ভাটিয়ারী -Bhatiari
Bhatiari

ভাটিয়ারী- Bhatiari

ভাটিয়ারী সমুদ্র আর পাহাড়ে ঘেরা ভ্রমণ পিপাসুদের একটি তীর্থস্থান, যা ভাটিয়ারী ইউনিয়নের অন্তর্গত। বাংলাদেশের ভূমি বৈচিত্রে চট্টগ্রামকে প্রকৃতির অপরূপ লীলাভূমি বলা হয়ে থাকে। বর্ণিল সাজে সজ্জিত চট্টগ্রামের প্রাকৃতিক স্থান সমূহের মধ্যে ভাটিয়ারীকে অন্যতম নয়নাভিরাম বলে ধরে নেয়া হয়।

অবস্থান

চট্টগ্রাম শহর হতে প্রায় ১৫ কি.মি. উত্তরে ভাটিয়ারী অবস্থিত। ভাটিয়ারীর পূর্বে রয়েছে হাটহাজারী, পশ্চিমে সন্দ্বীপ, দক্ষিণে সেলিমপুর এবং উত্তরে সোনাইছড়ি।

বর্ণনা

ভাটিয়ারী সানসেট পয়েন্ট আর্মি পরিচালিত একটি রেস্তোরা। যেখানে দাঁড়িয়ে দূর সাগরের সূর্যাস্ত উপভোগ করতে পারবেন। সর্ব সাধারণের জন্য উম্মুক্ত, তবে আপনি চাইলে রেস্তোরা বসে প্রিয়জনকে সাথে নিয়ে কফি, চা, চিপস, আইস্ক্রিম সহ ইত্যাদি খাবার খেতে পারেন। এটি হাটহাজারী-ভাটিয়ারি লিংক রোডে বড়দিঘী পাড় থেকে ১০ কিমি এবং ভাটিয়ারী থেকে ২ কিমি দূরে অবস্থিত।

তারপর দেখতে পারেন অনাবিল রূপমাধুর্য্যের অধিকারী ভাটিয়ারী লেক। এটিও সর্ব সাধারণের জন্য উম্মুক্ত, তবে আপনি চাইলে প্যাডেল নৌকা/ইঞ্জিল চালিত নৌকা/সাম্পান ভাড়া করে লেকের চার পাশে ঘুরে দেখতে পারেন। পাহাড়ে ঘেরা লেকের মধ্যে ঘুরা বেড়ানোর মজাই আলাদা। এটি হাটহাজারী-ভাটিয়ারি লিংক রোডে বড়দিঘী পাড় থেকে ৮ কিমি এবং ভাটিয়ারী থেকে ৪ কিমি দূরে অবস্থিত।

এরপর দেখে নিতে পারেন লেকের আশেপাশে কিংবা সানসেট পয়েন্ট থেকে দেখতে পাওয়া সবুজ গলিচাময় ভাটিয়ারী গলফ ক্লাব। প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যে গড়ে ওঠা ভাটিয়ারীগলফ এ্যান্ড কান্ট্রি ক্লাব দেশের প্রায় ১২টি গলফ ক্লাবের মধ্যে সেরা। প্রবেশ করে ঘুরে আসতে পারেন যদিও নিরাপত্তা স্বার্থে অনুমতি নিয়ে প্রবেশ করতে হয়।

