ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী, টিকেট ও ভাড়ার তালিকা ২০২৩
ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেনটি কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে দেওয়ানগঞ্জ রেল স্টেশন পর্যন্ত চলাচল করে. ট্রেনটি বর্তমান বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত হয় এবং এটি একটি আন্তঃনগর ট্রেন. ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেনটি দেওয়ানগঞ্জ টু কমলাপুর রেলস্টেশন চলাচলের দূরত্ব হয় 225 কিলোমিটার এবং ঘর যাত্রা সময় লাগে 5 ঘণ্টা 50 মিনিট. ট্রেনটি সপ্তাহে সাতদিন চলাচল করে এবং রেল সংখ্যা আছে ৭৪৩/৭৪৪. সুতরাং ট্রেনটি সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে নিম্নে তথ্য তুলে ধরা হলো ।
ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী
ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেন ঢাকা থেকে দেওয়ানগঞ্জ এবং দেওয়ানগঞ্জ থেকে ঢাকা রুটে চলাচল করে। সাধারণত সব ট্রেনের এই সপ্তাহে একদিন ছুটি থাকে কিন্তু এই ট্রেনের কোন ছুটি না থাকায় প্রতিদিন এই চলাচল করে। ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেনটি দীর্ঘপথ ভ্রমণের জন্য উপযুক্ত একটি ট্রেন। এটির কিছু মনমুগ্ধকর বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা আপনার ভ্রমণ কে আরো সুন্দর করে তুলবে। আমরা এখন আলোচনা করব ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী গুলো সম্পর্কে।
ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেন ঢাকা থেকে দেওয়ানগঞ্জ যাওয়ার উদ্দেশ্যে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন থেকে দেওয়ানগঞ্জ এর উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে 6:15 এবং এই ট্রেনটি তার গন্তব্যস্থলে এসে পৌঁছায় 11 টা 50 মিনিটে। ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেন দেওয়ানগঞ্জ থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে দেওয়ানগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন থেকে ছেড়ে আসে 6:40 এ এবং ঢাকা কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে এসে পৌঁছায় 12:40 এ মিনিটে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে ট্রেনের সময়সূচী ২০২২
ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেনের বিরতি স্টেশন ও সময়সূচী
ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রা পথে কয়েকটি স্টেশনে বিরতি দেয়া হয়। আমরা এখন সেই ট্রেনের বিরোধী স্টেশন ও সময়সূচী গুলো সম্পর্কে আলোচনা করব।
ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেনের ঢাকা থেকে দেওয়ানগঞ্জ যাওয়ার পথে যেসব স্টেশনগুলোতে বিরতি দেয় সেগুলো এখন আমরা আলোচনা করব।
বিমানবন্দর স্টেশন বিরতি দেয় 6:42 মিনিটে
জয়দেবপুর স্টেশনে বিরতি দেয় 7:10 এ মিনিটে
গফরগাঁও স্টেশনের বিরতিতে 8:20 মিনিটে।
ময়মনসিংহ স্টেশনে বিরোধিতায় নয়টা 20 মিনিটে।
পিয়ারপুর স্টেশন এ বিরোধীদের 10:04 মিনিটে।
নন্দিনা স্টেশনে 10:28 মিনিটে।
জামালপুর স্টেশনে 10:45 মিনিট।
মেন দেহ বাজারে 11:05 মিনিটে।
ইসলামপুর স্টেশনের 12:24 মিনিটে।
ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেনের দেওয়ানগঞ্জ থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে যেসব স্টেশনগুলোতে বিরোধী দেয় সেগুলো এখন আমরা আলোচনা করব।
ইসলামপুর 6:45
মেন দেহ বাজার 7:13
জামালপুর 7:30
নন্দিনা 7:51
ময়মনসিংহ 9:10
গফরগাঁও 10:10
বিমানবন্দর 11:55।
ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়ার তালিকা
ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেনটিতে মার্জিত, মার্জিত চেয়ার, প্রথম আসন, প্রথম বার্থ, স্নুগ্ধা, এসি সিট এবং এসি বার্থে বসার ব্যবস্থা রয়েছে। কার টিকিটের দাম নির্ভর করে তাদের সেবার মানের উপর। এই ট্রেনের যাত্রীরা সর্বনিম্ন ১৮৫ টাকায় ঢাকা থেকে দেওয়ানগঞ্জ যেতে পারবেন। ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়া তালিকা নিচে দেওয়া হল।
