ঢাকা টু জামালপুর ট্রেনের সময়সূচী ২০২৩-Dhaka to Jamalpur train schedule 2023
বাংলাদেশ রেলওয়ের ট্রেনের সময়সূচী অনুসারে , ঢাকা থেকে জামালপুর ট্রেন রুটে ৯ টি ট্রেন উপলব্ধ রয়েছে। এর মধ্যে ৪টি আন্তঃনগর ট্রেন এবং বাকিগুলো মেইল ট্রেন। এই পোস্টে, আমি ঢাকা থেকে জামালপুর ট্রেন রুটে চলাচলকারী সমস্ত ট্রেন নিয়ে আলোচনা করেছি।
ঢাকা টু জামালপুর ট্রেনের সময়সূচী (আন্তঃনগর এক্সপ্রেস)
ঢাকা থেকে জামালপুর রেলপথের দূরত্বে যাত্রাপথে ট্রেনের যাতায়াত সবচেয়ে বেশি ভালো হয়। কারণ ট্রেনের যাতায়াত অনেকটা নিরাপদ। যেহেতু,যাত্রীরা যাতায়াতের জন্য প্রথমে ট্রেন গুলোতে যাতায়াতের সিদ্ধান্ত নেন। ট্রেনের ভ্রমণ করলে কোন রকম দুর্ঘটনা হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে সেই সাথে সময়ের সাশ্রয় হয়।
ট্রেনে যাতায়াত করে সঠিক সময়ে গন্তব্যে পৌঁছানো যায়। ঢাকা থেকে জামালপুর রেলপথে মোট চারটি ট্রেন চলাচল করে। ঢাকা থেকে জামালপুর রেলপথে যে ট্রেনগুলো চলাচল করে সেগুলো হলো তিস্তা এক্সপ্রেস (৭০৭), অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস (৭৩৫), যমুনা এক্সপ্রেস (৭৪৫), এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া এক্সপ্রেস (৭৪৩) ট্রেন ।
তিস্তা এক্সপ্রেস ঢাকা থেকে জামালপুর ট্রেন রুটের সবচেয়ে জনপ্রিয় ট্রেন। এটি ঢাকা থেকে যাত্রা শুরু করে সকাল ০৭:৩০ এ এবং দেওয়ানগঞ্জ, জামালপুর দুপুর ১২:৪০ এ পৌঁছায়। এটি সোমবার বন্ধ থাকে এবং ট্রেনের কোড নং ৭০৭। বিপরীতভাবে এটি দেওয়ানগঞ্জ থেকে দুপুর ০৩:০০ এ শুরু হয় এবং রাত ০৮:২৫ এ ঢাকায় পৌঁছায় এবং ট্রেন কোড নং ৭০৮।
অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস ঢাকা থেকে তারাকান্দি ট্রেন রুটে চলাচল করে। ট্রেনের কোনো ছুটি নেই। অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস ঢাকা থেকে সকাল ১১:০০ টায় ছেড়ে তারাকান্দি বিকাল ০৫:৪৫ এ পৌঁছায়। বিপরীতভাবে এটি তারাকান্দি থেকে বিকাল ০৫:২০ এ শুরু হয় এবং রাত ১১:০০ এ ঢাকায় পৌঁছায়। অগ্নিবিনা এক্সপ্রেস ট্রেন কোড নং ৭৩৫ এবং ৭৩৬।
যমুনা এক্সপ্রেস ঢাকা থেকে জামালপুর ট্রেন রুটে চলে যা ঢাকা থেকে বিকাল ০৪:৪৫ এ শুরু হয় এবং তারাকান্দি রাত ১০:৫৫ এ পৌঁছায়। যমুনা এক্সপ্রেসের কোনো ছুটি নেই। যমুনা এক্সপ্রেস ট্রেন কোড নং ৭৪৫ এবং ৭৪৬। এটি তারাকান্দি থেকে রাত ০২:০০ এ ছাড়ে এবং সকাল ০৭:৪৫ এ ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছায়।
ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস আরেকটি জনপ্রিয় ট্রেন যা ঢাকা থেকে জামালপুর ট্রেন রুটে চলে। এটি সপ্তাহে প্রতিদিন চলে। ট্রেন কোড নং ৭৪৩ এবং ৭৪৪। এটি ঢাকা থেকে সন্ধ্যা ০৬:১৫ এ শুরু হয় এবং রাত ১১:৫০ এ দেওয়ানগঞ্জে পৌঁছায়। বিপরীতে দেওয়ানগঞ্জ থেকে শুরু হয় সকাল ০৬:৩০ এ এবং ঢাকা পৌঁছায় দুপুর ১২:৪০ এ।
ট্রেনের নাম | ছাড়ার সময় | পৌছানোর সময় | ছুটির দিন |
তিস্তা এক্সপ্রেস(৭০৭) | সকাল ০৭:৩০ | দুপুর ১২:৪০ | সোমবার |
অগ্নিবিনা এক্সপ্রেস(৭৩৫) | সকাল ১১:০০ | বিকাল ০৫:৪৫ | নেই |
যমুনা এক্সপ্রেস(৭৪৫) | বিকাল ০৪:৪৫ | রাত ১০:৫৫ | নেই |
ব্রাহ্মণবাড়িয়া এক্সপ্রেস(৭৪৩) | সন্ধ্যা ০৬:১৫ | রাত ১১:৫০ | নেই |
ঢাকা টু জামালপুর ট্রেনের সময়সূচী (মেইল এক্সপ্রেস)
ঢাকা থেকে জামালপুর রেলপথে আন্তঃনগর ট্রেন গুলোর পাশাপাশি মেইল এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচল করে। ট্রেন গুলো হল- ময়মনসিংহ এক্সপ্রেস (৩৭) ,দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার (৪৭), জামালপুর কমিউটার (৫১) ও ভাওয়াল এক্সপ্রেস (৫৫),ধলেশ্বরী এক্সপ্রেস (৭৫)৫ টি ট্রেন চলাচল করে। আন্তঃনগর ট্রেন গুলোর পাশাপাশি মেইল এক্সপ্রেস ট্রেন গুলো যাত্রীদের যাতায়াতের সেবা দিয়ে থাকে।
ট্রেনের নাম | ছাড়ার সময় | পৌছানোর সময় | ছুটির দিন |
ময়মনসিংহ এক্সপ্রেস (৩৭) | সকাল ০৬:৩৮ | সকাল ০৯:২০ | নেই |
দেওয়ানগঞ্জ কমিউটর(৪৭) | ভোর ০৫:৪০ | সকাল ১০:২২ | নেই |
জামালপুর কমিউটর(৫১) | দুপুর ০৩:৪০ | রাত ০৮:৪৮ | নেই |
ভাওয়াল এক্সপ্রেস(৫৫ | রাত ০৯:২০ | রাত ০৩:৩২ | নেই |
ধলেশ্বরী এক্সপ্রেস (৭৫) | দুপুর ০১:১৭ | দুপুর ০৩:৪৫ | নেই |
ঢাকা টু জামালপুর টিকিটের মূল্য
যাত্রীদের যাতায়াতের জন্য প্রতিটি ট্রেনে বিভিন্ন ধরনের আসন ব্যবস্থা রয়েছে। ট্রেনের আসন গুলোর তারতম্যের কারণে ভাড়ার পার্থক্য হয়ে থাকে। আসন অনুযায়ী প্রতিটি টিকিটের আলাদা মূল্য করা হয়েছে।
আসন | টিকেটের মূল্য |
শোভন | ১৮৫ টাকা |
শোভন চেয়ার | ২২০ টাকা |
প্রথম সিট | ২৯৫ টাকা |
প্রথম বার্থ | ৪৪০ টাকা |
স্নিগ্ধা | ৪২০ টাকা |
এসি সিট | ৫০৬ টাকা |
অনলাইনে টিকেট কাটার নিয়ম
ই-টিকিটিং সিস্টেমে টিকেট কেনার নতুন পদ্ধতি সম্পর্কে জানিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। সেক্ষেত্রে রেলওয়ের ওয়েবসাইটে একবার রেজিস্ট্রেশন করলেই চলবে।
রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া
টিকিট কাটতে অবশ্যই একবার যাত্রীদের রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। সে জন্য প্রথমে www.eticket.railway.gov.bd ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।
সেখানে ওয়েবসাইটটির নিচের দিকে Registration বাটনে ক্লিক করতে হবে। এরপর Create an Account নামের নতুন একটি Page আসবে। এখানে Personal Information এর সংশ্লিষ্ট ঘরগুলো প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে পূরণ করে Security code ঘরের পাশে দেখানো Security Code দিয়ে পূরণ করে Register বাটনে ক্লিক করতে হবে।
সব তথ্য সঠিক থাকলে Registration Successful নামে নতুন একটি Page আসবে।
ই-টিকেটিং সিস্টেম থেকে তাৎক্ষণিকভাবে আপনার দেয়া ই-মেইলে Bangladesh Railway থেকে একটি মেইল পাঠানো হবে।
Bangladesh Railway থেকে আসা মেইলটি খুলে সেখানে মেসেজে থাকা Click লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে। এরপর যাত্রীর Registration সম্পন্ন হবে।
টিকিট কাটার প্রক্রিয়া
রেজিস্ট্রেশন শেষ হওয়ার পর যাত্রীরা টিকিট কাটতে পারবেন। এ জন্য তাকে প্রথমে www.eticket.railway.gov.bd ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।
সেখানে থাকা Log in প্যানেলে ই-মেইল ঠিকানা, পাসওয়ার্ড এবং সিকিউরিটি কোড পূরণ করতে হবে।
পরে যে Page আসবে তাতে Purchase ticket বাটনে ক্লিক করতে হবে। এখানে যাত্রীকে পূরণ করতে হবে তিনি কোন তারিখের টিকিট কাটতে চান, কোন স্টেশন থেকে কোন স্টেশন পর্যন্ত, ট্রেনের নাম, শ্রেণি, টিকেট সংখ্যা।
পরে দেখানো হবে Registration Seat Available কি না এবং টিকিটের দাম। সেখানে সবকিছু ঠিক থাকলে Purchase ticket বাটনে ক্লিক করতে হবে।
ক্রেডিট কার্ড, ক্যাশ কার্ড কিংবা ব্রাক ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট দিয়ে টিকিটের দাম পরিশোধ করতে পারবেন যাত্রীরা। পরে যাত্রীর ই-মেইলে ই-টিকেটটি পাঠিয়ে দেবে বাংলাদেশ রেলওয়েল।
এরপর সেই টিকিট প্রিন্ট দিয়ে ফটো আইডিসহ ট্রেনে ভ্রমণ করতে পারবেন। কিংবা ই-টিকেট প্রদত্ত Ticket Print Information দিয়ে সংশ্লিষ্ট স্টেশন থেকে যাত্রার পূর্বে ছাপানো টিকেটও সংগ্রহ করতে পারবেন।