সর্বশেষ দেখে নিতে পারেন ভাটিয়ারী ক্যাফে ২৪ রেস্টুরেন্ট যদিও অনেকেই শুধুমাত্র ক্যাফে ২৪ পার্ক ঘুরতে যায়। চারদিকে ছোট পাহাড়, নীল আকাশ আর খোলা প্রান্তরে এই ক্যাফে সময় কাটানোর জন্য চমৎকার। ক্যাফে ২৪ রেস্টুরেন্ট একটি ছোট্ট পার্ক যার প্রবেশ মূল্য ৫০ টাকা। টিকেট কেটে মূল পটক পড়িয়ে সামনে দেখতে পাবেন ক্যাফে ২৪ রেস্টুরেন্ট, আর ডানপাশে দেখতে পাবেন নানারকম পাখির এক বিরাট খাঁচা, পাহাড় ঢালে বসার ছাউনি দোলনা, আর সবুজ মাঠের মধ্যে রয়েছে শিশুদের বিনোদনের জন্য নানা রকম রাইড। আর বা পাশে দেখতে পাবেন একটি নয়নাভিরাম কনফারেন্স রুম, পাশে হরেক রকম ফুল ও পাতা বাহার গাছ। আর কৃত্রিম ঝর্ণাধারা পানি মিশে যাচ্ছে লেকের পানিতে আর লেকে রঙিন রাইডগুলো ভেসে বেড়াই চারদিকে।আর সকল বয়সী মানুষের জন্য রয়েছে ট্রেন রাইড সহ অসংখ্যা বিনোদন।

ভ্রমণ পাগল মানুষদের জন্য পার্কের ভিতর ঠিক লেকের পাশের পাহাড়ে রয়েছে অসাধারণ সেনাবাহিনীর ট্রেনিং এডভেঞ্চার। যার মধ্যে আপনি পাবেন কখনো দড়ি বেয়ে হাঁটা, কখনো উঁচু পথ লাফিয়ে পার হাওয়া বা দড়ি ধরে ঝুলে পার হাওয়া, আবার কখনো সুড়ঙ্গের মতো পথ দিয়ে হামাগুডি দিয়ে চলা সব এডভেঞ্চার।

প্রায় ১০-১২ কিমি এই রাস্তা হেটে যেতে পারলে সব সৌন্দর্য মোক্ষম ভাবে উপভোগ করা সম্ভব, সাইকেল রাইডের জন্যও এটি একটি স্বর্গময় রাইড।

টিকেট মূল্য

ভাটিয়ারী ক্যাপে ২৪ জনপ্রতি টিকেট মূল্য ৫০ টাকা আর এডভেঞ্চার জনপ্রতি ১০০ টাকা। ভাটিয়ারী সানসেট পয়েন্ট এবং ভাটিয়ারী লেকে কোন টিকেট প্রয়োজন হয়না। ভাটিয়ারী গলফ ক্লাব প্রবেশ করতে অনুমতি প্রয়োজন হয়।

যাওয়ার উপযুক্ত সময়

সারা বছর ভাটিয়ারী ভ্রমণের উপযুক্ত সময়। যদি সব গুলো স্পট দেখতে চান বা একদিনের প্ল্যান থাকলে সকাল বেলা চলে যাওয়াই ভালো। তবে প্রতিটি স্পট বিকাল ৩-৬ টা সময়টা খুব ভাল লাগবে।

চট্রগ্রামের দর্শনীয় স্থান

কিভাবে যাবেন

ঢাকার ফকিরাপুল, সায়দাবাদ, মহাখালী বাসস্ট্যান্ড এ চট্টগ্রামগামী  বাসগুলো পেয়ে যাবেন। এস আলম, শ্যামলী, সৌদিয়া, ইউনিক, হানিফ, ঈগল, এনা, সোহাগ টি আর প্রভৃতি এসি ও নন-এসি বাস চট্টগ্রাম যায় প্রতিদিন। ভাড়া পড়বে ৪২০ থেকে ১১০০ টাকা। তারপর চট্টগ্রাম শহর সরাসরি ভাটিয়ারী যেতে সিএনজি অটো রিক্সা ভাড়ায় পাবেন। ভাড়া দেড়’শ থেকে দুই’শ টাকা নিবে। আর পাবলিক বাসে যেতে হলে আপনার জন প্রতি ১৫ থেকে ২০ টাকা নিবে। বাস পেয়ে যাবেন নগরীর প্রবেশ মুখ অলংকার সিটি গেইট এলাকা থেকেই।

