জিতু মিয়ার বাড়ি-Jitu Mia's house
Jitu Mia's house

জিতু মিয়ার বাড়ী-Jitu Mia's house

জিতু মিয়ার বাড়ি হল সিলেটের জায়গীরদার খান বাহাদুর আবু নছর মোহাম্মদ এহিয়া ওরফে জিতু মিয়ার আবাসস্থল। এটি সিলেটের অন্যতম প্রধান দর্শনীয় স্থাপনা।

অবস্থান

এই বাড়ীটি সিলেট নগরীর শেখঘাটে কাজীর বাজারে অবস্থিত। পূর্বে এটি বর্তমান কাজীর বাজার পশুর হাটের স্থলে অবস্থিত ছিলো যা ১৮৯৭ সালের ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হলে ১৯১১ সালে বর্তমান স্থানে স্থানাস্তর ও সংস্কার করা হয়।

বর্ণনা

মূল বাড়ীটি জিতু মিয়ার বাবা মাওলানা আবু মোহাম্মদ আবদুর কাদির ১৮৮৬ সালে নির্মাণ করেন। ১৮৯৭ সালের প্রলয়ঙ্করকারী ভূমিকম্পে সিলেট ও আসামের অধিকাংশ স্থাপনার মতো এটিও ক্ষতিগ্রস্ত হলে ১৯১১ সালে জিতু মিয়া বাড়িটির সামনের অংশে একটি নতুন দালানটি নির্মাণ করেন; যা বর্তমানে মূল ভবন হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এটি একটি দ্বিতল ভবন, যা চুন ও সুরকি দিয়ে মুঘল আমলের মুসলিম স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত। বাড়ীটির মোট ভূমির পরিমাণ ১ দশমিক ৩৬৫ একর।

বর্তমান অবস্থা

বাড়ীটির নিচ তলার মূল কক্ষটি ড্রয়িং রুম হিসেবে ব্যবহৃত হত যেখানে রয়েছে জিতু মিয়ার সংগৃহিত ক্যালিওগ্রাফি করা পবিত্র কুরআন ও হাদিসের বাণী। এই কক্ষের ডান দিকের অপর একটি কক্ষে রয়েছে একটি লম্বা কালো টেবিল ও ২০টি চেয়ার, যা তৎকালীন সময়ে সভা কক্ষ হিসেবে ব্যবহৃৎ হতো। বর্তমানে এই বাড়ীটিকে একটি জাদুঘর হিসেবে রূপান্তর করার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে, যেখানে সিলেটের বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী জিনিস প্রদর্শন করা হবে।

কিভাবে যাবেন

জিতু মিয়ার বাড়ি পরিদর্শন করতে হলে আপনাকে প্রথমে যেতে হবে চায়ের দেশ সিলেটে। দেশের নানা প্রান্ত থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে সিলেট আসা যায়। বাস, ট্রেন কিংবা আকাশ পথে যে কোন উপায়েই সিলেট আসতে পারবেন।

ঢাকা থেকে সিলেট বাসে

ঢাকা থেকে সিলেটগামী যে কোন বাসে সিলেট আসা যাবে।ঢাকা থেকে সিলেট এর দূরত্ব ২৪০ কিলোমিটার, ঢাকার ফকিরাপুল, গাবতলী, সায়েদাবাদ, মহাখালি ও আবদুল্লাপুর বাস টার্মিনাল থেকে সিলেটের বাস ছেড়ে যায়৷ গ্রীন লাইন, সৌদিয়া, এস আলম, শ্যামলি ও এনা পরিবহনের এসি বাস যাতায়াত করে।এগুলোর ভাড়া সাধারণত ৮০০ থেকে ১২০০ টাকার মধ্যে। এছাড়াও ঢাকা থেকে সিলেট যেতে শ্যামলী, হানিফ, ইউনিক, এনা পরিবহনের নন এসি বাস জনপ্রতি ৪২০ থেকে ৫০০ টাকা ভাড়ায় পাবেন। সকাল, দপুর কিংবা রাত সব সময়ই বাস ছেড়ে যায়।সিলেট পৌঁছাতে সাধারণত সময় লাগে ৬ ঘন্টার মত।

ঢাকা থেকে ট্রেনে সিলেট

ঢাকার কমলাপুর কিংবা বিমান বন্দর রেলওয়ে স্টেশন থেকে উঠতে পারেন।বিমান বন্দর রেলওয়ে স্টেশন থেকে উঠতে হলে কমলাপুর থেকে যে ট্রেন গুলি ছেড়ে যায় তার সাথে ২০ মিনিট সময় যোগ করে নিবেন।কমলাপুর থেকে মঙ্গলবার ছাড়া সপ্তাহের প্রতিদিন সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে ছেড়ে যায় পারাবত এক্সপ্রেস। সপ্তাহের প্রতিদিন দুপুর ২টায় ছাড়ে জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস এবং বুধবার ছাড়া সপ্তাহের প্রতিদিন রাত ০৯টা ৫০ মিনিটে ছাড়ে উপবন এক্সপ্রেস।শ্রেণী ভেদে জনপ্রতি ট্রেনে যেতে ভাড়া পরবে ৩০০ থেকে ১২০০ টাকা।যে কোন ট্রেনকে বেছে নিতে পারেন আপনার ভ্রমণ সঙ্গী হিসাবে। ট্রেনে সিলেট যেতে সময় লাগে ৭-৮ ঘন্টা।