আসন বিভাগ | টিকেটের মূল্য (১৫% ভ্যাট) |
শোভন | ১৮৫ টাকা |
শোভন চেয়ার | ২২৫ টাকা |
প্রথম সিট | ৩০০ টাকা |
প্রথম বার্থ | ৪৪৫ টাকা |
স্নিগ্ধা | ৪২৬ টাকা |
এসি সিট | ৫১২ টাকা |
এসি বার্থ | ৭৭১ টাকা |
ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেনটি মালামাল পরিবহন ব্যবস্থা
শোভন শ্রেণীর যাত্রী 28 কেজি পর্যন্ত মালামাল বহন করতে পারবেন।
শোভন দ্বিতীয় শ্রেণীর যাত্রী তেস্ট কেজি মালামাল বিনা ভাড়া বহন করতে।
তবে আরও সুবিধা হচ্ছে অতিরিক্ত মালামাল মাশুল পরিশোধ করে তার লাগেজ হিসাবে তার নিজ গন্তব্যে বহন করার সুযোগ পাবেন।
ট্রেনটিতে বড় স্টেশনগুলোতে লাগেজ বুকিং এর জন্য আলাদা কাউন্টার রয়েছে।
আর আপনার লাগেজ বহনের জন্য টলির ব্যবস্থা করা হয়েছে ট্রেনটিতে।
ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেনের বগি সংখ্যা
আমরা এখানে আজ আপনাদের জানাতে চাচ্ছি যে ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেনের বগি সংখ্যা কতটি রয়েছে. ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেনের বগি সংখ্যা রয়েছে মোট 14টি. তার মধ্যে:
একটি খাবারের বগি রয়েছে।
একটি পাওয়ার কার বগি রয়েছে।
খাবারের বগিতে আলাদা একটি জায়গা বরাদ্দ রয়েছে যেখানে নামাজ পড়ানোর ব্যবস্থা জন্য এবং খাবারের বগিটি ট্রেনের মাঝামাঝি স্থানে অবশিষ্ট।
অনলাইনে টিকেট কাটার নিয়ম
ই-টিকিটিং সিস্টেমে টিকেট কেনার নতুন পদ্ধতি সম্পর্কে জানিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। সেক্ষেত্রে রেলওয়ের ওয়েবসাইটে একবার রেজিস্ট্রেশন করলেই চলবে।
রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া
টিকিট কাটতে অবশ্যই একবার যাত্রীদের রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। সে জন্য প্রথমে www.eticket.railway.gov.bd ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।
সেখানে ওয়েবসাইটটির নিচের দিকে Registration বাটনে ক্লিক করতে হবে। এরপর Create an Account নামের নতুন একটি Page আসবে। এখানে Personal Information এর সংশ্লিষ্ট ঘরগুলো প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে পূরণ করে Security code ঘরের পাশে দেখানো Security Code দিয়ে পূরণ করে Register বাটনে ক্লিক করতে হবে।
সব তথ্য সঠিক থাকলে Registration Successful নামে নতুন একটি Page আসবে।
ই-টিকেটিং সিস্টেম থেকে তাৎক্ষণিকভাবে আপনার দেয়া ই-মেইলে Bangladesh Railway থেকে একটি মেইল পাঠানো হবে।
Bangladesh Railway থেকে আসা মেইলটি খুলে সেখানে মেসেজে থাকা Click লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে। এরপর যাত্রীর Registration সম্পন্ন হবে।
টিকিট কাটার প্রক্রিয়া
রেজিস্ট্রেশন শেষ হওয়ার পর যাত্রীরা টিকিট কাটতে পারবেন। এ জন্য তাকে প্রথমে www.eticket.railway.gov.bd ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।
সেখানে থাকা Log in প্যানেলে ই-মেইল ঠিকানা, পাসওয়ার্ড এবং সিকিউরিটি কোড পূরণ করতে হবে।
পরে যে Page আসবে তাতে Purchase ticket বাটনে ক্লিক করতে হবে। এখানে যাত্রীকে পূরণ করতে হবে তিনি কোন তারিখের টিকিট কাটতে চান, কোন স্টেশন থেকে কোন স্টেশন পর্যন্ত, ট্রেনের নাম, শ্রেণি, টিকেট সংখ্যা।
পরে দেখানো হবে Registration Seat Available কি না এবং টিকিটের দাম। সেখানে সবকিছু ঠিক থাকলে Purchase ticket বাটনে ক্লিক করতে হবে।
ক্রেডিট কার্ড, ক্যাশ কার্ড কিংবা ব্রাক ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট দিয়ে টিকিটের দাম পরিশোধ করতে পারবেন যাত্রীরা। পরে যাত্রীর ই-মেইলে ই-টিকেটটি পাঠিয়ে দেবে বাংলাদেশ রেলওয়েল।
এরপর সেই টিকিট প্রিন্ট দিয়ে ফটো আইডিসহ ট্রেনে ভ্রমণ করতে পারবেন। কিংবা ই-টিকেট প্রদত্ত Ticket Print Information দিয়ে সংশ্লিষ্ট স্টেশন থেকে যাত্রার পূর্বে ছাপানো টিকেটও সংগ্রহ করতে পারবেন।
সাম্প্রতিক মন্তব্য
#তৌকির মিয়া
ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ১