কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী ২০২৩-Kurigram Express Train Schedule 2023
কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস (ট্রেন নং ৭৯৭/৭৯৮) বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃক পরিচালিত বাংলাদেশের একটি আন্তঃনগর ট্রেন। এটি ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ও কুড়িগ্রামের কুড়িগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের মধ্যে চলাচল করে। ট্রেনটি যাত্রাপথে নাটোর, বগুড়া, জয়পুরহাট, দিনাজপুর ও রংপুর জেলাকে সংযুক্ত করেছে।
কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ঢাকা ও কুড়িগ্রাম জেলার মধ্যে চলাচলকারী প্রথম আন্তঃনগর ট্রেন। ২০২০ সালের ১৬ই অক্টোবর ট্রেনটি উদ্বোধন করা হয়, এবং এর পরের দিন থেকে ট্রেনটি রেলসেবায় যুক্ত হয়। কুড়িগ্রাম জেলার নাম অনুসারে ট্রেনটির নামকরণ করা হয়। ঢাকা-কুড়িগ্রাম রুটে যাত্রীবাহী ট্রেন হিসেবে একমাত্র কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস চলাচল করে। ট্রেনটির বেজ কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন।
কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনের বগি ও সিট সংখ্যা
এই ট্রেনের বগি রয়েছে ১৪টি, ২ টি সিনিগ্ধা, ১ টি এসি ৮টি শোভন চেয়ার এবং ট্রেনের মাঝামাঝি স্থানে একটি পাওয়ার কার রয়েছে। ট্রেনটির কার্ড যুক্ত ২টি খাবার বগি রয়েছে। ট্রেনটিতে ডাবল সিঙ্গেল কেবিন এর সুবিধা রয়েছে। ঢাকা যাওয়ার সময় এর আসন সংখ্যা ৬৫৭ টি। বিভিন্ন ক্ষেত্রে অতিরিক্ত বগি সংযোজন করা হয়। নামাজের জন্য আলাদা জায়গা বরাদ্দ রয়েছে। মালামাল পরিবহন বহনের জন্য বড় স্টেশন গুলিতে রয়েছে কুলির ব্যবস্থা।
কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেসট্রেনের খাবার ব্যবস্থা
আন্তঃনগর ট্রেনগুলোতে খাবারের গাড়ি সংযোজন করা থাকে। এখানে বার্গার, স্যান্ডউই্, রুটি চা কফি, সিদ্ধ ডিম, কাবাব সিঙ্গারা-সামুচা নানান ধরনের কোমল পানি ও মিনারেল ওয়াটার পাওয়া যায় এছাড়া দৈনিক পত্রিকা ও ম্যাগাজিন পাওয়া যায়।
কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী
ট্রেনে ভ্রমণের সময় সূচি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। একটি ট্রেন এক স্টেশন থেকে দিনে একবারই ছাড়ে। কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস নামের আন্তঃনগর ট্রেনটির অনেক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনটির ট্রাক গেজ ১০০০ মিটার। কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনটি সপ্তাহের ছয়দিন চলাচল করে। একদিন চলাচল বন্ধ রাখে । ওই ছুটির দিনটি হচ্ছে বুধবার। বুধবার ট্রেনটি যাতায়াত বন্ধ রাখে। কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকা থেকে ছাড়েন ২০:৪৫ মিনিটে এবং কুড়িগ্রাম গিয়ে পৌঁছায় ৬:১৫ মিনিটে। একইভাবে কুড়িগ্রাম থেকে ছাড়ে ০৭:১৫ মিনিটে ও ঢাকা গিয়ে পৌঁছায় ১৭:২৫ মিনিটে। আপনাদের সুবিধার্থে কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী নিচে টেবিল আকারে দেওয়া হল।
স্টেশনের নাম | ছাড়ায় সময় | পৌছানোর সময় | ছুটির দিন |
ঢাকা টু কুড়িগ্রাম | রাত ০৮: ৪৫ মিনিট | সকাল ৬:১৫ মিনিট | বুধবার |
কুড়িগ্রাম টু ঢাকা | সকাল ০৭:১৫ মিনিট | বিকাল ০৫:২৫ মিনিট | বুধবার |
কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনের বিরতিস্থান ও সময়সূচী
কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকা টু কুড়িগ্রাম কুড়িগ্রাম টু ঢাকা রুটে চলাচল করে। এই যাত্রায় কোন কোন স্টেশনে বিরতি রাখেন সেটি তুলে ধরবো এখানে। কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনটি ভ্রমণ দূরত্ব ৪৫৪ কিলোমিটার। ৪৫৪ কিলোমিটার যাত্রা করতে কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনের গড় সময় লাগে ৯ ঘণ্টা ৫০ মিনিট। আর এই ৯ ঘণ্টা ৫০ মিনিটের যাত্রায়, কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনটি আটটি স্টেশনে বিরতি রাখেন। বিরতি স্টেশনের নাম ও সময়সূচী নিজের টেবিলে দেওয়া হল।
