হাজারিখিল বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্য-Hazarikhil Wildlife Sanctuary
Hazarikhil Wildlife Sanctuary

হাজারিখিল বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্য-Hazarikhil Wildlife Sanctuary

পার্বত্য জেলা চট্টগ্রামের সৌন্দর্যের যেন কোনো শেষ নেই। পাহাড়, হ্রদ, সবুজ বনানী ঘেরা এই জেলাটির অনবদ্য সুন্দর জায়গাগুলো মায়ায় বেঁধে রাখে ভ্রমণ পিপাসুদের। আর তাই তারা সুযোগ পেলেই ছুটে যায় চট্টগ্রামের রূপে মুগ্ধ হতে। রোমাঞ্চকর ভ্রমণ আনন্দেও চট্টগ্রামের জুড়ি নেই। বুনো সৌন্দর্য আর রোমাঞ্চের অন্যরকম স্বাদ নিতে ঘুরে আসতে পারেন চট্টগ্রামের হাজারিখিল অভয়ারণ্য থেকে। চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায় রামগড়-সীতাকুণ্ড  বনাঞ্চলে প্রায় ৩ হাজার একর জায়গার ওপর গড়ে উঠেছে হাজারিখিল অভয়ারণ্য। অনায়াসেই আপনার চোখ জুড়াবে অনাবিল বুনো সৌন্দর্যে। ২০১৪ সালে এই হাজারিখিল বনাঞ্চলকে বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

চট্রগ্রামের দর্শনীয় স্থান

অবস্থান

হাজারিখিল বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলায় অবস্থিত একটি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য। ২০১০ সালের ৬ এপ্রিল এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ১১৭৭.৫৩ হেক্টর জমি নিয়ে এই বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্যটি গঠিত। চট্টগ্রাম শহর থেকে ৪৫ কিলোমিটার উত্তরে রামগড়-সীতাকুণ্ড বনাঞ্চল। এ বনাঞ্চলের মধ্যেই রয়েছে বিচিত্র সব বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য হাজারিখিল, যেখানে আছে ১২৩ প্রজাতির পাখি। রঙ-বেরঙের এসব পাখির মধ্যে রয়েছে বিপন্ন প্রায় কাঠময়ূরমথুরা। আছে কাউ ধনেশহুতুম পেঁচাও। বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদের সমারোহ থাকার কারণে চিরসবুজ এই বনে এমন কিছু প্রজাতির পাখি পাওয়া গেছে, যা অন্য কোনো বনে সচরাচর দেখা যায় না। এর মধ্যে রয়েছে হুদহুদ, চোখ গেল, নীলকান্ত, বেঘবৌ, আবাবিল। এসব পাখির আকার-আকৃতি, বর্ণ ও স্বভাবে বৈচিত্র্যময়। সম্প্রতি বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে এক গবেষণায় পাখির এসব প্রজাতির সন্ধান পায় গবেষক দল।

ক্যাম্পিং

বন রক্ষী ও বন পাহারা দলের সাথে সদস্যরা তাদের বন পাহারা দেবার কাজের পাশাপাশি ক্যাম্প সাইটে রাত্রিকালীন পাহারা দিবেন।

যে কোন প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিট অফিসার অথবা সেখানকার সহ-ব্যবস্থাপণা কমিটির সাহায্য নেয়া যাবে। 

প্রতিটি সাইটে ভাড়ায় তাবু পাওয়া যাবে। নিজের তাবু থাকলে সেটাও স্থাপণ করা যাবে। তাঁবু ভাড়া ৩০০ টাকা (২ জনের তাঁবু, ন্যাচার হাইক কিট ৩ মডেল)। নিজের তাঁবু থাকলে প্রতি তাবুর জন্য ১৫০ টাকা (২ জনের জন্য)। সর্বোচ্চ ১০ টা তাঁবু ভাড়া পাওয়া যাবে। প্রতি সাইটে সর্বোচ্চ ৩০ জন এক রাতে থাকতে পারবেন।

তাঁবু ভাড়া নিলে সংগে ক্যাম্প লাইট, হ্যামক, স্লিপিং ব্যাগ (শীতকালে) পাওয়া যাবে।

জীববৈচিত্র্য

এখানে প্রায় ২৫ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী, ১২৩ প্রজাতির পাখি, আট প্রজাতির উভচর, ২৫ প্রজাতির সরীসৃপ ও বিলুপ্ত প্রজাতিসহ ২৫০ প্রজাতির উদ্ভিদ রয়েছে। হাজারিখিল অভয়ারণ্যে রয়েছে হরিণ, হনুমান, বানর, খরগোশ, সজারু, বনছাগল, বনরুই, বনশূকর, বনবিড়াল, শিয়াল, উদবিড়াল, গোরখোদক, ময়না, টিয়া, ঘুঘু, মাছরাঙা, সাদা বক, চড়–ই, ডাহুক, কাক, দোয়েল, বুলবুলি ইত্যাদির বিচরণ। এছাড়া এ অভয়ারণ্যে রয়েছে বনকুকুর, বনমুরগি, তক্ষক, গিরগিটি, মুখপোড়া হনুমান, বানর, গুইসাপ, বড় অজগর, হরিণ, মেছোবাঘ ইত্যাদি। বৃক্ষরাজির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সেগুন, গর্জন, গামারি, চাপালিশ, তেলসুর, জারুল, লোহাকাঠ, ছাতিয়ান, গুটগুটিয়া ইত্যাদি। বাংলাদেশের বিরল প্রজাতির বৃক্ষ এবং প্রাণীর জন্য হাজারিখিল বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য একটি উল্লেখযোগ্য স্থান। বাংলাদেশের সবচেয়ে উঁচু বিরল প্রজাতির বৃক্ষ বৈলামও আছে এ অভয়ারণ্যে। এ বৃক্ষের উচ্চতা প্রায় ১০০ মিটার। সুউচ্চ বিরল প্রজাতির এ বৃক্ষটি হাজারিখিল ছাড়া বাংলাদেশের অন্য কোথাও দেখা যায় না।

