এগারো সিন্ধুর গোধুলী ট্রেনের সময়সূচী, টিকেট ও ভাড়ার তালিকা-Egaro Sindur Guduli Schedule
এগারো সিন্ধুর গোধুলী (ট্রেন নং ৭৪৯/৭৫০) বাংলাদেশ রেলওয়ের অধীনে পরিচালিত ঢাকা থেকে কিশোরগঞ্জ পর্যন্ত চলাচলকারী একটি আন্তঃনগর ট্রেন। এটি একটি জনপ্রিয় দ্রুতগামী ও বিলাসবহুল আন্তঃনগর ট্রেন। এগারোসিন্ধুর এক্সপ্রেস নামে ১৯৮৭ সালে যাত্রা শুরু করে এবং এগারোসিন্ধুর গোধূলী হিসেবে যাত্রা শুরুর তারিখ ১৬ মে ২০০২। ঢাকা থেকে কিশোরগঞ্জ দূরত্ব ১৩৫ কিলোমিটার। এই ট্রেনটি ঘন্টায় 75 কিলোমিটার বেগে চলতে পারে।
এগারসিন্ধু গোধূলি ট্রেনে যাত্রা সময়সূচী
এই ট্রেনটি বাংলাদেশ রেলওয়ে একটি আন্তঃনগর ট্রেন। এটি ঢাকা থেকে ছাড়ে সন্ধ্যা ৬ টা ৩০ মিনিটে, কিশোরগঞ্জ পৌছায় রাত ১০ টা ৩৫ মিনিটে। কিশোরগঞ্জ থেকে ছাড়ে দুপুর ১২ টা ৩০ মিনিটে, ঢাকা পৌছায় বিকাল ৪ টা ৩৫ মিনিটে। আন্তঃনগর ট্রেন টুডে সাপ্তাহিক ছুটির দিন নেই। অর্থাৎ সপ্তাহে সাত দিনই এটি নিয়মিত চলাচল করে থাকে।
সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী ২০২২
এগারসিন্দুর ট্রেনের যাত্রা বিরতি স্থান
এগারো সিন্ধুর গোধুলী এক্সপ্রেস নিম্নলিখিত স্টেশনে যাত্রাবিরতি দেয়:
বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন
নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশন
মেথিকান্দা রেলওয়ে স্টেশন
ভৈরব বাজার রেলওয়ে স্টেশন
কুলিয়ারচর রেলওয়ে স্টেশন
বাজিতপুর রেলওয়ে স্টেশন
সারারচর রেলওয়ে স্টেশন
মানিকখালী রেলওয়ে স্টেশন
গচিহাটা রেলওয়ে স্টেশন
এগারসিন্দুর গোধূলির এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়ার তালিকা
এই ট্রেনে বিভিন্ন ধরনের সিটের ভাগ রয়েছে এবং সেই অনুযায়ী ট্রেনের টিকিটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। আমরা আপনাদের প্রত্যেকটি টিকিটের ধরনের উপর ভিত্তি করে কি ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে তা এখন জানাবো।
আসন | টিকিটের মূল্য (15% ভ্যাট) |
শেভন | ১২৫ টাকা |
শেভন চেয়ার | ১৫০ টাকা |
প্রথম আসন | ২০০ টাকা |
প্রথম বার্থ | ৩০০ টাকা |
স্নিগ্ধা | ২৪৪ টাকা |
এসি | ৩৪৫ টাকা |
এসি বার্থ | ৫১৮ টাকা |
এগারসিন্দুর ট্রেনের সিট সংখ্যা
এগারসিন্দুর গোধূলির স্ট্রেস ট্রেনে তিন ধরনের সিট রয়েছে যেমন।
ঢাকাগামী ৭৫০ এর আসুন শ্রেণি রয়েছে তিনটি. নন এসি কেবিন বার্থ, শোভন চেয়ার ও শোভন।
কিশোরগঞ্জ গামী ৭৪৯ এর আসন শ্রেণী রয়েছে তিনটি যেমন: নন এসি কেবিন, শোভন চেয়ার ও শোভন।
অনলাইনে টিকেট কাটার নিয়ম
ই-টিকিটিং সিস্টেমে টিকেট কেনার নতুন পদ্ধতি সম্পর্কে জানিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। সেক্ষেত্রে রেলওয়ের ওয়েবসাইটে একবার রেজিস্ট্রেশন করলেই চলবে।
রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া
টিকিট কাটতে অবশ্যই একবার যাত্রীদের রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। সে জন্য প্রথমে www.eticket.railway.gov.bd ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।
সেখানে ওয়েবসাইটটির নিচের দিকে Registration বাটনে ক্লিক করতে হবে। এরপর Create an Account নামের নতুন একটি Page আসবে। এখানে Personal Information এর সংশ্লিষ্ট ঘরগুলো প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে পূরণ করে Security code ঘরের পাশে দেখানো Security Code দিয়ে পূরণ করে Register বাটনে ক্লিক করতে হবে।
সব তথ্য সঠিক থাকলে Registration Successful নামে নতুন একটি Page আসবে।
ই-টিকেটিং সিস্টেম থেকে তাৎক্ষণিকভাবে আপনার দেয়া ই-মেইলে Bangladesh Railway থেকে একটি মেইল পাঠানো হবে।
Bangladesh Railway থেকে আসা মেইলটি খুলে সেখানে মেসেজে থাকা Click লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে। এরপর যাত্রীর Registration সম্পন্ন হবে।
টিকিট কাটার প্রক্রিয়া
রেজিস্ট্রেশন শেষ হওয়ার পর যাত্রীরা টিকিট কাটতে পারবেন। এ জন্য তাকে প্রথমে www.eticket.railway.gov.bd ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।
সেখানে থাকা Log in প্যানেলে ই-মেইল ঠিকানা, পাসওয়ার্ড এবং সিকিউরিটি কোড পূরণ করতে হবে।
পরে যে Page আসবে তাতে Purchase ticket বাটনে ক্লিক করতে হবে। এখানে যাত্রীকে পূরণ করতে হবে তিনি কোন তারিখের টিকিট কাটতে চান, কোন স্টেশন থেকে কোন স্টেশন পর্যন্ত, ট্রেনের নাম, শ্রেণি, টিকেট সংখ্যা।
পরে দেখানো হবে Registration Seat Available কি না এবং টিকিটের দাম। সেখানে সবকিছু ঠিক থাকলে Purchase ticket বাটনে ক্লিক করতে হবে।
ক্রেডিট কার্ড, ক্যাশ কার্ড কিংবা ব্রাক ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট দিয়ে টিকিটের দাম পরিশোধ করতে পারবেন যাত্রীরা। পরে যাত্রীর ই-মেইলে ই-টিকেটটি পাঠিয়ে দেবে বাংলাদেশ রেলওয়েল।
এরপর সেই টিকিট প্রিন্ট দিয়ে ফটো আইডিসহ ট্রেনে ভ্রমণ করতে পারবেন। কিংবা ই-টিকেট প্রদত্ত Ticket Print Information দিয়ে সংশ্লিষ্ট স্টেশন থেকে যাত্রার পূর্বে ছাপানো টিকেটও সংগ্রহ করতে পারবেন।