ঢাকা থেকে বিমানে সিলেট

ঢাকা থেকে সবচেয়ে দ্রুত সময়ে ও সাচ্ছন্দে যেতে আকাশ পথকে বেছে নিতে পারেন। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমান বাংলাদেশ, রিজেন্ট এয়ার, ইউনাইটেড এয়ার, নভো এয়ার এবং ইউএস বাংলা এয়ারের বিমান প্রতিদিন সিলেটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। ক্লাস অনুযায়ী ভাড়া সাধারণত ২৭০০-৯,০০০ টাকা এর মধ্যে হয়ে থাকে।

চট্টগ্রাম থেকে বাসে সিলেট

চট্রগ্রাম থেকে গ্রীন লাইন, এনা, সৌদিয়া সহ অন্যান্য আরও অনেক বাস সিলেট যায়। এসি ও নন এসি এসব বাসের ভাড়া ৭০০-২০০০ টাকা।

চট্টগ্রাম থেকে ট্রেনে সিলেট

সোমবার ছাড়া প্রতিদিন সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে যায় পাহাড়িকা এক্সপ্রেস এবং শনিবার ছাড়া প্রতিদিন রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে যায় উদয়ন এক্সপ্রেস।শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিন বিকাল ৪টায় ছাড়ে কালনী এক্সপ্রেস।পাহাড়িকা এবং উদয়ন এক্সপ্রেস নামের দুটি ট্রেন সপ্তাহে ৬ দিন চলাচল করে।যে কোন ট্রেনকে বেছে নিতে পারেন আপনার ভ্রমণ সঙ্গী হিসাবে।

সিলেট শহর থেকে জিতু মিয়ার বাড়ি

সিলেট শহরের যেকোন প্রান্ত থেকে রিকশা বা সিএনজিতে চড়ে জিতু মিয়ার বাড়ি যেতে পারবেন।

কোথায় থাকবেন

সিলেটে থাকার মত অনেকগুলো হোটেল আছে, আপনি আপনার প্রয়োজন ও সামর্থ্য অনুযায়ী যে কোন ধরনের হোটেল পাবেন। সিলেট শহরে এখন অনেক গুলো উন্নতমানের হোটেল রয়েছে । সিলেটের লালা বাজার ও দরগা রোডে কম ভাড়ায় অনেক মানসম্মত রেস্ট হাউস আছে ৷ যেখানে ৪০০ থেকে ৫০০০  টাকায় বিভিন্ন ধরণের রুম পাবেন। এছাড়াও হোটেল হিল টাউন, গুলশান, দরগা গেইট, সুরমা, কায়কোবাদ ইত্যাদি হোটেলে আপনার প্রয়োজন ও সামর্থ অনুযায়ী থাকতে পারবেন।চাইলে ঢাকাতে ব্যাক ও করতে পারেন।

কি খাবেন

সিলেট শহরে বিভিন্ন মানের রেস্টুরেন্ট আছে, আপনার চাহিদামত সবকিছুই পাবেন। সিলেট এর জিন্দাবাজার এলাকার পানসী, পাঁচ ভাই কিংবা পালকি রেস্টুরেন্টের সুলভ মূল্যে পছন্দমত দেশী খাবার খেতে পারেন, এছাড়াও এই রেস্টুরেন্ট গুলোতে অনেক রকম ভর্তা ভাজি পাওয়া যায় বলে সবার কাছে খুব জনপ্রিয়।

কাছাকাছি দর্শনীয় স্থান

হযরত শাহজালালের দরগাহ শরীফ

হাছন রাজার মিউজিয়াম

মালনীছড়া চা বাগান

ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর

পর্যটন মোটেল

ড্রিমল্যান্ড পার্ক

আলী আমজদের ঘড়ি

ক্বীন ব্রীজ

মনিপুরী জাদুঘর ও রাজবাড়ি

ওসমানী শিশু পার্ক।

বরিশাল-ভোলা-বরিশাল রুটে চলাচলকৃত লঞ্চসমূহ
রোজ গার্ডেন-Rose Garden Palace
বোটানিক্যাল গার্ডেন-National Botanical Garden
চট্রগ্রামের দর্শনীয় স্থান-Places of interest in Chittagong
সন্দ্বীপ-Sandwip
নুহাশ পল্লী - Nuhash Palli
জলেশ্বরী রিসোর্ট-Joleswori Resort
বিছনাকান্দি-Bisnakandi
চাঁদপুর ট্রেনের সময়সূচী ও ভাড়ার তালিকা ২০২৩-Chandpur train schedule and fare ২০২৪
থানচির দর্শনীয় স্থান - Sightseeing in Thanchi