সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী ২০২৩-Sundarbans Express train schedule 2023
সুন্দরবন এক্সপ্রেস হল বাংলাদেশ রেলওয়ের একটি আন্তঃনগর এক্সপ্রেস ট্রেন যা রাজধানী ঢাকাকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর খুলনার সাথে সংযুক্ত করে। এটি ১৭ আগস্ট ২০০৩ তারিখে তার কার্যক্রম শুরু করে। বর্তমানে, সুন্দরবন এক্সপ্রেস বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলীয় অঞ্চলে চলাচল করে। সুন্দরবন এক্সপ্রেসের মোট দূরত্ব প্রায় ৪৪৯ কিলোমিটার বা ২৭৯ মাইল। সুন্দরবন এক্সপ্রেস ঢাকা থেকে খুলনা যেতে প্রায় ৮-১০ ঘন্টা সময় নেয়।
সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনের বগি ও সিট সংখ্যা
সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনটির বগি ও সিটের সংখ্যা কত হতে পারে তা সকলের জানা দরকার. এই ট্রেনটির বগি হচ্ছে ১২টি. তার মধ্যে দুইটি স্নিগ্ধা, দুইটা এসি চেয়ার ও 6টি শোভন চেয়ার. টিনটিন দুই প্রান্তে দুইটা পাওয়ার কার এবং চার থেকে পাঁচটি ক্যান্টিন রয়েছে. তাছাড়াও ট্রেনটিতে আরও সুবিধা রয়েছে মুসলমান ব্যক্তিদের নামাজের জন্য একটি জায়গা রয়েছে. ট্রেনটিতে সিঙ্গেল ও ডাবল কেবিন এর সুবিধা রয়েছে।
ঢাকা থেকে সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী
সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনের কোড হল ৭২৬ যখন ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন থেকে যাত্রা শুরু হয়। ঢাকা-খুলনা রুটে প্রতিদিন সুন্দরবন এক্সপ্রেস চলাচল করে।
ঢাকা কমলাপুর ট্রেন স্টেশন থেকে সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনের সময় সকাল ৬.২০ মিনিটে এবং খুলনা ট্রেন স্টেশনে পৌঁছানোর সময় বিকেল ৫.০০ টায়। বুধবার সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেন বন্ধের দিন। সুন্দরবন এক্সপ্রেস দিয়ে ভ্রমণ করতে চাইলে বুধবার এড়িয়ে চলুন।
খুলনা থেকে সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী
সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেন খুলনা থেকে ঢাকা ফেরত একই দিনে। খুলনা থেকে ঢাকা পর্যন্ত সুন্দরবন এক্সপ্রেসের কোড হল ৭২৫। সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী খুলনা রেলওয়ে স্টেশন থেকে রাত ০৮.০০ টায় এবং এটি কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে সকাল ০৬:৩০ মিনিটে পৌঁছায়। মঙ্গলবার সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেন বন্ধের দিন।
ঢাকা থেকে খুলনা এবং খুলনা থেকে ঢাকাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেন নিচে দেওয়া হল-
স্টেশনের নাম | ছাড়ায় সময় | পৌছানোর সময় | ছুটির দিন |
