রুপসা এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী ২০২৩-Rupsha Express train schedule 2023
রূপসা এক্সপ্রেস বাংলাদেশ রেলওয়ের অধীনে পরিচালিত খুলনা থেকে চিলাহাটি রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত চলাচলকারী একটি আন্তঃনগর ট্রেন। এটি একটি জনপ্রিয় ও বিলাসবহুল আন্তঃনগর ট্রেন। রূপসা এক্সপ্রেস ছাড়াও খুলনা চিলাহাটি রুটে সীমান্ত এক্সপ্রেস চলাচল করে। রূপসা এক্সপ্রেস ট্রেন নম্বর- ৭২৭/৭২৮। বাংলাদেশে যে কয়েকটি দীর্ঘ রেল রুট রয়েছে তার মধ্যে খুলনা চিলাহাটি অন্যতম। ব্রডগেজে চলাচলকারী রূপসা এক্সপ্রেস উদ্বোধন হয় ৫ই মে ১৯৮৬ খ্রিস্টাব্দে। রুপসা এক্সপ্রেস ট্রেনটি খুলনা থেকে চিলাহাটি রেল পথ অতিক্রম করে যেহেতু। তাই এই ট্রেনটিতে ভ্রমণ করার সময় যাত্রীরা আরামদায়ক এবং বিলাস বহুল যাত্রা করে থাকেন। কারণ এই ট্রেনটিতে রয়েছে যাত্রীদের জন্য সব রকমের সুযোগ সুবিধা।
রুপসা এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী
এখানে আলোচনা করবো রুপসা এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচি নিয়ে। ইতিমধ্যেই জেনে গেছেন রুপসা এক্সপ্রেস ট্রেনটি চিলাহাটি থেকে খুলনা-খুলনা থেকে চিলাহাটি যাত্রা করে। প্রথমেই জানিয়ে রাখি রুপসা এক্সপ্রেস ট্রেনটি বৃহস্পতিবার চলাচল বন্ধ রাখে। আপনাদের সুবিধার্থে, ছাড়ার সময় এবং পৌছানোর সময় নিজের টেবিলে দেওয়া হল-
স্টেশনের নাম | ছাড়ার সময় | পৌছানেোর সময় | ছুটির দিন |
খুলনা টু চিলাহাটি | সকাল ০৭:১০ | দুপুর ০৩:২৭ | বৃহস্পতিবার |
চিলাহাটি টু খুলনা | সকাল ০৯:৩০ | সন্ধ্যা ০৬:৩০ | বৃহস্পতিবার |
রুপসা এক্সপ্রেস ট্রেনের বিরতি স্টেশন ও সময়সূচী
রুপসা এক্সপ্রেস ট্রেনটির দৈর্ঘ্য যাত্রা করে থাকে। সেন্টু এই ট্রেনটি বিভিন্ন জেলার উপর দিয়ে ভ্রমণ করে থাকি। প্রত্যেক জেলার কিছু স্টেশন রয়েছে এই স্টেশনগুলোতে রুপসা এক্সপ্রেস ট্রেনটি বিরতি নিয়ে থাকে। খুলনা থেকে চিলাহাটি রেলপথের দূরত্ব প্রায় ৪৪৬ কিলোমিটার। এই দীর্ঘ রেলপথে মোট ২০ টি স্টেশনে রুপসা এক্সপ্রেস ট্রেনটি বিরতি নিয়ে থাকে।
নিচে প্রত্যেকটি স্টেশনের নাম এবং সময়সূচী দেওয়া হল। এই সময় সূচির মাধ্যমে আপনারা রুপসা এক্সপ্রেস ট্রেনটির সবগুলো স্টেশনের তথ্য জানতে পারবেন।
বিরতি স্টেশন নাম | খুলনা থেকে (৭২৭) | চিলাহাটি থেকে (৭২৮) |
যশোর | সকাল ০৮:১২ | বিকাল ০৫:১৭ |
কোট চাঁদপুর | সকাল ০৮:৫৬ | বিকাল ০৪:৩২ |
দর্শনা হল্ট | সকাল ৯:২২ | বিকাল ০৪:০৬ |
চুয়াডাঙ্গা | সকাল ৯:৪৪ | বিকাল ০৩:৪৪ |
আলমডাঙ্গা | সকাল ১০:০৫ | বিকাল ০৩:২৪ |
পোড়াদহ | সকাল ১০:২২ | বিকাল ০৩:০৬ |
ভেড়ামারা | সকাল ১০:৪৪ | বিকাল ০২:৪৫ |
পাকশী | সকাল ১০:৫৮ | বিকাল ০২:৩১ |
ঈশ্বরদী | সকাল ১১:২০ | বিকাল ০২:০০ |
নাটোর | দুপুর ১২:০৩ | দুপুর ০১:১৯ |
আহসানগঞ্জ | দুপুর ১২:৪১ | দুপুর ১২:৫৫ |
সান্তাহার | দুপুর ০১:১০ | দুপুর ১২:১০ |
আক্কেলপুর | দুপুর ০১:৩৫ | সকাল ১১:৪৩ |
জয়পুরহাট | দুপুর ০১:৫১ | সকাল ১১:২৬ |
বিরামপুর | দুপুর ০২:২৪ | সকাল ১০:৫৪ |
ফুলবাড়ি | দুপুর ০২:৩৮ | সকাল ১০:৪০ |
পার্বতীপুর | বিকাল ০৩:০০ | সকাল ১০:০০ |
সৈয়দপুর | বিকাল ০৩:২৭ | সকাল ০৯:৩০ |
নীলফামারী | বিকাল ০৩:৫৫ | সকাল ০৯:০৫ |
ডোমার | বিকাল ০৪:১১ | ভোর ০৪:৪৮ |
রুপসা এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়ার তালিকা