যাওয়ার উপায়

যে ঢাকার ফকিরাপুল, সায়দাবাদ, মহাখালী বাসস্ট্যান্ড এ চট্টগ্রামগামী  বাসগুলো পেয়ে যাবেন। এস আলম, শ্যামলী, সৌদিয়া, ইউনিক, হানিফ, ঈগল, এনা, সোহাগ টি আর প্রভৃতি এসি ও নন-এসি বাস চট্টগ্রাম যায় প্রতিদিন। ভাড়া পড়বে ৪২০ থেকে ১১০০ টাকা। চট্টগ্রামের যেকোনো স্থান থেকে আপনাকে যেতে হবে চট্টগ্রাম নগরীর অক্সিজেন মোড়ে। অক্সিজেন থেকে ফটিকছড়ির বাস পাবেন। নামতে হবে বিবিরহাট। বিবিরহাট নেমে রোডের উল্টো দিকে সিএনজিতে হাজারিখিল বাজার পর্যন্ত যাবেন। বাজার থেকে অভয়ারণ্য ১০ মিনিটের পথ।

ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম ট্রেনের সময়সূচী

কোথায় থাকবেন

হাজারিখিল অভয়ারণ্যে রাতে ক্যাম্পিং করে না থাকতে চাইলে আপনাকে চট্টগ্রাম শহরে ফিরে আসতে হবে থাকার জন্য। চট্টগ্রামে নানান মানের হোটেল আছে । নীচে কয়েকটি বাজেট হোটেলে নাম ঠিকানা দেয়া হলোঃ

১. হোটেল প্যা রামাউন্ট, স্টেশন রোড, চট্টগ্রাম। ভাড়াঃনন-এসি সিঙ্গেল ৮০০ টাকা, ডাবল ১৩০০ টাকা, এসি ১৪০০ টাকা ও ১৮০০ টাকা ।

যোগাযোগ : ০৩১-২৮৫৬৭৭১, ০১৭১-৩২৪৮৭৫৪।

২. হোটেল এশিয়ান এসআর, স্টেশন রোড, চট্টগ্রাম। ভাড়া : নন এসি : ১০০০ টাকা, নন এসি সিঙ্গেল। এসি : ১৭২৫ টাকা ।

যোগাযোগ: ০১৭১১-৮৮৯৫৫৫।

৩. হোটেল সাফিনা, এনায়েত বাজার, চট্টগ্রাম। একটি পারিবারিক পরিবেশের মাঝারি মানের হোটেল । ভাড়া : ৭০০ টাকা থেকে শুরু । এসি ১৩০০ টাকা ।

যোগাযোগ: ০৩১-০৬১৪০।

৪. হোটেল নাবা ইন, রোড ৫, প্লট-৬০, ও আর নিজাম রোড, চট্টগ্রাম। যারা নাসিরাবাদ/ও আর নিজাম রোড এলাকায় থাকতে চান তাদের জন্য আদর্শ । ভাড়া : ২৫০০/৩০০০ টাকা ।

যোগাযোগঃ০১৭৫৫ ৫৬৪৩৮২

৫. হোটেল ল্যান্ডমার্ক, ৩০৭২ শেখ মুজিব রোড, আগ্রাবাদ, চট্টগ্রাম। ভাড়া-২৩০০/৩৪০০ টাকা যোগাযোগ: ০১৮২-০১৪১৯৯৫, ০১৭৩১-৮৮৬৯৯৭। 

খাবার

দুপুরের খাবারের জন্য একটি ভাতঘর আছে। সেখানে জনপ্রতি ১৩০ টাকা প্যাকেজ।  আগে থেকে জানিয়ে রাখলে আরো বিভিন্ন প্রকার খাবার পাওয়া যাবে (ভাত, ডাল, মাছ/মাংস, ভাজি ও সকালের নাস্তা ভাজি, ডিম, পরটা ) ।

অক্সফোর্ড মিশন চার্চ-oxford mission church barisal
সরকারি বিএম কলেজ-Government BM College, Barishal
তারা মসজিদ-Tara Masjid
গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকত-Guliakhali Sea Beach
সীতাকুণ্ড জাহাজ ভাঙ্গা এলাকা-Sitakunda shipwreck area
বায়তুশ শরফ আদর্শ কামিল মাদ্রাসা-Baitush Sharaf Adarsh ​​Kamil Madrasa
আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ-Andarkilla Shahi Jame Mosque
হযরত শাহজালাল (রঃ) মাজার- Hazrat Shahjalal Mazar
ড্রিমল্যান্ড পার্ক-Dreamland Park
ঢাকা টু টাঙ্গাইল ট্রেনের সময়সূচী ২০২৩-Dhaka to Tangail train ২০২৪