সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী, টিকেট ও ভাড়ার তালিকা ২০২৩-Subarna Express Train Schedule
সুবর্ণ এক্সপ্রেস (ট্রেন নং ৭০১/৭০২) বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃক পরিচালিত বাংলাদেশের একটি বিরতিহীন আন্তঃনগর ট্রেন। এটি চট্টগ্রামের চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত চলাচল করে। এই রুটে এটি একটি বিলাসবহুল নন-স্টপ আন্তঃনগর ট্রেন পরিষেবা। ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম ট্রেন রুটে চলাচলকারী অন্যান্য ট্রেনের তুলনায় সুবর্ণ এক্সপ্রেস সবচেয়ে জনপ্রিয় ট্রেন। কারণ এটি এই রুটের দ্রুততম ট্রেনগুলির মধ্যে একটি যা গন্তব্যে পৌঁছতে প্রায় 5 ঘন্টা 20 মিনিট সময় নেয়।
সুবর্ণ এক্সপ্রেস বাংলাদেশের প্রথম বিরতিহীন আন্তঃনগর ট্রেন। ১৯৯৮ সালের ১৪ই এপ্রিল ট্রেনটি উদ্বোধন করা হয়।
সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা
সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনের কোড হল 701 যখন এটি চট্টগ্রাম থেকে যাত্রা শুরু করে। সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনটি চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে সকাল 7:00 টায় যাত্রা শুরু করে এবং 12:20 টায় ঢাকা স্টেশনে পৌঁছায়। সুবর্ণ এক্সপ্রেস বন্ধের দিন সোমবার।
সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম
ঢাকা থেকে ফেরার সময় সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনের কোড 702। এটি কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে বিকেল সাড়ে ৪টায় যাত্রা শুরু করে এবং রাত ১০টায় চট্টগ্রামে পৌঁছায়। এটি একটি চট্টগ্রাম ভিত্তিক ট্রেন। রাতের লোকোমোটিভ ও কোচ চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে অবস্থিত। এটি সপ্তাহে 6 দিন কাজ করে। সুবর্ণ এক্সপ্রেস বন্ধের দিন সোমবার।
সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী
স্টেশনের নাম | ছাড়ায় সময় | পৌছানোর সময় | ছুটির দিন |
চট্টগ্রাম টু ঢাকা | 04:30 pm | রাত 10.00 | সোমবার |
ঢাকা টু চট্টগ্রাম | 07:00 am | 12:20 pm | সোমবার |
সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনের বিরতি স্টেশন
বাংলাদেশ রেলওয়েতে ভ্রমণ করতে হলে সবচেয়ে বিরক্তিকর একটি বিষয় হল, ট্রেনগুলো যাত্রাপথের প্রত্যেকটি স্টেশনে বিরতি দেয়।সেই বিরক্তিকর অবস্থা থেকে মুক্ত করার জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ে কিছু ট্রেন সংযুক্ত করেছে যেগুলো বিরতিহীনভাবে চলাচল করে।সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনটি বিরতিহীন হওয়ায় যাত্রাপথে শুধুমাত্র একটি জায়গায় বিরতি দেয়।সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনটি যাত্রাপথে শুধুমাত্র ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার সময় ঢাকা বিমানবন্দর স্টেশনে বিরতি দেয় বিকাল 4:57 মিনিটে। অপরদিকে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে এসে আবার বিমানবন্দরে বিরতিতে সকাল 11: 45 মিনিটে।
সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়া ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম
সুবর্ণ এক্সপ্রেস বাংলাদেশ রেলওয়ের একটি খুব জমকালো এবং সুন্দর ট্রেন সার্ভিস। তবে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম রুটে যাতায়াতকারী যাত্রীদের জন্য এর টিকিটের মূল্য খুবই যুক্তিসঙ্গত।
