চন্দ্রনাথ পাহাড়-Chandranath hill
Chandranath hill

চন্দ্রনাথ পাহাড়-Chandranath hill

সীতাকুণ্ডের পূর্বদিকে চন্দ্রনাথ পাহাড়। আর পশ্চিমদিকে সুবিশাল সমুদ্র। চন্দ্রনাথ পাহাড়ের শ্রেণিভূক্ত ছোট পাহাড়গুলো ব্যাসকুণ্ড থেকে শুরু হয়েছে। পাহাড়ে যাবার পথে বেশকিছু হিন্দুধর্মীয় স্থাপনা রয়েছে। চন্দ্রনাথ মন্দিরসহ আরও রয়েছে বড়বাজার পূজামণ্ডপ, ক্রমধেশ্বরী কালী মন্দির, ভোলানন্দগিরি সেবাশ্রম, কাছারীবাড়ী, শনি ঠাকুর বাড়ী, প্রেমতলা, শ্রী শ্রী লোকনাথ ব্রাহ্মচারী সেবাশ্রম, শ্রী রামকৃষ্ণ সেবাশ্রম, গিরিশ ধর্মশালা, দোল চত্বর, এন,জি,সাহা তীর্থযাত্রী নিবাস, তীর্থ গুরু মোহন্ত আস্তানা, বিবেকানন্দ স্মৃতি পঞ্চবটি, জগন্নাথ আশ্রম, শ্রীকৃষ্ণ মন্দির, মহাশ্মশানভবানী মন্দির, স্বয়ম্ভুনাথ মন্দিগয়াক্ষেত্, জগন্নাথ মন্দির, বিরুপাক্ষ মন্দির, পাতালপুরী, অন্নপূর্ণা মন্দির ইত্যাদি।

পুরো এলাকাটি বিভিন্ন ধরনের গাছ, বনফুল, গুল্মলতায় পরিপূর্ণ। ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা সফরের জন্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ স্থান হিসেবে বিবেচিত। পেয়ারা, সুপারি, আমগাছসহ বিভিন্ন ফলের বাগান দেখা যায়। কিছুসংখ্যক নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর মানুষের বসবাস রয়েছে এখানে। ত্রিপুরাদের নিজস্ব কিছু গ্রাম রয়েছে। পাহাড়ের গভীরে জুমক্ষেতের মাধ্যমে ফসল চাষাবাদ করা হয়। এছাড়াও, বাণিজ্যিকভাবে ফুলের বাগানের চাষ করা হয়।

চট্রগ্রামের দর্শনীয় স্থান

অবস্থান

চট্টগ্রাম শহর থেকে ৩৭ কিলোমিটার উত্তরে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক থেকে সাড়ে ৩ কিলোমিটার পূর্বে চন্দ্রনাথ পাহাড়ের অবস্থান। চন্দ্রনাথ পাহাড়ের অবস্থান চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ড উপজেলায়। সীতাকুন্ড বাজার থেকে মোটামুটি চার কিলোমিটার দূরে চন্দ্রনাথ পাহাড় অবস্থিত। চট্টগ্রাম অংশে ফেনী নদী থেকে চট্টগ্রাম শহর পর্যন্ত এর দৈর্ঘ্য প্রায় ৭০ কিলোমিটার। এই পাহাড়ের পাদদেশে নির্মিত হয়েছে সীতাকুণ্ড ইকো পার্ক।

উচ্চতা ও সিড়ি

চন্দ্রনাথ পাহাড়ের এর সর্বোচ্চ চূড়ার উচ্চতা ১১৫২ ফুট বা ৩৬৫ মিটার। আর চন্দ্রনাথ পাহাড়ে সিড়ির সংখ্যা আনুমানিক ৩৫০০-৪০০০। তবে চন্দ্রনাথের সিড়ি পাহাড়ের পাদদেশ থেকে শুরু না হয়ে শুরু হয় পাহাড়ে কিছুটা পথ হেঁটে পাড়ি দেয়ার পরে।

চন্দ্রনাথ পাহাড় কি ভাবে যাবেন

ঢাকা থেকে বাসে সীতাকুন্ড : ঢাকার সায়েদাবাদ, ফকিরাপুল, মহাখালি যে কোন বাস স্ট্যান্ড থেকে চট্রগ্রাম গামী যে কোন বাসে করেই যেতে পারবেন সীতাকুন্ড। এস আলম, শ্যামলি, সৌদিয়া, ইউনিক, হানিফ, ঈগল, এনা প্রভৃতি পরিবহনের নন এসি বাস ভাড়া ৪২০- ৪৮০ টাকা। এসি বাসের মধ্যে গ্রিনলাইন, সৌদিয়া, সোহাগ, টি আর এইসব বাস ভাড়া ৮০০-১১০০ টাকা।

ঢাকা থেকে ট্রেনে সীতাকুন্ড : ঢাকা থেকে চট্রগ্রাম গামী যে কোন আন্তঃনগর ট্রেনে এসে ফেনী স্টেশনে নামতে হবে। শ্রেনী ভেদে ট্রেন ভাড়া জন প্রতি ২৬৫-৮০০ টাকা। ফেনী স্টেশন থেকে ১০-১৫ টাকা রিক্সা/অটো দিয়ে ফেনী মহিপাল বাস স্ট্যান্ড যেতে হবে। সেখান থেকে লোকাল বাসে ৫০-৮০ টাকা ভাড়ায় সীতাকুন্ড যেতে পারবেন।

