কিশোরগঞ্জ ট্রেনের সময়সূচী ও ভাড়ার তালিকা ২০২৩-Kishoreganj train schedule
কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনটি বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃক পরিচালিত একটি আন্তঃনগর ট্রেন ঢাকা থেকে কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে পর্যন্ত নিয়মিত চলাচল করেন। সর্বপ্রথম এই ট্রেনটি চালু হয় ১ ডিসেম্বর ২০১৩ সালে। এছাড়াও ট্রেনটিতে রয়েছে অত্যাধুনিক সব রকমের সুযোগ-সুবিধা। এই ট্রেনটির ভ্রমণ দূরত্ব 135 কিলোমিটার, যার ভ্রমণ সময় লাগে চার ঘণ্টা ১০ মিনিট এবং সপ্তাহে ছয়দিন পরিষেবা প্রদান করেন শুক্রবার বাদে. ট্রেনটির নাম্বার ৭৮১/৭৮২ এবং ট্রেনটিতে বসার জন্য যেসব সিট রয়েছে তা হচ্ছে সিনিকদা, প্রথম চেয়ার, শোভন চেয়ার ও শোভন।
কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী
অনেকেই কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী জানতে চান তাদেরকে জানিয়ে রাখি। কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকা থেকে সকাল ১০:৪৫ মিনিটে কিশোরগঞ্জ উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। এবং কিশোরগঞ্জ বিকাল ০২:০০ মিনিটে পৌঁছায়। আবার ট্রেনটি কিশোরগঞ্জ থেকে এক ঘন্টা বিরতির পর বিকাল ০৪:০০ মিনিটে কিশোরগঞ্জ থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। ঢাকায় পৌঁছে রাত ০৮:১০ মিনিট কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনটি সাপ্তাহে একদিন ছুটির দিন অর্থাৎ শুক্রবার বন্ধ থাকে। নিচে কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনটির সঠিক সময় সূচি টেবিল এর মাধ্যমে প্রকাশ করা হলো।
স্টেশনের নাম | ছাড়ায় সময় | পৌছানোর সময় | ছুটির দিন |
ঢাকা টু কিশোরগঞ্জ | সকাল ১০:৪৫ | বিকাল ০২:০০ | শুক্রবার |
কিশোরগঞ্জ টু ঢাকা | বিকাল ০৪:০০ | রাত ০৮:১০ | শুক্রবার |
কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের বিরতি স্টেশন ও সময়সূচী
ঢাকা থেকে কিশোরগঞ্জ রেলপথে কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনটি যে সব স্টেশনে বিরতি নিয়ে থাকে। এই সব স্টেশনের নাম এবং সঠিক সময় গুলো আমাদের নিচে টেবিল এর মাধ্যমে দেখিয়ে দিচ্ছি।
বিরতি স্টেশন নাম | ঢাকা থেকে (৭৮১) | কিশোরগঞ্জ থেকে (৭৮২) |
বিমান বন্দর | সকাল ১১ঃ১২ | বিকাল ০৭ঃ৩২ |
নরসিংদী | দুপুর ১২ঃ০০ | বিকাল ০৬ঃ৪৩ |
মেথিকান্দা | দুপুর ১২ঃ২০ | বিকাল ০৬ঃ২২ |
ভৈরব বাজার | দুপুর ১২ঃ৪০ | বিকাল ০৫ঃ৪৫ |
কুলিয়ারচর | দুপুর ০১ঃ২৫ | বিকাল ০৫ঃ১৪ |
বাজিতপুর | দুপুর ০১ঃ৩৫ | বিকাল ০৫ঃ০৪ |
সরারচর | দুপুর ০১ঃ৪৫ | বিকাল ০৪ঃ৫৪ |
মানিক খালি | দুপুর ০২ঃ১৩ | বিকাল ০৪ঃ৩৫ |
গচিহাটা | দুপুর ০২ঃ২৫ | বিকাল ০৪ঃ১৮ |
কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়া তালিকা
আপনাদের জানিয়ে রাখি বাংলাদেশ রেলওয়ে রেলপথে তাদের ট্রেনগুলোর ভাড়া নির্ধারিত করা হয় দূরত্ব এবং ট্রেনের বিভিন্ন শ্রেণীর মাধ্যমে। তাই কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনটির কয়টি শ্রেণি রয়েছে। আপনাদের সামর্থ্য অনুযায়ী আপনারা এই 6 টি শ্রেণি যেকোনো একটি শ্রেণীতে টিকিট সংগ্রহ করে ভ্রমণ করতে পারেন। নিচে কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস এর ট্রেন টি সঠিক টিকিটের মূল্য দেওয়া হল।