ঢাকা থেকে খুলনা | সকাল ০৬:২০ | বিকেল ৫.০০ টা | বুধবার |
খুলনা থেকে ঢাকা | রাত ০৮.০০ টা | সকাল ০৬:৩০ | মঙ্গলবার |
সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনের বিরতি স্টেশন ও সময়সূচী
ঢাকা থেকে খুলনার উদ্দেশ্যে সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনটি চলাচল করার সময় মোট ১৭ স্টেশনে স্টেশনে বিরতি নিয়ে থাকে। এই স্টেশনগুলো সময়সূচী এবং কতক্ষণ করে বিরতি নিয়ে থাকে সে সম্পর্কে আপনাদের ধারণা দিবো। তাই নিচে টেবিল এর মাধ্যমে এই সব স্টেশনের সময়সূচি দেখে নিন।
বিরতি স্টেশন নাম | খুলনা থেকে (৭২৫) | ঢাকা থেকে (৭২৬) |
দৌলতপুর | রাত ১০:৫ | বিকাল ৫:১৯ |
নওয়াপাড়া | রাত ১০:৪৯ | বিকাল ৪:৫২ |
যশোর জংশন | রাত ১১:২০ | বিকাল ৪:২০ |
কোটচাদপুর | রাত ১২:০০ | দুপুর ৩:৪২ |
চুয়াডাঙ্গা | রাত ১২:৫৩ | দুপুর ২:৪১ |
আলমডাঙ্গা | রাত ১:১৩ | দুপুর ২:২০ |
পোড়াদহ | রাত ১:৩২ | দুপুর ২:০১ |
ভেড়ামারা | রাত ১:৫৩ | দুপুর ১:৪০ |
ঈশ্বরদী | রাত ২:১৫ | দুপুর ১:০০ |
চাট্মোহর | রাত ৩:০০ | দুপুর ১২:২৪ |
বড়াল্ব্রীজ | রাত ৩:১৩ | দুপুর ১২:০৮ |
উল্লাপাড়া | রাত ৩:৩৬ | সকাল ১১:৪৬ |
জামতেল | রাত ৩:৫১ | সকাল ১১:৩২ |
শ,এম,ম,আলী | রাত ৪:০০ | সকাল ১১:২১ |
বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব | রাত ৪:৪২ | সকাল ১০:৪৫ |
জয়দেবপুর | ভোর ৫:৫৭ | সকাল ৯:১২ |
বিমানবন্দর | সকাল ৬:২৫ | সকাল ৮:৪২ |
সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়ার তালিকা
সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনটি যেহেতু বিলাসবহুল ও আধুনিক একটি ট্রেন সেহেতু এই ট্রেনের চারটি শ্রেণীতে টিকিটের মূল্য নির্ধারিত করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। তাই আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী যেকোনো একটি শ্রেণীতে টিকিট সংগ্রহ করে ভ্রমণ করতে পারেন। আপনাদের জানিয়ে রাখি বাংলাদেশ রেলওয়ে অধিদপ্তর টিকিটের মূল্য 15% ভ্যাট সহকারে টিকিট নির্ধারিত করেছে।
স্টেশনের নাম | শোভন | শোভন চেয়ার | প্রথম সিট | এসি সিট |
জয়দেবপুর | ৩৫ | ৪০ | ৮০ | ৯০ |
মির্জাপুর | ৬৫ | ৮০ | ১০৫ | ১৩০ |
টাঙ্গাইল | ৯০ | ১০৫ | ১৪০ | ১৭৫ |
বি-বি-পূর্ব | ১০৫ | ১২৫ | ১৬৫ | ২১০ |
জামতলী | ১৮০ | ২১৫ | ২৮৫ | ৩৫৫ |
উল্লাপাড়া | ১৯০ | ২২৫ | ৩০০ | ৩৭৫ |
বড়াল ব্রিজ | ২০৫ | ২৪৫ | ৩২৫ | ৩৭৫ |
চাটমোহর | ২১০ | ২৫০ | ৩৩৫ | ৪০৫ |
ঈশ্বরদী | ২২৫ | ২২৫ | ২৭০ | ৪২৫ |
ভেড়ামারা | ২৬৫ | ২৭০ | ৩৩৫ | ৪৫০ |
মিরপুর | ২৭০ | ৩২০ | ৪২৫ | ৫৩০ |
পোড়াদহ | ২৮০ | ৩২৫ | ৪৩৫ | ৫৪০ |
আলমডাঙ্গা | ২৯০ | ৩৩৫ | ৪৪৫ | ৫৫৫ |
চুয়াডাঙ্গা | ৩০০ | ৩৪৫ | ৪৬০ | ৫৭৫ |
কোটচাঁদপুর | ৩৩৫ | ৩৬০ | ৪৮০ | ৬০০ |
