বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী ২০২৩-Benapole Express train schedule 2023
বেনাপোল এক্সপ্রেস ঢাকা-বেনাপোল রেলসড়কে চলাচলকারী একটি আন্তঃনগর ট্রেন পরিষেবা যা ২০১৯ সালের ১৭ই জুলাই প্রবর্তন করা হয়। বাংলাদেশ রেলওয়ে সংস্থার পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে বিভাগ কর্তৃক পরিচালিত এটি বিলাসবহুল, অত্যাধুনিক এবং প্রতিবন্ধী বান্ধব ট্রেন। বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের রুট ঢাকা-বেনাপোল। তাই বাংলাদেশ সরকার দায়িত্ব নেয় এবং ঢাকা থেকে বেনাপোল রুটে একটি নতুন আন্তঃনগর ট্রেন সার্ভিস পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয়।
বেনাপোল এক্সপ্রেস ননস্টপ আন্তঃনগর যা ঢাকা থেকে যশোর ট্রেন রুটে চলে। বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের কোড হল ৭৯৫/৭৯৬। এই ট্রেনটি ঢাকা থেকে যশোর এবং যশোর থেকে বেনাপোল চলে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন ট্রেন সার্ভিসের নাম নির্বাচন করেছেন ‘বেনাপোল এক্সপ্রেস’।
বেনাপোল এক্সপ্রেসের সমস্ত আসন বিভাগ সহ 896টি আসন রয়েছে। ট্রেনটিতে ১২টি বগি রয়েছে যা ইন্দোনেশিয়া থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। বেনাপোল এক্সপ্রেস কিছু চমৎকার সুবিধা প্রদান করে যা আধুনিক এয়ারলাইন্সের মতো খাবার সুবিধা এবং বায়ো-টয়লেট যা পরিবেশ বান্ধব। তাই, এই ট্রেন সার্ভিসটি বাংলাদেশ রেলওয়ের অন্যতম সেরা ট্রেন সার্ভিস।
দোলনচাঁপা এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী ২০২২
বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী
ঢাকা থেকে এ ট্রেনে বেনাপোল যাতায়ত করতে প্রায় ৮ ঘণ্টা সময় লাগে। সপ্তাহে ছয় দিন বেনাপোল এক্সপ্রেস ঢাকা কমলাপুর স্টেশন থেকে রাত ১১:১৫ মিনিটে যাত্রা শুরু করে এবং বেনাপোলে পৌছায় সকাল ০৮:২০ মিনিটে। অন্য প্রান্তে এই ট্রেন বেনাপোল রেলস্টেশন থেকে দুপুর ১২:৪৫ মিনিটে ছেড়ে রাত ০৮:৪০ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছায়।
স্টেশনের নাম | ছুটির দিন | ছাড়ার সময় | পৌছানোর সময় |
ঢাকা টু বেনাপোল | বুধবার | রাত ১১:১৫ মিনিট | সকাল ০৮:২০ মিনিট |
বেনাপোল টু ঢাকা | বুধবার | দুপুর ১২:৪৫ মিনিট | রাত ০৮:৪০ মিনিটে |
বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের বিরতি স্টেশন ও সময়সূচী
এখানে আলোচনা করবো বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের বিরতি স্টেশনের সময়সূচি নিয়ে। আপনি যদি বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনটি ভ্রমণ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন, তাহলে এটি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কেননা ট্রেন ভ্রমণ কে আনন্দদায়ক করে তুলে স্টেশন বিরতি। ট্রেনের ভিতরের পরিবেশ এবং স্টেশন বিরোধী সবকিছু মিলেই অনেক মজার। বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকা টু বেনাপোল যাত্রায় গড় সময় লাগে ৮ ঘণ্টা। আট ঘণ্টার এই ভ্রমণে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনটি নয়টি স্টেশনে বিরতি রাখেন। বিরতি স্টেশনের নাম ও সময়সূচী নিজের টেবিলে দেওয়া হল।
বিরতি স্টেশন নাম | বেনাপোল থেকে (৭৯৫) | ঢাকা থেকে (৭৯৬) |
ঝিকরগাছা | দুপুর ০১ঃ১৪ | ০৭ঃ৪৪ |
যশোর | দুপুর ০১ঃ৩৫ | সকাল ০৭ঃ০৫ |
মোবারকগঞ্জ | দুপুর ০২ঃ২০ | সকাল ০৬ঃ৩৫ |
কোট চাঁদপুর | দুপুর ০২ঃ৩৩ | সকাল ০৬ঃ২২ |
দর্শনা হাট | দুপুর ০২ঃ৫৮ | সকাল ০৫ঃ৫৬ |
চুয়াডাঙ্গা | দুপুর ০৩ঃ১৭ | সকাল ০৫ঃ৩৫ |
পোড়াদহ | দুপুর ০৩ঃ৪৭ | সকাল ০৫ঃ০১ |
ঈশ্বরদী | বিকাল ০৪ঃ২৫ | ভোর ০৪ঃ০৫ |
বিমান বন্দর | রাত ০৮ঃ০৭ | রাত ১০ঃ৪৩ |
বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়ার তালিকা
বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আপনি নতুন হয়ে থাকলে জেনে নিন ভাড়ার তালিকা। স্বল্প ব্যয়ে ভ্রমণ করতে চাইলে ট্রেনের বিকল্প নেই। কারণ অন্য সকল যানবাহনের খরচের থেকে ট্রেন ভ্রমণ খরচ অনেক কম। আবার টেনে রয়েছে আসন ব্যবস্থা বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনটি চার বিভাগের আসন রয়েছে। ৫৩৪ টাকা থেকে ১৮৬৯ টাকা পর্যন্ত। আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী টিকিট ক্রয় করে নিরাপদ ভ্রমন করুন। আসন বিভাগ ও টিকিটের মূল্য নিচের টেবিলে দেওয়া হল।
আসন বিভাগ | টিকেটের মূল্য (১৫% ভ্যাট) |
শোভন চেয়ার | ৫৩৪ টাকা |
প্রথম সিট | ১২১৩ টাকা |
এসি সিট | ১০১৩ টাকা |
এসি বার্থ | ১৮৬৯ টাকা |
ট্রেনে বগির সংখ্যা
বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনটি ইন্দোনেশিয়া হতে আমদানি করা হয়েছে। এই ট্রেনে ১২ টি বগি যুক্ত। এ বগিগুলো হচ্ছে
শোভন চেয়ার ৭টি
এসি চেয়ার ১টি
এসি কেবিন ১টি
পাওয়ার কার ১টি
গার্ড ব্রেক ২ টি।
মোট ১২ টি বগিতে আসন দিনের বেলা ৮৯৫টি, রাতে ৮৭১ টি।
সুযোগ-সুবিধা
ট্রেনে দুটি ক্যান্টিন যুক্ত আছে। এখানে বার্গার, কেক, স্যান্ডউইচ, রোল, রুটি, চা, কফি, কাটলেট, সিদ্ধ ডিম, ভাজা মুরগী, কাবাব, সামুচা, বিভিন্ন ধরনের কোমল পানীয় পাওয়া যায়।
অনলাইনে টিকেট কাটার নতুন নিয়ম
ই-টিকিটিং সিস্টেমে টিকেট কেনার নতুন পদ্ধতি সম্পর্কে জানিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। সেক্ষেত্রে রেলওয়ের ওয়েবসাইটে একবার রেজিস্ট্রেশন করলেই চলবে।
রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া
টিকিট কাটতে অবশ্যই একবার যাত্রীদের রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। সে জন্য প্রথমে www.eticket.railway.gov.bd ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।
সেখানে ওয়েবসাইটটির নিচের দিকে Registration বাটনে ক্লিক করতে হবে। এরপর Create an Account নামের নতুন একটি Page আসবে। এখানে Personal Information এর সংশ্লিষ্ট ঘরগুলো প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে পূরণ করে Security code ঘরের পাশে দেখানো Security Code দিয়ে পূরণ করে Register বাটনে ক্লিক করতে হবে।
সব তথ্য সঠিক থাকলে Registration Successful নামে নতুন একটি Page আসবে।
ই-টিকেটিং সিস্টেম থেকে তাৎক্ষণিকভাবে আপনার দেয়া ই-মেইলে Bangladesh Railway থেকে একটি মেইল পাঠানো হবে।
Bangladesh Railway থেকে আসা মেইলটি খুলে সেখানে মেসেজে থাকা Click লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে। এরপর যাত্রীর Registration সম্পন্ন হবে।
টিকিট কাটার প্রক্রিয়া
রেজিস্ট্রেশন শেষ হওয়ার পর যাত্রীরা টিকিট কাটতে পারবেন। এ জন্য তাকে প্রথমে www.eticket.railway.gov.bd ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।
সেখানে থাকা Log in প্যানেলে ই-মেইল ঠিকানা, পাসওয়ার্ড এবং সিকিউরিটি কোড পূরণ করতে হবে।
পরে যে Page আসবে তাতে Purchase ticket বাটনে ক্লিক করতে হবে। এখানে যাত্রীকে পূরণ করতে হবে তিনি কোন তারিখের টিকিট কাটতে চান, কোন স্টেশন থেকে কোন স্টেশন পর্যন্ত, ট্রেনের নাম, শ্রেণি, টিকেট সংখ্যা।
পরে দেখানো হবে Registration Seat Available কি না এবং টিকিটের দাম। সেখানে সবকিছু ঠিক থাকলে Purchase ticket বাটনে ক্লিক করতে হবে।
ক্রেডিট কার্ড, ক্যাশ কার্ড কিংবা ব্রাক ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট দিয়ে টিকিটের দাম পরিশোধ করতে পারবেন যাত্রীরা। পরে যাত্রীর ই-মেইলে ই-টিকেটটি পাঠিয়ে দেবে বাংলাদেশ রেলওয়েল।
এরপর সেই টিকিট প্রিন্ট দিয়ে ফটো আইডিসহ ট্রেনে ভ্রমণ করতে পারবেন। কিংবা ই-টিকেট প্রদত্ত Ticket Print Information দিয়ে সংশ্লিষ্ট স্টেশন থেকে যাত্রার পূর্বে ছাপানো টিকেটও সংগ্রহ করতে পারবেন।