বাড়ৈয়াঢালা জাতীয় উদ্যান-Baraiadhala National Park
চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড ও মীরসরাইয়ের বারৈয়াঢালা জাতীয় উদ্যান একটি পরিবেশবান্ধব পর্যটন স্পট। বন ছাগল, বন কুকুর, মেটে কাঠমৌর, কালাপিঠ চেরালেজ, সবুজ তাউরা এই বনের গুরুত্বপূর্ণ প্রাণী ও পাখি। এছাড়াও এই বনে ২৫০ প্রজাতির গাছ ও ১৫০ প্রজাতির পাখি রয়েছে। এই বনের ও এর চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অনেক প্রাকৃতিক ঝর্ণা। অপরূপ খৈয়াছড়া, সহস্রধারা, নাপিত্তা ও সোনাইছড়া ঝরনার স্বচ্ছ জলধারা আছড়ে পড়ছে বারমাসি সব ছড়ায়।
অবস্থান
বাড়ৈয়াঢালা জাতীয় উদ্যান বাংলাদেশের একটি দর্শনীয় স্থান, যা চট্টগ্রাম জেলার অন্তর্গত। এটি দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে স্থাপিত যা রাজধানী ঢাকা হতে প্রায় ২৫০ কিঃ মিঃ দক্ষিণ-পূর্ব দিকে অবস্থিত এবং জাতীয় উদ্যান হিসাবে ঘোষিত হয় ২০১০ সালে। এই সংরক্ষিত জাতীয় উদ্যানের আয়তন ২৯৩৩.৬১ হেক্টর।
কীভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে সকাল সন্ধ্যা যেকোন সময় বেশ কয়েকটি বাস সরাসরি চট্টগ্রাম যায়; সবগুলো বাসই সীতাকুণ্ডে প্রয়োজন অনুযায়ী থামে। ঢাকার সায়দাবাদ, শ্যামলী, কল্যাপুর, কলাবাগান, কমলাপুর থেকে এস.আলম, সৌদিয়া, গ্রীনলাইন, সিল্ক লাইন, সোহাগ, বাগদাদ এক্সপ্রেস, ইউনিক ইত্যাদি পরিবহণের বিভিন্ন এসি, ননএসি বাস সরাসরি চট্টগ্রাম যায়। চট্টগ্রামের মাদারবাড়ী ও কদমতলী বাস স্টেশন থেকে সীতাকুণ্ড যাবার বাসগুলো ছাড়ে। চট্টগ্রাম শহরের অলংকার মোড় এলাকা থেকে ঢাকা ট্রাঙ্ক রোড হয়ে বাস বা সিএনজি চালিত অটোরিক্সা যোগেও সীতাকুণ্ড যাওয়া যায়। আবার, অলঙ্কার থেকে মেক্সীতে করে সীতাকুণ্ডের ফকিরহাট যাওয়া যায়।
ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ঢাকা মেইল ট্রেনই শুধু সীতাকুণ্ড রেলস্টেশনে থামে। ঢাকা থেকে রাত ১১টায় যাত্রা শুরু করে পরদিন সকাল ৬ টা থেকে ৭ টার মধ্যে ট্রেনটি সীতাকুণ্ডে পৌঁছায়। অন্যান্য আন্তঃ নগর ট্রেনে আসতে চাইলে ফেনী স্টেশনে নেমে সেখান থেকে ১০/১৫ টাকা অটো/রিক্সা ভাড়ায় মহিপাল বাস স্ট্যান্ড গিয়ে লোকাল বাসে ৫০-৮০ টাকা ভাড়ায় সীতাকুণ্ড যেতে পারা যাবে। চট্টগ্রাম শহরের বটতলী রেলস্টেশন থেকে রেলযোগেও সীতাকুণ্ড যাওয়া যায়।
সীতাকুণ্ড থেকে সারাদিনের জন্য সিএনজি ভাড়া নেয়া যায়। সেক্ষেত্রে ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা লাগতে পারে। তবে ইচ্ছা করলে পায়ে হেঁটে উদ্যানে ঘুরতে পারা যাবে তবে তাতে সময় বেশি লাগবে। সময় বাঁচাতে পারলে সহজেই সীতাকুণ্ড ও মিরসরাই এলাকার ঝর্ণা ও ঝিরি ট্রেইল গুলো দেখে নেওয়া যাবে।
ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম ট্রেনের সময়সূচী
সীতাকুণ্ডে থাকার জন্য তেমন কোন ভালো মানের আবাসিক হোটেল নেই; থাকার জন্য স্থানীয় পর্যায়ের কিছু সাধারণ মানের হোটেল রয়েছে। চট্টগ্রামে থাকতে চাইলে সেখানে বিভিন্ন মানের হোটেল রয়েছে। নীচে কয়েকটি বাজেট হোটেলে নাম ঠিকানা দেয়া হলোঃ
১. হোটেল প্যা রামাউন্ট, স্টেশন রোড, চট্টগ্রাম। ভাড়াঃনন-এসি সিঙ্গেল ৮০০ টাকা, ডাবল ১৩০০ টাকা, এসি ১৪০০ টাকা ও ১৮০০ টাকা ।
যোগাযোগ : ০৩১-২৮৫৬৭৭১, ০১৭১-৩২৪৮৭৫৪।
২. হোটেল এশিয়ান এসআর, স্টেশন রোড, চট্টগ্রাম। ভাড়া : নন এসি : ১০০০ টাকা, নন এসি সিঙ্গেল। এসি : ১৭২৫ টাকা ।
যোগাযোগ: ০১৭১১-৮৮৯৫৫৫।
৩. হোটেল সাফিনা, এনায়েত বাজার, চট্টগ্রাম। একটি পারিবারিক পরিবেশের মাঝারি মানের হোটেল । ভাড়া : ৭০০ টাকা থেকে শুরু । এসি ১৩০০ টাকা ।
যোগাযোগ: ০৩১-০৬১৪০।
৪. হোটেল নাবা ইন, রোড ৫, প্লট-৬০, ও আর নিজাম রোড, চট্টগ্রাম। যারা নাসিরাবাদ/ও আর নিজাম রোড এলাকায় থাকতে চান তাদের জন্য আদর্শ । ভাড়া : ২৫০০/৩০০০ টাকা ।
যোগাযোগঃ০১৭৫৫ ৫৬৪৩৮২
৫. হোটেল ল্যান্ডমার্ক, ৩০৭২ শেখ মুজিব রোড, আগ্রাবাদ, চট্টগ্রাম। ভাড়া-২৩০০/৩৪০০ টাকা যোগাযোগ: ০১৮২-০১৪১৯৯৫, ০১৭৩১-৮৮৬৯৯৭।