চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী ২০২৩-Chitra Express train schedule 2023
চিত্রা এক্সপ্রেস (ট্রেন নং ৭৬৩/৭৬৪) হলো ঢাকা -খুলনা পথে চলাচলকারী আন্তঃনগর ট্রেন। চিত্রা ট্রেনটি ব্রডগেজ বগিতে ঢাকা থেকে খুলনা পথে চলাচল করে। ট্রেনটিতে মোট ১২টি বগি এবং আসনসংখ্যা ৮৮১টি। ট্রেনটিতে দুটি করে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) কেবিন ও এসি চেয়ার কামরা আছে। বিভিন্ন দিবসে ( বিশেষ করে দুই ঈদে) ট্রেনটিতে অতিরিক্ত বগি সংযোজন করা হয়। এটি প্রথম যাত্রী সেবা ০৭ অক্টোবর ২০০৭ সালে ঢাকা কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে খুলনা রেলওয়ে স্টেশনে সার্ভিস দেয়। ঢাকা থেকে খুলনার দূরত্ব ৪৪৯ কিলোমিটার বা (২৭৯) মাইল। ঢাকা থেকে খুলনা যেতে প্রায় ১০ ঘণ্টা সময় লাগে।
চিত্রা এক্সপ্রেস ঢাকা থেকে খুলনা সময়সূচী
ঢাকা-খুলনা রুটে প্রতিদিন চিত্রা এক্সপ্রেস চলাচল করে। ঢাকা থেকে যাত্রা শুরু করার সময় চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনের নম্বর ৭৬৩। চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী ঢাকা কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে সন্ধ্যা ৭.০০ টায় এবং খুলনা রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছাবে ভোর ৩.৪০ মিনিটে। সোমবার চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেন বন্ধের দিন।
খুলনা থেকে চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী
খুলনা থেকে ঢাকা, চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনের কোড হল ৭৬৪। এটি খুলনা রেলওয়ে স্টেশন থেকে সকাল ৯.০০ মিনিটে ছেড়ে যায় এবং কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছায় বিকাল ৫.৫৫ মিনিটে। সোমবার চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেন বন্ধের দিন।
আমরা আপনাদের সুবিধার্থে কথা চিন্তা করে চিত্রা এক্সপ্রেস এর স্টেশন গুলির নাম সময় এবং টিকিটের মূল্য নিচের ছকের মাধ্যমে প্রকাশ করছি দয়া করে ছক টি ভালভাবে দেখুন-
স্টেশনের নাম | ছাড়ায় সময় | পৌছানোর সময় | ছুটির দিন |
ঢাকা টু খুলনা | সন্ধ্যা ৭:০০ মিনিট | ভোর ৩.৪০ মিনিট | সোমবার |
খুলনা টু ঢাকা | সকাল ৯.০০ মিনিট | বিকাল ৫.৫৫ মিনিট | সোমবার |
চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনের বিরতিস্থান ও সময়সূচি
চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনটি ৪৪৯ কিলোমিটার যাত্রায় কয়েকটি স্টেশনে বিরতি রাখেন সেই স্টেশন গুলোর নাম নিচে দেওয়া হল।
খুলনা
নওয়াপাড়া
যশোর
কোট চাঁদপুর
দর্শনা হল্ট
চুয়াডাঙ্গা
আলমডাঙ্গা
পোড়াদহ
মিরপুর
ভেড়ামারা
ঈশ্বরদী জংশন
চাটমোহর
বড়ালব্রীজ
উল্লাপাড়া
শহীদ এম মনসুর আলী
বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব
টাঙ্গাইল
মির্জাপুর
জয়দেবপুর