যশোর | ৩৫০ | ৪২০ | ৫৬০ | ৭০০ |
খুলনা | ৩৯০ | ৪৬৫ | ৬২০ | ৭৭৫ |
অনলাইনে টিকেট কাটার নিয়ম
ই-টিকিটিং সিস্টেমে টিকেট কেনার নতুন পদ্ধতি সম্পর্কে জানিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। সেক্ষেত্রে রেলওয়ের ওয়েবসাইটে একবার রেজিস্ট্রেশন করলেই চলবে।
রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া
টিকিট কাটতে অবশ্যই একবার যাত্রীদের রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। সে জন্য প্রথমে www.eticket.railway.gov.bd ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।
সেখানে ওয়েবসাইটটির নিচের দিকে Registration বাটনে ক্লিক করতে হবে। এরপর Create an Account নামের নতুন একটি Page আসবে। এখানে Personal Information এর সংশ্লিষ্ট ঘরগুলো প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে পূরণ করে Security code ঘরের পাশে দেখানো Security Code দিয়ে পূরণ করে Register বাটনে ক্লিক করতে হবে।
সব তথ্য সঠিক থাকলে Registration Successful নামে নতুন একটি Page আসবে।
ই-টিকেটিং সিস্টেম থেকে তাৎক্ষণিকভাবে আপনার দেয়া ই-মেইলে Bangladesh Railway থেকে একটি মেইল পাঠানো হবে।
Bangladesh Railway থেকে আসা মেইলটি খুলে সেখানে মেসেজে থাকা Click লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে। এরপর যাত্রীর Registration সম্পন্ন হবে।
টিকিট কাটার প্রক্রিয়া
রেজিস্ট্রেশন শেষ হওয়ার পর যাত্রীরা টিকিট কাটতে পারবেন। এ জন্য তাকে প্রথমে www.eticket.railway.gov.bd ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।
সেখানে থাকা Log in প্যানেলে ই-মেইল ঠিকানা, পাসওয়ার্ড এবং সিকিউরিটি কোড পূরণ করতে হবে।
পরে যে Page আসবে তাতে Purchase ticket বাটনে ক্লিক করতে হবে। এখানে যাত্রীকে পূরণ করতে হবে তিনি কোন তারিখের টিকিট কাটতে চান, কোন স্টেশন থেকে কোন স্টেশন পর্যন্ত, ট্রেনের নাম, শ্রেণি, টিকেট সংখ্যা।
পরে দেখানো হবে Registration Seat Available কি না এবং টিকিটের দাম। সেখানে সবকিছু ঠিক থাকলে Purchase ticket বাটনে ক্লিক করতে হবে।
ক্রেডিট কার্ড, ক্যাশ কার্ড কিংবা ব্রাক ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট দিয়ে টিকিটের দাম পরিশোধ করতে পারবেন যাত্রীরা। পরে যাত্রীর ই-মেইলে ই-টিকেটটি পাঠিয়ে দেবে বাংলাদেশ রেলওয়েল।
এরপর সেই টিকিট প্রিন্ট দিয়ে ফটো আইডিসহ ট্রেনে ভ্রমণ করতে পারবেন। কিংবা ই-টিকেট প্রদত্ত Ticket Print Information দিয়ে সংশ্লিষ্ট স্টেশন থেকে যাত্রার পূর্বে ছাপানো টিকেটও সংগ্রহ করতে পারবেন।
সাম্প্রতিক মন্তব্য
#ranachoudhury66755@gmail.com
এয়ারপোর্ট থেকে সুন্দরবন এক্সপ্রেস এর টিকিট পাইছি না কাউন্টার থেকে বলছি শেষ হয়ে গেছে