ঢাকা টু দেওয়ানগঞ্জ ট্রেনের সময়সূচী ২০২৩-Dhaka to Dewanganj train schedule 2023
ঢাকা থেকে দেওয়ানগঞ্জ ১১২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ঢাকা থেকে দেওয়ানগঞ্জ রেলপথে প্রধান দুটি আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করে। আন্তঃনগর ট্রেন দুইটি হল তিতাস এক্রপ্রেস ৭০৮ এবং ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ৭৪৩ ট্রেন। ট্রেন দুটি ভিন্ন সময়ে রেলপথে যাতায়াত করে।
ঢাকা টু দেওয়ানগঞ্জ ট্রেনের সময়সূচী
ঢাকা টু দেওয়ানগঞ্জ ট্রেনের সময়সূচী সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব এখানে। আপনি যদি এই রোডে ভ্রমণ করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে সময়সূচী জানতে হবে। সময়সূচী জানার ফলে আপনার সময় কেমন থাকবে এবং ভ্রমণ আনন্দায়ক হবে। তাই আমি মনে করি ভ্রমণের পূর্বে ভ্রমণ সময়সূচী সম্পর্কে জ্ঞান থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা প্রথমে অন্তনগর যে ২টি ট্রেন রয়েছি সেই ট্রেনটির সময়সূচি নিয়ে আপনাদের সামনে আলোচনা করব। এই ট্রেন দুইটির নাম, ছুটির দিন, ছাড়ার সময় এবং পৌছানোর সময় নিচের টেবিলে দেওয়া হল-
ট্রেনের নাম | ছাড়ায় সময় | পৌছানোর সময় | ছুটির দিন |
তিতাস এক্সপ্রেস (৭০৭) | সকাল ০৭:৩০ | দুপুর ১২:৪০ | সোমবার |
ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস (৭৪৩) | সন্ধ্যা ০৬:১৫ | রাত ১১:৫০ | নেই |
ঢাকা টু দেওয়ানগঞ্জ ট্রেনের সময়সূচী (মেল এক্সপ্রেস)
ঢাকা থেকে দেওয়ানগঞ্জ রেলপথে আন্তঃনগর ট্রেনগুলো সাথে মেইল এক্সপ্রেস এর লোকাল ট্রেন গুলো যাতায়াত করে। লোকাল ট্রেন গুলো হল দেয়ানগঞ্জ যাত্রী (৪৭), ভাওয়াল এক্সপ্রেস ( ৫৬) এবং জামালপুর যাতায়াত (৫১ )। আপনি চাইলে লোকাল ট্রেন গুলোতে নিরাপত্তার সাথে সুন্দরভাবে যাতায়াত করতে পারবেন। তাই নিচে লোকাল সকল ট্রেনের সময়সূচী এবং ছুটির দিন ও ট্রেনের নাম একসাথে উল্লেখ করা হলো।
ট্রেনের নাম | ছাড়ায় সময় | পৌছানোর সময় | ছুটির দিন |
দেওয়ানগঞ্জ যাত্রী(৪৭) | ভোর ০৫:৪০ | সকাল ১১:৪০ | নেই |
ভাওয়াল এক্সপ্রেস(৫৫) | রাত ০৯:২০ | ভোর ০৫:৪০ | নেই |
জামালপুর যাতায়াত(৫১) | দুপুর ০৩:৪০ | রাত ১০:১৫ | নেই |
ঢাকা টু দেওয়ানগঞ্জ ট্রেনের ভাড়া তালিকা
ঢাকা টু দেওয়ানগঞ্জ ট্রেনের ভাড়ার তালিকা দেখতে পারবেন এখানে। অন্য সকল যানবাহনের থেকে ট্রেন ভ্রমণ কিছুটা সাশ্রয়ী হয়ে থাকে। এর কারণ ট্রেনে রয়েছে আসন বিন্যাস এর ফলে আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী টিকিট ক্রয় করার সুবিধা রয়েছে ট্রেনে। আপনারা চাইলে এখানে বেশি টাকা দিয়ে ভাল আসুন ক্রয় করে আনন্দময় ভ্রমণ করতে পারেন। আবার কম টাকা দিয়ে আসুন ক্রয় করে ভ্রমণ করতে পারেন। এখানে আমরা ভাড়ার তালিকা তুলে ধরবো। জানতে পারবেন কোন আসন এর মূল্য কত। ভাড়ার তালিকা ট্রেনের টিকিট ক্রয় করে নিরাপদ ভ্রমণ করুন। ভাড়ার তালিকা টি নিচে দেওয়া হল।
আসন | টিকেটের মূল্য |
শোভন | ১৮৫ টাকা |
শোভন চেয়ার | ২২৫ টাকা |
প্রথম আসন | ৩০০ টাকা |
প্রথম বার্থ | ৪৪৫ টাকা |
স্নিগ্ধা | ৪২৬ টাকা |
এসি | ৫১২ টাকা |
এসি বার্থ | ৭১১ |
অনলাইনে টিকেট কাটার নিয়ম
ই-টিকিটিং সিস্টেমে টিকেট কেনার নতুন পদ্ধতি সম্পর্কে জানিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। সেক্ষেত্রে রেলওয়ের ওয়েবসাইটে একবার রেজিস্ট্রেশন করলেই চলবে।
রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া
টিকিট কাটতে অবশ্যই একবার যাত্রীদের রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। সে জন্য প্রথমে www.eticket.railway.gov.bd ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।
সেখানে ওয়েবসাইটটির নিচের দিকে Registration বাটনে ক্লিক করতে হবে। এরপর Create an Account নামের নতুন একটি Page আসবে। এখানে Personal Information এর সংশ্লিষ্ট ঘরগুলো প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে পূরণ করে Security code ঘরের পাশে দেখানো Security Code দিয়ে পূরণ করে Register বাটনে ক্লিক করতে হবে।
সব তথ্য সঠিক থাকলে Registration Successful নামে নতুন একটি Page আসবে।
ই-টিকেটিং সিস্টেম থেকে তাৎক্ষণিকভাবে আপনার দেয়া ই-মেইলে Bangladesh Railway থেকে একটি মেইল পাঠানো হবে।
Bangladesh Railway থেকে আসা মেইলটি খুলে সেখানে মেসেজে থাকা Click লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে। এরপর যাত্রীর Registration সম্পন্ন হবে।
টিকিট কাটার প্রক্রিয়া
রেজিস্ট্রেশন শেষ হওয়ার পর যাত্রীরা টিকিট কাটতে পারবেন। এ জন্য তাকে প্রথমে www.eticket.railway.gov.bd ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।
সেখানে থাকা Log in প্যানেলে ই-মেইল ঠিকানা, পাসওয়ার্ড এবং সিকিউরিটি কোড পূরণ করতে হবে।
পরে যে Page আসবে তাতে Purchase ticket বাটনে ক্লিক করতে হবে। এখানে যাত্রীকে পূরণ করতে হবে তিনি কোন তারিখের টিকিট কাটতে চান, কোন স্টেশন থেকে কোন স্টেশন পর্যন্ত, ট্রেনের নাম, শ্রেণি, টিকেট সংখ্যা।
পরে দেখানো হবে Registration Seat Available কি না এবং টিকিটের দাম। সেখানে সবকিছু ঠিক থাকলে Purchase ticket বাটনে ক্লিক করতে হবে।
ক্রেডিট কার্ড, ক্যাশ কার্ড কিংবা ব্রাক ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট দিয়ে টিকিটের দাম পরিশোধ করতে পারবেন যাত্রীরা। পরে যাত্রীর ই-মেইলে ই-টিকেটটি পাঠিয়ে দেবে বাংলাদেশ রেলওয়েল।
এরপর সেই টিকিট প্রিন্ট দিয়ে ফটো আইডিসহ ট্রেনে ভ্রমণ করতে পারবেন। কিংবা ই-টিকেট প্রদত্ত Ticket Print Information দিয়ে সংশ্লিষ্ট স্টেশন থেকে যাত্রার পূর্বে ছাপানো টিকেটও সংগ্রহ করতে পারবেন।