ঢাকা বিমানবন্দর
কমলাপুর
চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়ার তালিকা
আপনি কি চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়ার তালিকা সম্পর্কে জানতে চান?. তাহলে এই পোষ্টটি আপনার জন্য প্রযোজ্য থাকবে. ট্রেন কর্তৃপক্ষ প্রতিটি সিটের জন্য একটি ভাড়া নির্ধারণ করেছেন এবং প্রকাশ করেছেন. ট্রেনটিতে চার ধরনের সিট আছে যেমন:
আসন বিভাগ | টিকেটের মূল্য (১৫% ভ্যাট) |
শোভন চেয়ার | ৫০৫ টাকা |
প্রথম সিট | ৬৭০ টাকা |
প্রথম বার্থ | ১০০৫ টাকা |
স্নিগ্ধা | ৮৪০ টাকা |
এসি সিট | ১০০৫ টাকা |
এসি বার্থ | ১৫০৫ টাকা |
অন্যান্য যাত্রা বিরতীর স্থান ও ভাড়ার তালিকা
গন্তব্যস্থল | শোভন চেয়ার | স্নিগ্ধা | এসি বার্থ |
খুলনা/নওয়াপড়া | ৪৬৫ টাকা | ৭৭৫ টাকা | ১৩৯০ টাকা |
যশোর | ৪২০ টাকা | ৭০০ টাকা | ১২৬০ টাকা |
কোটচাঁদপুর | ৪০৫ টাকা | ৬৭০ টাকা | ১২০৫ টাকা |
দর্শনাহলট | ৩৭০ টাকা | ৬১৫ টাকা | ১১১০ টাকা |
চুয়াডাঙ্গা | ৩৬০ টাকা | ৬০০ টাকা | ১০৭৫ টাকা |
আলমডাঙ্গা | ৩৪৫ টাকা | ৫৭৫ টাকা | ১০৩৫ টাকা |
পোড়াদহ | ৩৩৫ টাকা | ৫৫৫ টাকা | ৯৯৫ টাকা |
মীরপুর | ৩২৫ টাকা | ৫৪০ টাকা | ৯৭৫ টাকা |
ভেড়ামারা | ৩২০ টাকা | ৫৩০ টাকা | ৯৫৫ টাকা |
ঈশ্বরদী | ২৭০ টাকা | ৪৫০ টাকা | ৮১০ টাকা |
চাটমোহর | ২৫০ টাকা | ৪১৫ টাকা | ৭৫০ টাকা |
বড়ালব্রীজ | ২৪৫ টাকা | ৪০৫ টাকা | ৭২৫ টাকা |
উল্লাপাড়া | ২২৫ টাকা | ৩৭৫ টাকা | ৬৭০ টাকা |
শহীদ এম মনসুর আলী | ২১০ টাকা | ৩৪৫ টাকা | ৬২০ টাকা |
বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব | ১২৫ টাকা | ২১০ টাকা | ৩৭৫ টাকা |
টাঙ্গাইল | ১০৫ টাকা | ১৭৫ টাকা | ৩১৫ টাকা |
মির্জাপুর | ৮০ টাকা | ১৩০ টাকা | ২৩৫ টাকা |
জয়দেবপুর | ৪০ টাকা | ৯০ টাকা | ১২০ টাকা |
চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনটির সুবিধা
চিত্রা এক্সপ্রেস একটি আধুনিক বিলাসবহুল ট্রেন সকল সুযোগ সুবিধা ট্রেনটিতে আছে ট্রেনটিতে নামাজের জন্য নির্ধারিত জায়গা রয়েছে ট্রেনটিতে কোন অকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন রয়েছে যাতে করে ট্রেনের যাত্রা সময় কোন আঙ্কিত ঘটনা না হয়। ট্রেনটিতে জামানায় দুটি করে প্রটেকশন শাটার দেয়া হয়েছে। চিত্রা এক্সপ্রেস এর ট্রেনের খাবারে অত্যন্ত মানসম্মত ও স্বাস্থ্যসম্মত আপনি যদি ট্রেনটিতে ভ্রমণকালে কিছু খেতে চান তাহলে ট্রেনটিতে সব রকমের খাবার রয়েছে আপনি নির্বিঘ্নে খেতে পারেন।
চিত্রা এক্সপ্রেস প্রধান স্টেশনের ঠিকানা ও যোগাযোগ
আমাদের এই নিবন্ধে চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনের প্রধান স্টেশনের ঠিকানা ও মোবাইল নাম্বার প্রদান করেছি যাতে আপনি যেকোনো প্রয়োজনে সহজেই পেতে পারেন এবং প্রধান স্টেশন এর ঠিকানা ও মোবাইল নাম্বারে কল দিয়ে যেকোনো সভা গ্রহণ করতে পারেন বা আপনার মতামত বা অভিযোগ জানাতে পারেন।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন
ফোন নম্বর: +৮৮-০২-৯৩৫৮৬৩৪,৯৩৩১৮২২
মোবাইল নম্বর: +৮৮-০১৭১১৬৯১৬১২
বিমানবন্দর রেলওয়ে ষ্টেশন
ফোন নম্বর:+৮৮-০২- ৮৯২৪২৩৯
ওয়েবসাইট: www.railway.gov.bd
অনলাইনে টিকেট কাটার নিয়ম
ই-টিকিটিং সিস্টেমে টিকেট কেনার নতুন পদ্ধতি সম্পর্কে জানিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। সেক্ষেত্রে রেলওয়ের ওয়েবসাইটে একবার রেজিস্ট্রেশন করলেই চলবে।
রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া
টিকিট কাটতে অবশ্যই একবার যাত্রীদের রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। সে জন্য প্রথমে www.eticket.railway.gov.bd ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।
সেখানে ওয়েবসাইটটির নিচের দিকে Registration বাটনে ক্লিক করতে হবে। এরপর Create an Account নামের নতুন একটি Page আসবে। এখানে Personal Information এর সংশ্লিষ্ট ঘরগুলো প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে পূরণ করে Security code ঘরের পাশে দেখানো Security Code দিয়ে পূরণ করে Register বাটনে ক্লিক করতে হবে।
সব তথ্য সঠিক থাকলে Registration Successful নামে নতুন একটি Page আসবে।
ই-টিকেটিং সিস্টেম থেকে তাৎক্ষণিকভাবে আপনার দেয়া ই-মেইলে Bangladesh Railway থেকে একটি মেইল পাঠানো হবে।
Bangladesh Railway থেকে আসা মেইলটি খুলে সেখানে মেসেজে থাকা Click লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে। এরপর যাত্রীর Registration সম্পন্ন হবে।
টিকিট কাটার প্রক্রিয়া
রেজিস্ট্রেশন শেষ হওয়ার পর যাত্রীরা টিকিট কাটতে পারবেন। এ জন্য তাকে প্রথমে www.eticket.railway.gov.bd ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।
সেখানে থাকা Log in প্যানেলে ই-মেইল ঠিকানা, পাসওয়ার্ড এবং সিকিউরিটি কোড পূরণ করতে হবে।
পরে যে Page আসবে তাতে Purchase ticket বাটনে ক্লিক করতে হবে। এখানে যাত্রীকে পূরণ করতে হবে তিনি কোন তারিখের টিকিট কাটতে চান, কোন স্টেশন থেকে কোন স্টেশন পর্যন্ত, ট্রেনের নাম, শ্রেণি, টিকেট সংখ্যা।
পরে দেখানো হবে Registration Seat Available কি না এবং টিকিটের দাম। সেখানে সবকিছু ঠিক থাকলে Purchase ticket বাটনে ক্লিক করতে হবে।
ক্রেডিট কার্ড, ক্যাশ কার্ড কিংবা ব্রাক ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট দিয়ে টিকিটের দাম পরিশোধ করতে পারবেন যাত্রীরা। পরে যাত্রীর ই-মেইলে ই-টিকেটটি পাঠিয়ে দেবে বাংলাদেশ রেলওয়েল।
এরপর সেই টিকিট প্রিন্ট দিয়ে ফটো আইডিসহ ট্রেনে ভ্রমণ করতে পারবেন। কিংবা ই-টিকেট প্রদত্ত Ticket Print Information দিয়ে সংশ্লিষ্ট স্টেশন থেকে যাত্রার পূর্বে ছাপানো টিকেটও সংগ্রহ করতে পারবেন।
সাম্প্রতিক মন্তব্য
#মোঃ মতিউর রহমান
খুলনা থেকে মিরপুর স্টেশন আগামীকালের ট্রেনের সময়সূচী জানতে চাই