ঢাকা থেকে বাসে, ট্রেনে বা বিমানে যে কোন উপায়েই যাওয়া যাবে চট্টগ্রামে। এরপর অক্সিজেন মোড় থেকে লোকাল সিএনজি অটোতে চড়ে বড় দীঘির পাড় নামবেন, ভাড়া ১০ টাকা। সেখান থেকে চান্দের গাড়ি টাইপ লেগুনায় চড়ে ভাটিয়ারি যাবার পথে যেকোন স্থানে নেমে যেতে পারবেন, ভাড়া ২০ টাকা।

অথবা চট্টগ্রাম থেকে সরাসরি ভাটিয়ারিতে নেমে বড় দীঘির পাড় যাওয়ার লেগুলায় চড়ে এখানে নেমে যেতে পারেন। এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাওয়ার জন্য ১০-১৫ মিনিট পর পর লেগুনা যাবেন এক স্পট থেকে অন্য স্পট ভাড়া নিবে ১০ টাকা করে।

ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম ট্রেনের সময়সূচী

কোথায় থাকবেন

রাতে থাকতে চাইলে আপনাকে চট্টগ্রাম শহরে ফিরে আসতে হবে থাকার জন্য। চট্টগ্রামে নানান মানের হোটেল আছে । নীচে কয়েকটি বাজেট হোটেলে নাম ঠিকানা দেয়া হলোঃ

১. হোটেল প্যা রামাউন্ট, স্টেশন রোড, চট্টগ্রাম। ভাড়াঃনন-এসি সিঙ্গেল ৮০০ টাকা, ডাবল ১৩০০ টাকা, এসি ১৪০০ টাকা ও ১৮০০ টাকা ।

যোগাযোগ : ০৩১-২৮৫৬৭৭১, ০১৭১-৩২৪৮৭৫৪।

২. হোটেল এশিয়ান এসআর, স্টেশন রোড, চট্টগ্রাম। ভাড়া : নন এসি : ১০০০ টাকা, নন এসি সিঙ্গেল। এসি : ১৭২৫ টাকা ।

যোগাযোগ: ০১৭১১-৮৮৯৫৫৫।

৩. হোটেল সাফিনা, এনায়েত বাজার, চট্টগ্রাম। একটি পারিবারিক পরিবেশের মাঝারি মানের হোটেল । ভাড়া : ৭০০ টাকা থেকে শুরু । এসি ১৩০০ টাকা ।

যোগাযোগ: ০৩১-০৬১৪০।

৪. হোটেল নাবা ইন, রোড ৫, প্লট-৬০, ও আর নিজাম রোড, চট্টগ্রাম। যারা নাসিরাবাদ/ও আর নিজাম রোড এলাকায় থাকতে চান তাদের জন্য আদর্শ । ভাড়া : ২৫০০/৩০০০ টাকা ।

যোগাযোগঃ০১৭৫৫ ৫৬৪৩৮২

৫. হোটেল ল্যান্ডমার্ক, ৩০৭২ শেখ মুজিব রোড, আগ্রাবাদ, চট্টগ্রাম। ভাড়া-২৩০০/৩৪০০ টাকা যোগাযোগ: ০১৮২-০১৪১৯৯৫, ০১৭৩১-৮৮৬৯৯৭।

বরিশালের দর্শনীয় স্থানসমূহ-Places of interest in Barisal
লালবাগ কেল্লা-lalbagh kella
ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম ট্রেনের সময়সূচী-Dhaka To Chittagong Train Schedule
ফয়েজ লেক-Fayez Lake
বাঁশখালী ইকোপার্ক-Banshkhali Ecopark
ঢাকা থেকে বরিশাল বাস,লঞ্চ, গ্রীন লাইন ও বিমানের ভাড়া,সময়সূচি
লাক্কাতুরা চা বাগান-Lakkatura Tea Garden
সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান-Satchhari National Park
হাওর এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী ২০২৩-Haor Express Train ২০২৪
থানচির দর্শনীয় স্থান - Sightseeing in Thanchi