আসন বিভাগ | টিকেটের মূল্য (১৫% ভ্যাট) |
শোভন | ১২০ টাকা |
শোভন চেয়ার | ১৪০ টাকা |
প্রথম সিট | ১৮৫ টাকা |
স্নিগ্ধা | ২৪০ টাকা |
এসি সিট | ৪০০ টাকা |
এসি বার্থ | ৭০০ টাকা |
অনলাইনে টিকেট কাটার নিয়ম
ই-টিকিটিং সিস্টেমে টিকেট কেনার নতুন পদ্ধতি সম্পর্কে জানিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। সেক্ষেত্রে রেলওয়ের ওয়েবসাইটে একবার রেজিস্ট্রেশন করলেই চলবে।
রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া
টিকিট কাটতে অবশ্যই একবার যাত্রীদের রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। সে জন্য প্রথমে www.eticket.railway.gov.bd ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।
সেখানে ওয়েবসাইটটির নিচের দিকে Registration বাটনে ক্লিক করতে হবে। এরপর Create an Account নামের নতুন একটি Page আসবে। এখানে Personal Information এর সংশ্লিষ্ট ঘরগুলো প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে পূরণ করে Security code ঘরের পাশে দেখানো Security Code দিয়ে পূরণ করে Register বাটনে ক্লিক করতে হবে।
সব তথ্য সঠিক থাকলে Registration Successful নামে নতুন একটি Page আসবে।
ই-টিকেটিং সিস্টেম থেকে তাৎক্ষণিকভাবে আপনার দেয়া ই-মেইলে Bangladesh Railway থেকে একটি মেইল পাঠানো হবে।
Bangladesh Railway থেকে আসা মেইলটি খুলে সেখানে মেসেজে থাকা Click লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে। এরপর যাত্রীর Registration সম্পন্ন হবে।
টিকিট কাটার প্রক্রিয়া
রেজিস্ট্রেশন শেষ হওয়ার পর যাত্রীরা টিকিট কাটতে পারবেন। এ জন্য তাকে প্রথমে www.eticket.railway.gov.bd ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।
সেখানে থাকা Log in প্যানেলে ই-মেইল ঠিকানা, পাসওয়ার্ড এবং সিকিউরিটি কোড পূরণ করতে হবে।
পরে যে Page আসবে তাতে Purchase ticket বাটনে ক্লিক করতে হবে। এখানে যাত্রীকে পূরণ করতে হবে তিনি কোন তারিখের টিকিট কাটতে চান, কোন স্টেশন থেকে কোন স্টেশন পর্যন্ত, ট্রেনের নাম, শ্রেণি, টিকেট সংখ্যা।
পরে দেখানো হবে Registration Seat Available কি না এবং টিকিটের দাম। সেখানে সবকিছু ঠিক থাকলে Purchase ticket বাটনে ক্লিক করতে হবে।
ক্রেডিট কার্ড, ক্যাশ কার্ড কিংবা ব্রাক ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট দিয়ে টিকিটের দাম পরিশোধ করতে পারবেন যাত্রীরা। পরে যাত্রীর ই-মেইলে ই-টিকেটটি পাঠিয়ে দেবে বাংলাদেশ রেলওয়েল।
এরপর সেই টিকিট প্রিন্ট দিয়ে ফটো আইডিসহ ট্রেনে ভ্রমণ করতে পারবেন। কিংবা ই-টিকেট প্রদত্ত Ticket Print Information দিয়ে সংশ্লিষ্ট স্টেশন থেকে যাত্রার পূর্বে ছাপানো টিকেটও সংগ্রহ করতে পারবেন।
সাম্প্রতিক মন্তব্য
#Samapti biswas
আমার সোমবার সকালে দুইটা টিকেট লাগবে। আর এটা আমি কি ভাবে নিবো