একটি স্নিগ্ধা চেয়ারের টিকিটের মূল্য 725 টাকা এবং আপনি যদি অনলাইনে একটি টিকিট সংগ্রহ করেন তবে এর মূল্য 745 টাকা (ভ্যাট সহ), এবং একটি শোভন চেয়ারের মূল্য 380 এবং অনলাইন মূল্য 400 টাকা।
সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনের সুবিধা
সুবর্ণ এক্সপ্রেসের আটটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) কোচ, ৭টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত নয় এমন কোচ, গার্ড ভাঙার সঙ্গে জড়িত ২টি ডাইনিং এবং একটি পাওয়ার কার রয়েছে।
কখনও কখনও যাত্রীদের চাহিদা অনুযায়ী ট্রেনে 22টি কোচ থাকে। এটি বিশেষ প্রার্থনা কক্ষ, খাবার সুবিধা, আধুনিক টয়লেট, প্রাথমিক চিকিত্সা সুবিধা, শক্তিশালী নিরাপত্তা ইত্যাদি প্রদান করে।
কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী
অনলাইনে টিকেট কাটার নতুন নিয়ম
ই-টিকিটিং সিস্টেমে টিকেট কেনার নতুন পদ্ধতি সম্পর্কে জানিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। সেক্ষেত্রে রেলওয়ের ওয়েবসাইটে একবার রেজিস্ট্রেশন করলেই চলবে।
রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া
টিকিট কাটতে অবশ্যই একবার যাত্রীদের রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। সে জন্য প্রথমে www.eticket.railway.gov.bd ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।
সেখানে ওয়েবসাইটটির নিচের দিকে Registration বাটনে ক্লিক করতে হবে। এরপর Create an Account নামের নতুন একটি Page আসবে। এখানে Personal Information এর সংশ্লিষ্ট ঘরগুলো প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে পূরণ করে Security code ঘরের পাশে দেখানো Security Code দিয়ে পূরণ করে Register বাটনে ক্লিক করতে হবে।
সব তথ্য সঠিক থাকলে Registration Successful নামে নতুন একটি Page আসবে।
ই-টিকেটিং সিস্টেম থেকে তাৎক্ষণিকভাবে আপনার দেয়া ই-মেইলে Bangladesh Railway থেকে একটি মেইল পাঠানো হবে।
Bangladesh Railway থেকে আসা মেইলটি খুলে সেখানে মেসেজে থাকা Click লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে। এরপর যাত্রীর Registration সম্পন্ন হবে।
টিকিট কাটার প্রক্রিয়া
রেজিস্ট্রেশন শেষ হওয়ার পর যাত্রীরা টিকিট কাটতে পারবেন। এ জন্য তাকে প্রথমে www.eticket.railway.gov.bd ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।
সেখানে থাকা Log in প্যানেলে ই-মেইল ঠিকানা, পাসওয়ার্ড এবং সিকিউরিটি কোড পূরণ করতে হবে।
পরে যে Page আসবে তাতে Purchase ticket বাটনে ক্লিক করতে হবে। এখানে যাত্রীকে পূরণ করতে হবে তিনি কোন তারিখের টিকিট কাটতে চান, কোন স্টেশন থেকে কোন স্টেশন পর্যন্ত, ট্রেনের নাম, শ্রেণি, টিকেট সংখ্যা।
পরে দেখানো হবে Registration Seat Available কি না এবং টিকিটের দাম। সেখানে সবকিছু ঠিক থাকলে Purchase ticket বাটনে ক্লিক করতে হবে।
ক্রেডিট কার্ড, ক্যাশ কার্ড কিংবা ব্রাক ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট দিয়ে টিকিটের দাম পরিশোধ করতে পারবেন যাত্রীরা। পরে যাত্রীর ই-মেইলে ই-টিকেটটি পাঠিয়ে দেবে বাংলাদেশ রেলওয়েল।
এরপর সেই টিকিট প্রিন্ট দিয়ে ফটো আইডিসহ ট্রেনে ভ্রমণ করতে পারবেন। কিংবা ই-টিকেট প্রদত্ত Ticket Print Information দিয়ে সংশ্লিষ্ট স্টেশন থেকে যাত্রার পূর্বে ছাপানো টিকেটও সংগ্রহ করতে পারবেন।