রুপসা এক্সপ্রেস ট্রেনে আপনি নতুন হয়ে থাকলে ভাড়ার তালিকা আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অন্য সকল যানবাহন থেকে ট্রেন ভ্রমণ খরচ অনেকটাই কম। আপনি যদি স্বল্পব্যয়ে ভ্রমণ করার কথা ভেবে থাকেন তাহলে ট্রেনের বিকল্প নেই। ট্রেন এমন একটি যানবাহন যার ভিতরের পরিবেশ এবং স্টেশন বিরতি, শব্দ সবকিছুই অনেক মজার। ট্রেনে রয়েছে আসুন বিভাগ তাই আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী টিকিট ক্রয় করতে পারবেন। অথবা ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে ঘরে বসেই টিকিট ক্রয় করতে পারবেন। আসন বিভাগসহ টিকিটের মূল্য নিচের টেবিলে দেওয়া হল।
আসন | টিকেটের মূল্য (১৫%ভ্যাট) |
শোভন চেয়ার | ১৭০ টাকা |
প্রথম সিট | ৩৪০ টাকা |
প্রথম বার্থ | ৪৯০ টাকা |
স্নিগ্ধা | ২০০ টাকা |
এসি সিট | ৫৬৪ টাকা |
এসি বার্থ | ৮২৩ টাকা |
অনলাইনে টিকেট কাটার নিয়ম
ই-টিকিটিং সিস্টেমে টিকেট কেনার নতুন পদ্ধতি সম্পর্কে জানিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। সেক্ষেত্রে রেলওয়ের ওয়েবসাইটে একবার রেজিস্ট্রেশন করলেই চলবে।
রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া
টিকিট কাটতে অবশ্যই একবার যাত্রীদের রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। সে জন্য প্রথমে www.eticket.railway.gov.bd ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।
সেখানে ওয়েবসাইটটির নিচের দিকে Registration বাটনে ক্লিক করতে হবে। এরপর Create an Account নামের নতুন একটি Page আসবে। এখানে Personal Information এর সংশ্লিষ্ট ঘরগুলো প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে পূরণ করে Security code ঘরের পাশে দেখানো Security Code দিয়ে পূরণ করে Register বাটনে ক্লিক করতে হবে।
সব তথ্য সঠিক থাকলে Registration Successful নামে নতুন একটি Page আসবে।
ই-টিকেটিং সিস্টেম থেকে তাৎক্ষণিকভাবে আপনার দেয়া ই-মেইলে Bangladesh Railway থেকে একটি মেইল পাঠানো হবে।
Bangladesh Railway থেকে আসা মেইলটি খুলে সেখানে মেসেজে থাকা Click লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে। এরপর যাত্রীর Registration সম্পন্ন হবে।
টিকিট কাটার প্রক্রিয়া
রেজিস্ট্রেশন শেষ হওয়ার পর যাত্রীরা টিকিট কাটতে পারবেন। এ জন্য তাকে প্রথমে www.eticket.railway.gov.bd ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।
সেখানে থাকা Log in প্যানেলে ই-মেইল ঠিকানা, পাসওয়ার্ড এবং সিকিউরিটি কোড পূরণ করতে হবে।
পরে যে Page আসবে তাতে Purchase ticket বাটনে ক্লিক করতে হবে। এখানে যাত্রীকে পূরণ করতে হবে তিনি কোন তারিখের টিকিট কাটতে চান, কোন স্টেশন থেকে কোন স্টেশন পর্যন্ত, ট্রেনের নাম, শ্রেণি, টিকেট সংখ্যা।
পরে দেখানো হবে Registration Seat Available কি না এবং টিকিটের দাম। সেখানে সবকিছু ঠিক থাকলে Purchase ticket বাটনে ক্লিক করতে হবে।
ক্রেডিট কার্ড, ক্যাশ কার্ড কিংবা ব্রাক ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট দিয়ে টিকিটের দাম পরিশোধ করতে পারবেন যাত্রীরা। পরে যাত্রীর ই-মেইলে ই-টিকেটটি পাঠিয়ে দেবে বাংলাদেশ রেলওয়েল।
এরপর সেই টিকিট প্রিন্ট দিয়ে ফটো আইডিসহ ট্রেনে ভ্রমণ করতে পারবেন। কিংবা ই-টিকেট প্রদত্ত Ticket Print Information দিয়ে সংশ্লিষ্ট স্টেশন থেকে যাত্রার পূর্বে ছাপানো টিকেটও সংগ্রহ করতে পারবেন।