ওডভার মুনক্সগার্ড পার্ক,রাজশাহী-Oddvar Munksgaard Park,Rajshahi
ওডভার মুনক্সগার্ড পার্ক রাজশাহী শহরে অবস্থিত একটি উন্মুক্ত বিনোদন কেন্দ্র। পদ্মা নদীর পাশে অবস্থিত হওয়ায় এটি পদ্মা গার্ডেন নামেও পরিচিত। রাজশাহী শহরের প্রাণকেন্দ্র সাহেব বাজারের সন্নিকটে পদ্মার কোলঘেষে তৈরি হয়েছে পদ্মা গার্ডেন। মূলত রাজশাহী শহরের মূল অংশটি পদ্মা নদীর পাশেই অবস্থিত। আর পদ্মা নদীর পাশ দিয়ে তৈরি হয়েছে কয়েক কিলোমিটার দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট বিনোদন কেন্দ্র যার মধ্যে পদ্মা গার্ডেন অন্যতম। এই উন্মুক্ত বিনোদনকেন্দ্র টিকে ঘিরে গড়ে উঠেছে নানা হোটেল, রেস্টুরেন্ট।
পদ্মা নদীর পাশে অবস্থিত সবুজে ঘেরা জায়গাটির জন্য এটির নাম হয়েছে পদ্মা গার্ডেন। বর্তমানে এখানে দর্শনার্থীদের জন্য ওয়াইফাই এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখানে ছোট পরিষরে একটি মুক্তমঞ্চ রয়েছে যেখানে প্রতিদিনই নানা সামাজিক অঙ্গসংগঠন তাদের অনুষ্ঠান করে থাকে। পদ্মা গার্ডেন থেকে পশ্চিম দিকে হাঁটলেই পাবেন হযরত শাহ মখদুম (রা:) মাজার।মাজার পার হয়ে কয়েক মিনিট পশ্চিম দিকে হাঁটলে আপনারা দেখতে পাবেন রবীন্দ্র মুক্ত মঞ্চ তার পাশেই গড়ে উঠেছে বি জি বি ক্যাম্প নিয়ন্ত্রিত সীমান্ত নোঙ্গর যা সবই পদ্মা নদীর কোল ঘেঁষে অবস্থিত।
রবীন্দ্র মুক্ত মঞ্চে প্রতিদিন নানারকম মনমুগ্ধকর অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। এখান থেকেই সূর্য অস্ত যাওয়ার লোভনিয় দৃশ্য লুফে নিতে পারেন খুব সহজে।মুক্ত মঞ্চ থেকেই বিভিন্ন মানের নৌকা পাওয়া যায় নদীর মাঝখানে জেগে ওঠা চরে যাওয়ার জন্য। নৌকায় যাতায়াত ভাড়া ২০ টাকা। প্রতি শুক্রবার ও বিভিন্ন সরকারি ছুটির দিনে পদ্মা নদীর চর ও পদ্মা গার্ডেন বিনোদনপ্রেমীদের ভিড়ে মুখরিত থাকে। দেশের নানা প্রান্ত থেকে ভ্রমণ পিপাসু মানুষ এই রাজশাহী অঞ্চলে ঘুরতে আসলে পদ্মা নদীর চর ও পদ্মা গার্ডেন যোগ করতে পারেন তাদের ভ্রমণ তালিকায়
কিভাবে যাবেন
ঢাকার মহাকালী, আব্দুল্লাহপুর, গাবতলী ও কল্যাণপুর থেকে গ্রীন লাইন, একতা এবং দেশ ট্রাভেলসের এসি বাস ৯০০ থেকে ১২০০ টাকা ভাড়ায় রাজশাহীর উদ্দেশ্যে যাতায়াত করে। আর শ্যমলি, হানিফ, ন্যাশনাল ট্রাভেলস, বাবলু এন্টারপ্রাইজ প্রভৃতি নন-এসি বাস ৬০০ থেকে ৭৫০ টাকা ভাড়ায় চলাচল করে।
ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশান থেকে রবিবার ব্যতীত সপ্তাহের ৬ দিন দুপুর ২ টা ৪৫ মিনিটে সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেন রাজশাহীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। এছাড়া পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেন মঙ্গলবার ছাড়া প্রতিদিন রাত ১১ টায়, ধুমকেতু এক্সপ্রেস বৃহস্পতিবার ব্যতীত সকাল ৬ টায় ও বনলতা এক্সপ্রেস শুক্রবার ব্যতীত দুপুর ১ টা ৩০ মিনিট এ রাজশাহীর জন্য ঢাকা ত্যাগ করে। এসব ট্রেনে শ্রেনীভেদে ভাড়া শোভন চেয়ার ৩৪০-৩৭৫, স্নিগ্ধা ৬৫৬-৭২৫, এসি সিট ৭৮২-৮৬৫ এবং এসি বার্থ ১২২৩ টাকা।
আকাশ পথে রাজশাহীতে যেতে চাইলে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স ও নভোএয়ার এর বিমানে ৩৫০০ থেকে ৪০৯৯ টাকায় ভ্রমণ করতে পারবেন।
কোথায় থাকবেন
রাজশাহী শহরে বিভিন্ন মানের হোটেল আছে। রাজশাহী চিড়িয়াখানার পাশে আছে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের মোটেল (০৭২১-৭৭৫২৩৭)।
ঢাকার পর্যটন করপোরেশনের প্রধান কার্যালয় (০২-৮৮৩৩২২৯, ৮৮৩৪৬০০) থেকেও এ হোটেলের বুকিং দেওয়া যায়।
বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের মোটেলের সিঙেল এসি রুম ১ হাজার ৯শ’ টাকা, এসি ডাবল রুম ২ হাজার ৬শ’ টাকা, সুইট ৪ হাজার ৬শ’ টাকা।
রাজশাহী শহরের অন্যান্য হোটেলগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো –
গণকপাড়ায় হোটেল নাইস ইন্টারন্যাশনাল (০৭২১-৭৭৬১৮৮)
শিরোইলে হোটেল হকস্ ইন্ (০৭২১-৮১০৪২০)
সাহেব বাজারে হোটেল মুক্তা ইন্টারন্যাশনাল(০৭২১-৭৭১১০০)
বিন্দুর মোড়ে হোটেল ডালাস ইন্টারন্যাশনাল (০৭২১-৮১১৪৭০)
মালোপাড়ায় হোটেল শুকরান (০৭২১-৭৭১৮১৭) ইত্যাদি। এসব হোটেলে ৫শ’ থেকে ৩ হাজার ৫শ’ টাকায় কক্ষ আছে।