চট্টগ্রাম থেকে সীতাকুন্ড: চট্টগ্রাম থেকে সিএনজি বা অটোরিক্সা রিজার্ভ নিয়ে সীতাকুণ্ডে আসতে ভাড়া লাগবে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। আর বাসে করে যেতে চাইলে আপনাকে চট্টগ্রাম নগরীর অলংকার, এ কে খান মোড় অথবা কদমতলী যেতে হবে। লোকাল বাসে সীতাকুণ্ড যেতে পারবেন ৪০- ৮০ টাকা ভাড়ায়। সীতাকুণ্ড বাজার থেকে ৪ কি.মি. দূরে চন্দ্রনাথ পাহাড় অবস্থিত। এখানে পায়ে হেঁটে অথবা রিক্সায় চড়ে যাওয়া যাবে।

ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম ট্রেনের সময়সূচী

কোথায় থাকবেন

রাতে থাকার জন্য চট্টগ্রাম এসে থাকতে হবে। চট্টগ্রামে নানান মানের হোটেল আছে । নীচে কয়েকটি বাজেট হোটেলে নাম ঠিকানা দেয়া হলোঃ

১. হোটেল প্যা রামাউন্ট, স্টেশন রোড, চট্টগ্রাম। ভাড়াঃনন-এসি সিঙ্গেল ৮০০ টাকা, ডাবল ১৩০০ টাকা, এসি ১৪০০ টাকা ও ১৮০০ টাকা ।

যোগাযোগ : ০৩১-২৮৫৬৭৭১, ০১৭১-৩২৪৮৭৫৪।

২. হোটেল এশিয়ান এসআর, স্টেশন রোড, চট্টগ্রাম। ভাড়া : নন এসি : ১০০০ টাকা, নন এসি সিঙ্গেল। এসি : ১৭২৫ টাকা ।

যোগাযোগ: ০১৭১১-৮৮৯৫৫৫।

৩. হোটেল সাফিনা, এনায়েত বাজার, চট্টগ্রাম। একটি পারিবারিক পরিবেশের মাঝারি মানের হোটেল । ভাড়া : ৭০০ টাকা থেকে শুরু । এসি ১৩০০ টাকা ।

যোগাযোগ: ০৩১-০৬১৪০।

৪. হোটেল নাবা ইন, রোড ৫, প্লট-৬০, ও আর নিজাম রোড, চট্টগ্রাম। যারা নাসিরাবাদ/ও আর নিজাম রোড এলাকায় থাকতে চান তাদের জন্য আদর্শ । ভাড়া : ২৫০০/৩০০০ টাকা ।

যোগাযোগ: ০১৭৫৫ ৫৬৪৩৮২

৫. হোটেল ল্যান্ডমার্ক, ৩০৭২ শেখ মুজিব রোড, আগ্রাবাদ, চট্টগ্রাম। ভাড়া-২৩০০/৩৪০০ টাকা

যোগাযোগ: ০১৮২-০১৪১৯৯৫, ০১৭৩১-৮৮৬৯৯৭।

কোথায় খাবেন

সীতাকুন্ডে মোটামোটি মানের কিছু রেস্টুরেন্ট আছে। তার মধ্যে সৌদিয়া, আপন, আল আমিন অন্য তম। পছন্দমতো যেকোন একটায় খেতে পারেন। তার মধ্যে আল আমিন রেস্টুরেন্ট এর খাবার সব থেকে ভাল মানের। অথবা চট্টগ্রাম এসেও খেতে পারেন। চট্টগ্রামে সব ধরণের রেস্টুরেন্ট আছে।

পাহাড়ে উঠার সময় কয়েকটা ছোট ছোট দোকান পাবেন। সেখানে পানি, বিস্কুট, বিভিন্ন পাহাড়ী ফল, ডাব ইত্যাদি পাওয়া যায়। দাম একটু বেশি নিলেও জরুরী প্রয়োজনে কিনে খেতে পারেন।

বরিশালের পার্কের তালিকা-List of parks in Barisal
ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ ট্রেনের সময়সূচী-Dhaka to Mymensingh Train Schedule
গফরগাঁও টু ঢাকা ট্রেনের সময়সূচী-Gafargaon to dhaka train Schedule
ঢাকা থেকে রাজশাহী ট্রেনের সময়সূচী -Dhaka To Rajshahi Train Schedule
ঢাকা থেকে কক্সবাজার বিমান ভাড়া -Airfare from Dhaka to Cox's Bazar
মৈনট ঘাট-Manot Ghat
সন্দ্বীপ-Sandwip
রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট-Ratargul Swamp Forest
ঢাকা থেকে কলকাতা বাস, ট্রেন, বিমান এর ভাড়া-Bus, train, airfare from Dhaka to Kolkata
টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণ গাইড -Tanguar Haor Travel Guide