বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী, টিকেট ও ভাড়ার তালিকা
বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী ২০২৩-Schedule of Vijay Express train 2023
বিজয় এক্সপ্রেস (ট্রেন নং ৭৮৫/৭৮৬) বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃক পরিচালিত বাংলাদেশের একটি আন্তঃনগর ট্রেন। বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনটি মূলত চট্টগ্রাম টু ময়মনসিংহ এবং ময়মনসিংহ থেকে চট্টগ্রাম চলাচল করে থাকে। ট্রেনটি ময়মনসিংহ থেকে চট্টগ্রাম ৩৪৯ কিলোমিটার রেল পথে যাত্রীদের নিয়ে চলাচল করে থাকে । বিজয় এক্সপ্রেস চট্টগ্রাম−ময়মনসিংহ রুটে চলাচলকারী প্রথম আন্তঃনগর ট্রেন। ২০১৪ সালের ১৯শে ডিসেম্বর ট্রেনটি উদ্বোধন করা হয়। ট্রেনটি দ্রুতগামী এবং আধুনিক সব সুবিধা রয়েছে।
ঢাকা থেকে কলকাতা বাস, ট্রেন, বিমান এর ভাড়া
ময়মনসিংহ থেকে চট্টগ্রাম ট্রেনের দূরত্ব
চট্টগ্রাম থেকে ময়মনসিংহের দূরত্ব ৩৪৯ কিলোমিটার। এই এক্সপ্রেস ট্রেনটি চট্টগ্রাম থেকে ময়মনসিংহ যেতে ৮ ঘণ্টা ৪৭ মিনিট ৩০ সেকেন্ড সময় নেয়। ট্রেনের এই দীর্ঘ সময়ের কারণে ময়মনসিংহ জেলার যাত্রীরা এই ট্রেনে যাত্রী হতে অনাগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী
বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনের রুট চট্টগ্রাম থেকে ময়মনসিংহ। বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনটি চট্টগ্রাম থেকে সকাল ০৭:২০ টায় যাত্রা করে ময়মনসিংহে পৌঁছায় ০৩:৫৫ টায় এবং বিপরীতভাবে বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেন ময়মনসিংহ থেকে চট্টগ্রাম ০৮:৩০ টায় শুরু হয় এবং চট্টগ্রামে ০৫:৩০ টায় পৌঁছায়।
বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনের কোড হল ৭৮৫-৭৮৬। মঙ্গলবার চট্টগ্রাম থেকে ময়মনসিংহ পর্যন্ত বিজয় এক্সপ্রেস বন্ধের দিন। বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনের সময় সারণী নিচে দেওয়া হল।
স্টেশনের নাম | ছাড়ায় সময় | পৌছানোর সময় | ছুটির দিন |
চট্টগ্রাম টু ময়মনসিংহ | সকাল ০৭:২০ | দুপুর ০৩:৫৫ | বুধবার |
ময়মনসিংহ টু চট্টগ্রাম | রাত ০৮:৩০ | ভোর ০৫:৩০ | মঙ্গলবার |
বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনের বিরতি স্থান ও সময়সূচী
বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনটি যাত্রার পথে মোট আটটি স্টেশনে বিরুদ্ধে নিয়ে থাকে। তাই আপনাকে অবশ্যই এই আটটি স্টেশনের সময়সূচি ও নাম মনে রাখতে হবে। কারণ পরবর্তীতে এই ট্রেনটি গ্রহণ করার সময় আপনি এই আটটি স্টেশন থেকে টিকিট সংগ্রহ করে চট্টগ্রাম কিংবা ময়মনসিংহে যাতায়াত করতে পারবেন। নিচে বিআরটি স্টেশনের সময়সূচি দেওয়া হল।
বিরতি স্টেশন নাম | চট্টগ্রাম থেকে (৭৮৫) | ময়মনসিংহ থেকে (৭৮৬) |
ভাটিয়ারী | সকাল ০৭ঃ৩৭ | ভোর ০৫ঃ০৬ |
ফেনী | সকাল ০৮ঃ৫৫ | রাত ০৩ঃ৪৮ |
লাকসাম | সকাল ০৯ঃ৪০ | রাত ০৩ঃ০৫ |
কুমিল্লা | সকাল ১০ঃ২০ | রাত ০২ঃ৩৬ |
আখাউড়া | সকাল১১ঃ৩০ | রাত ১২ঃ৫০ |
ভৈরব বাজার | দুপুর ১২ঃ২০ | রাত ১২ঃ০৫ |
কিশোরগঞ্জ | দুপুর ০১ঃ৩৫ | রাত ১১ঃ৩৫ |
গৌরীপুর | দুপুর ২ঃ৪৫ | রাত ০৯ঃ০০ |
বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়ার তালিকা
বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনটিতে নতুন হয়ে থাকলে, অথবা চট্টগ্রাম টু ময়মনসিংহ ময়মনসিংহ টু চট্টগ্রাম রুটে প্রথমবার যাত্রা করলে ভাড়ার বিষয়টি জেনে রাখা জরুরী। বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনে ৩ বিভাগের আসন রয়েছে। আপনার সামর্থ্য ও চাহিদা অনুযায়ী টিকিট ক্রয় করে নিরাপদ ভ্রমণ করতে পারবেন। ট্রেনের টিকিট, টিকিট কাউন্টারে গিয়ে ক্রয় করতে পারেন । অথবা অনলাইন ব্যবহারের মাধ্যমে ঘরে বসেই বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকেট ক্রয় করতে পারবেন। আসন বিভাগ এবং কোন আসনের টিকিটের মূল্য কত জানতে নিচের টেবিলে চোখ রাখুন।
আসন বিভাগ | টিকেটের মূল্য |
শোভন | ৩২০ টাকা |
শোভন চেয়ার | ৩৮৫ টাকা |
প্রথম সিট | ৫১৫ টাকা |
অনলাইনে টিকেট কাটার নতুন নিয়ম
ই-টিকিটিং সিস্টেমে টিকেট কেনার নতুন পদ্ধতি সম্পর্কে জানিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। সেক্ষেত্রে রেলওয়ের ওয়েবসাইটে একবার রেজিস্ট্রেশন করলেই চলবে।
রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া
টিকিট কাটতে অবশ্যই একবার যাত্রীদের রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। সে জন্য প্রথমে www.eticket.railway.gov.bd ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।
সেখানে ওয়েবসাইটটির নিচের দিকে Registration বাটনে ক্লিক করতে হবে। এরপর Create an Account নামের নতুন একটি Page আসবে। এখানে Personal Information এর সংশ্লিষ্ট ঘরগুলো প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে পূরণ করে Security code ঘরের পাশে দেখানো Security Code দিয়ে পূরণ করে Register বাটনে ক্লিক করতে হবে।
সব তথ্য সঠিক থাকলে Registration Successful নামে নতুন একটি Page আসবে।
ই-টিকেটিং সিস্টেম থেকে তাৎক্ষণিকভাবে আপনার দেয়া ই-মেইলে Bangladesh Railway থেকে একটি মেইল পাঠানো হবে।
Bangladesh Railway থেকে আসা মেইলটি খুলে সেখানে মেসেজে থাকা Click লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে। এরপর যাত্রীর Registration সম্পন্ন হবে।
টিকিট কাটার প্রক্রিয়া
রেজিস্ট্রেশন শেষ হওয়ার পর যাত্রীরা টিকিট কাটতে পারবেন। এ জন্য তাকে প্রথমে www.eticket.railway.gov.bd ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।
সেখানে থাকা Log in প্যানেলে ই-মেইল ঠিকানা, পাসওয়ার্ড এবং সিকিউরিটি কোড পূরণ করতে হবে।
পরে যে Page আসবে তাতে Purchase ticket বাটনে ক্লিক করতে হবে। এখানে যাত্রীকে পূরণ করতে হবে তিনি কোন তারিখের টিকিট কাটতে চান, কোন স্টেশন থেকে কোন স্টেশন পর্যন্ত, ট্রেনের নাম, শ্রেণি, টিকেট সংখ্যা।
পরে দেখানো হবে Registration Seat Available কি না এবং টিকিটের দাম। সেখানে সবকিছু ঠিক থাকলে Purchase ticket বাটনে ক্লিক করতে হবে।
ক্রেডিট কার্ড, ক্যাশ কার্ড কিংবা ব্রাক ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট দিয়ে টিকিটের দাম পরিশোধ করতে পারবেন যাত্রীরা। পরে যাত্রীর ই-মেইলে ই-টিকেটটি পাঠিয়ে দেবে বাংলাদেশ রেলওয়েল।
এরপর সেই টিকিট প্রিন্ট দিয়ে ফটো আইডিসহ ট্রেনে ভ্রমণ করতে পারবেন। কিংবা ই-টিকেট প্রদত্ত Ticket Print Information দিয়ে সংশ্লিষ্ট স্টেশন থেকে যাত্রার পূর্বে ছাপানো টিকেটও সংগ্রহ করতে পারবেন।