লাক্কাতুরা চা বাগান-Lakkatura Tea Garden
লাক্কাতুরা চা বাগান সিলেট শহরের উপকণ্ঠে বিমানবন্দর সড়কে চৌকিদেকিতে মনোলোভা একটি চা বাগান লাক্কাতুরা। এটি বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম চা বাগান। বিশাল এই চা বাগানটি থেকে প্রতিবছর ৫ লক্ষ কেজি চা উৎপাদিত হয়। এর পাশেই বাংলাদেশ তথা উপমহাদেশের বৃহত্তম এবং সর্বপ্রথম প্রতিষ্ঠিত চা বাগান মালনীছড়া চা বাগান অবস্থিত।
ইতিহাস
ইংরেজ সাহেব হার্ডসনের হাত ধরে ১৮৪৯ সালে প্রতিষ্ঠিত চা বাগানটি। ন্যাশনাল টি কোম্পানি লিমিটেডের অধীনে চলে এই চা বাগানটি। সিলেটের এই চা বাগান থেকেই চা চাষের গোড়াপত্তন। যা এখন ইতিহাস ও ঐতিহ্যের অংশ।
লাক্কাতুরা চা বাগান
প্রকৃতি তার অপার সৌন্দর্য ঢেলে দিয়েছে সিলেটের বুকে যার ফলে সিলেটে প্রকৃতির অঢেল সৌন্দর্যে বিমোহিত না হয়ে পারে না দর্শনার্থীরা। সিলেটে অনেক পর্যটন স্থান রয়েছে যেমন- মালনীছড়া চা বাগান, ডিবির হাওর, লাক্কাতুরা চা বাগান, হযরত শাহজালাল (রাঃ) এর মাজার, রাতারগুল, জাফলং, লালাখাল, জাকারিয়া সিটি, শ্রী চৈতন্য দেব, লোভাছড়া, বিছানাকান্দি ইত্যাদি।
সিলেটের প্রতিটি স্থান অসাধারণ ও মনোমুগ্ধকর। কারণ প্রতিটি স্থান তার নিজস্ব বৈশিষ্ট্যে সমুজ্জ্বল। চায়ের জন্য বিখ্যাত জেলা সিলেট। লাক্কাতুরা চা বাগান বাংলাদেশের প্রাচীন চা বাগানগুলোর মধ্যে একটি। লাক্কাতুরা চা বাগান সিলেট জেলার চৌকিঢেকী উপজেলায় অবস্থিত। ন্যাশনাল টি বোর্ডের অধীনে থাকা এই চা বাগানটি ওসমানী বিমান বন্দরের কাছাকাছি অবস্থিত।
এটির অবস্থান সিলেট শহরের উত্তরে। চারদিকে সবুজের সমারোহ নিয়ে গড়ে উঠেছে এই চা বাগান। অসংখ্য চা গাছ, উঁচু নিচু পাহাড়, চারদিকের অবারিত সবুজ পুরো বাগানকে অনন্য মাধুর্য দান করেছে।
লাক্কাতুরা চা বাগানের কাছে রয়েছে রাবার ফ্যাক্টরি ও চা ফ্যাক্টরি। ওসমানি বিমানবন্দর থেকে ডানদিকে গেলে চা বাগানের মুল প্রবেশপথ পাওয়া যাবে। প্রবেশপথ দিয়ে ঢুকে সামনে আগালে দেখতে পাবেন রাবার ফ্যাক্টরি ও চা ফ্যাক্টরি। তারপর আরেকটু সামনে গেলে দেখতে পাবেন কিছু বাংলো।
উঁচু-নিচু টিলার উপর আঁকাবাঁকা রাস্তায় এই বাংলো গুলোর অবস্থান। বাগানের ব্যবস্থাপক ও সহকারী ব্যবস্থাপকরা বাংলোয় বসবাস করেন। চা বাগানে চায়ের প্রাধান্য থাকলেও রাবার বাগানও রয়েছে। চা বাগানে যে কেউ চাইলেই ঢুকতে পারে। তবে কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে।
কিভাবে যাবেন
লাক্কাতুরা চা বাগান সিলেটে অবস্থিত। তাই দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে লাক্কাতুরা চা বাগানে যেতে হলে প্রথমে সিলেটে যেতে হবে। ঢাকা থেকে বাস, ট্রেন কিংবা বিমানে করে সিলেটে যেতে পারবেন। ঢাকা থেকে বাসে সিলেট গেলে গ্রীণ লাইন, এস আলম পরিবহন, সৌদিয়া, এনা পরিবহন ইত্যাদিতে করে যেতে পারবেন।
ট্রেনে গেলে উপবন, জয়ন্তিকা, পারাবত, কালনী এক্সপ্রেসে করে যেতে পারবেন।
সিলেটে নেমে লাক্কাতুরা চা বাগানে যেতে পারবেন অটোরিকশা, রিকশা কিংবা সিএনজিতে করে। এছাড়া সিলেটের আম্বরখানা পয়েন্ট থেকে মাত্র ১০-১৫ মিনিটে চলে যেতে পারবেন লাক্কাতুরায়।
কোথায় খাবেন
খাওয়ার জন্য সিলেটের জিন্দাবাজারে বেশ ভালো তিনটি খাওয়ার হোটেল আছে। পানসী, পাঁচ ভাই কিংবা পালকি রেস্টুরেন্টে সুলভ মূল্যে পছন্দ মত দেশী খাবার খেতে পারেন। এছাড়াও এই রেস্টুরেন্ট গুলোতে নানা রকম দেশী খাবার ও ভর্তা ভাজি পাওয়া যায়।এইসব রেস্টুরেন্টের বাহারী খাবার পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ। এছাড়া সিলেট শহরে বিভিন্ন মানের রেস্টুরেন্ট আছে, পছন্দ মত যে কোন জায়গায় খেয়ে নেওয়া যাবে।
কোথায় থাকবেন
সিলেটে থাকার জন্য বেশকিছু ভালমানের হোটেল রয়েছে। এসব হোটেলের বেশীরভাগ মাজার রোড, আম্বরখানা, এবং জিন্দাবাজারে অবস্থিত। এসব হোটেলের মধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য হলঃ হোটেল ইস্টার্ন গেইট এন্ড পানাহার রেস্টুরেন্ট,হোটেল গুলশান,হোটেল দরগা ভিউ।,গ্রিনল্যান্ড হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট,হোটেল সিটি লিঙ্ক ইন্টারন্যাশনাল,সুরমা ভ্যালী রেস্ট হাউজ,হোটেল বাহারাইন রেসিডেনসিয়াল,হোটেল কুরাইশি রেসিডেন্স।