বিরতি স্টেশন নাম | ঢাকা থেকে (৭৯৭) | কুড়িগ্রাম থেকে (৭৯৮) |
বিমান বন্দর | রাত ৯: ১২ | বিকাল ০৪: ৫০ |
মাধনগর | রাত ০১: ২৬ | দুপুর ১২: ১০ |
সান্তাহার | রাত ০২: ০৫ | সকাল ১১:৩৫ |
জয়পুরহাট | রাত ০২: ৫০ | সকাল ১০: ৪৯ |
পার্বতীপুর | ভোর ০৪: ০০ | সকাল ০৯: ৩০ |
বদরগঞ্জ | ভোর ০৪: ২৭ | সকাল ০৮: ৫৭ |
রংপুর | ভোর ০৪: ৫৫ | সকাল ০৮: ২৬ |
কাউনিয়া | ভোর ০৫: ১৯ | সকাল ০৮: ০৪ |
ঢাকা টু কুড়িগ্রাম ট্রেনের মূল্য তালিকা
ঢাকা থেকে কুড়িগ্রাম রুটে চলাচল করার জন্য আপনি ট্রেনের বিভিন্ন ধরনের আসন পাবেন। আসনের ধরন অনুযায়ী আপনি টিকিট ক্রয় করবেন সে, ক্ষেত্রে টিকিটের মূল্য ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। ঢাকা টু কুড়িগ্রাম রুটে চলাচল করার জন্য একজন যাত্রী সাধারণ শোভন চেয়ার হতে শুরু করে লাগজারি এসি কেবিন পর্যন্ত পেতে পারে। তাই আমি এই রুটে চলাচলকারী ট্রেন গুলোর টিকিট মূল্য যুক্ত করলাম।
আসন বিভাগ | টিকেটের মূল্য (১৫% ভ্যাট) |
শোভন চেয়ার | ৫১০ টাকা |
প্রথম সিট | ১০১৫ টাকা |
এসি সিট | ১০১০ টাকা |
এসি বার্থ | ১৫৭৫ টাকা |
কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট কিভাবে বুক করবেন
কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেন যেখানে থামে সেই সব সাবস্টেশন থেকে টিকিট কিনতে পারবেন। আপনি যদি অনলাইনে টিকিট বুক করতে চান তাহলে বাংলাদেশ রেলওয়ের ই-টিকেটিং ওয়েবসাইট- https://www.esheba.cnsbd.com/- এ যান ।
ই-টিকিটিং সিস্টেমে টিকেট কেনার নতুন পদ্ধতি সম্পর্কে জানিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। সেক্ষেত্রে রেলওয়ের ওয়েবসাইটে একবার রেজিস্ট্রেশন করলেই চলবে।
রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া
টিকিট কাটতে অবশ্যই একবার যাত্রীদের রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। সে জন্য প্রথমে www.eticket.railway.gov.bd ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।
সেখানে ওয়েবসাইটটির নিচের দিকে Registration বাটনে ক্লিক করতে হবে। এরপর Create an Account নামের নতুন একটি Page আসবে। এখানে Personal Information এর সংশ্লিষ্ট ঘরগুলো প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে পূরণ করে Security code ঘরের পাশে দেখানো Security Code দিয়ে পূরণ করে Register বাটনে ক্লিক করতে হবে।
সব তথ্য সঠিক থাকলে Registration Successful নামে নতুন একটি Page আসবে।
ই-টিকেটিং সিস্টেম থেকে তাৎক্ষণিকভাবে আপনার দেয়া ই-মেইলে Bangladesh Railway থেকে একটি মেইল পাঠানো হবে।
Bangladesh Railway থেকে আসা মেইলটি খুলে সেখানে মেসেজে থাকা Click লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে। এরপর যাত্রীর Registration সম্পন্ন হবে।
টিকিট কাটার প্রক্রিয়া
রেজিস্ট্রেশন শেষ হওয়ার পর যাত্রীরা টিকিট কাটতে পারবেন। এ জন্য তাকে প্রথমে www.eticket.railway.gov.bd ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।
সেখানে থাকা Log in প্যানেলে ই-মেইল ঠিকানা, পাসওয়ার্ড এবং সিকিউরিটি কোড পূরণ করতে হবে।
পরে যে Page আসবে তাতে Purchase ticket বাটনে ক্লিক করতে হবে। এখানে যাত্রীকে পূরণ করতে হবে তিনি কোন তারিখের টিকিট কাটতে চান, কোন স্টেশন থেকে কোন স্টেশন পর্যন্ত, ট্রেনের নাম, শ্রেণি, টিকেট সংখ্যা।
পরে দেখানো হবে Registration Seat Available কি না এবং টিকিটের দাম। সেখানে সবকিছু ঠিক থাকলে Purchase ticket বাটনে ক্লিক করতে হবে।
ক্রেডিট কার্ড, ক্যাশ কার্ড কিংবা ব্রাক ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট দিয়ে টিকিটের দাম পরিশোধ করতে পারবেন যাত্রীরা। পরে যাত্রীর ই-মেইলে ই-টিকেটটি পাঠিয়ে দেবে বাংলাদেশ রেলওয়েল।
এরপর সেই টিকিট প্রিন্ট দিয়ে ফটো আইডিসহ ট্রেনে ভ্রমণ করতে পারবেন। কিংবা ই-টিকেট প্রদত্ত Ticket Print Information দিয়ে সংশ্লিষ্ট স্টেশন থেকে যাত্রার পূর্বে ছাপানো টিকেটও সংগ্রহ করতে পারবেন।