীতাকুণ্ডে আসতে ভাড়া লাগবে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। আর বাসে করে যেতে চাইলে আপনাকে চট্টগ্রাম নগরীর অলংকার, এ কে খান মোড় অথবা কদমতলী যেতে হবে। লোকাল বাসে সীতাকুণ্ড যেতে পারবেন ৪০- ৮০ টাকা ভাড়ায়।
আরো পড়ুন: ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম ট্রেনের সময়সূচী
সর্বমোট ভ্রমণ খরচ
ঢাকা থেকে সীতাকুণ্ড বাস ভাড়া ননএসি ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকা এবং এসি ১১৫০ থেকে ১৩০০ টাকা। কমলাপুর থেকে মেইল ট্রেনে ভাড়া পড়বে ১২০ টাকা।
সীতাকুণ্ড সদরে রাত্রিযাপনের জন্য একাধিক মাঝারি মানের হোটেল রয়েছে। উন্নতমানের হোটেলে থাকতে চাইলে যেতে হবে চট্টগ্রাম শহরে। নীচে কয়েকটি বাজেট হোটেলে নাম ঠিকানা দেয়া হলোঃ
১. হোটেল প্যা রামাউন্ট, স্টেশন রোড, চট্টগ্রাম। ভাড়াঃনন-এসি সিঙ্গেল ৮০০ টাকা, ডাবল ১৩০০ টাকা, এসি ১৪০০ টাকা ও ১৮০০ টাকা ।
যোগাযোগ : ০৩১-২৮৫৬৭৭১, ০১৭১-৩২৪৮৭৫৪।
২. হোটেল এশিয়ান এসআর, স্টেশন রোড, চট্টগ্রাম। ভাড়া : নন এসি : ১০০০ টাকা, নন এসি সিঙ্গেল। এসি : ১৭২৫ টাকা ।
যোগাযোগ: ০১৭১১-৮৮৯৫৫৫।
৩. হোটেল সাফিনা, এনায়েত বাজার, চট্টগ্রাম। একটি পারিবারিক পরিবেশের মাঝারি মানের হোটেল । ভাড়া : ৭০০ টাকা থেকে শুরু । এসি ১৩০০ টাকা ।
যোগাযোগ: ০৩১-০৬১৪০।
৪. হোটেল নাবা ইন, রোড ৫, প্লট-৬০, ও আর নিজাম রোড, চট্টগ্রাম। যারা নাসিরাবাদ/ও আর নিজাম রোড এলাকায় থাকতে চান তাদের জন্য আদর্শ । ভাড়া : ২৫০০/৩০০০ টাকা ।
যোগাযোগঃ০১৭৫৫ ৫৬৪৩৮২
৫. হোটেল ল্যান্ডমার্ক, ৩০৭২ শেখ মুজিব রোড, আগ্রাবাদ, চট্টগ্রাম। ভাড়া-২৩০০/৩৪০০ টাকা যোগাযোগ: ০১৮২-০১৪১৯৯৫, ০১৭৩১-৮৮৬৯৯৭।