The best college of Barisal division
বরিশাল বিভাগের সেরা কলেজ
বর্তমানে বরিশাল বিভাগের অন্তর্গত ৬টি জেলায় মোট ৫০ টি সরকারি কলেজ রয়েছে। নিম্নে বরিশাল বিভাগের কলেজ গুলোর তালিকা দেয়া হলো।
সংক্ষিপ্ত নাম: বিএম কলেজ
নীতিবাক্য: সত্য, প্রেম ও পবিত্রতা
ধরন:সরকারি কলেজ
স্থাপিত: ১৮৮৯
প্রতিষ্ঠাতা: মহাত্মা অশ্বিনীকুমার দত্ত
অধ্যক্ষ: প্রফেসর ড. মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া
শিক্ষায়তনিক ব্যক্তিবর্গ: ২২
প্রশাসনিক ব্যক্তিবর্গ: ১৯৮
শিক্ষার্থী: ২৭০০০ (প্রায়)
অবস্থান: বাংলাদেশ বরিশাল, বাংলাদেশ
শিক্ষাঙ্গন: শহরে (৬০ একর)
অধিভুক্তি: বাংলাদেশ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
ওয়েবসাইট: http://www.bmcollege.gov.bd/
ব্রজমোহন কলেজ বা বি.এম কলেজ বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ও প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এটি বাংলাদেশের দক্ষিণাংশে বরিশাল শহরে অবস্থিত। ১৮৮৯ সালে প্রখ্যাত সমাজসেবক, রাজনীতিবিদ ও শিক্ষানুরাগী অশ্বিনীকুমার দত্ত কলেজটি প্রতিষ্ঠা করেন। তখন কলেজটি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এর অধিভুক্ত ছিল। সেসময়ে এ কলেজের মান এতই উন্নত ছিল যে অনেকে একে দক্ষিণ বাংলার অক্সফোর্ড বলে আখ্যায়িত করেন। ১৯৬৫ সালে কলেজটির জাতীয়করণ করা হয় ও বর্তমানে কলেজটি বাংলাদেশ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এর অধিভুক্ত। কলেজটিতে স্নাতক (সম্মান) শ্রেণীতে ২২টি বিষয়ে ও স্নাতকোত্তর শ্রেণীতে ২১টি বিষয়ে পাঠদান করে থাকে,সর্বশেষ ২০১৪ সালের ১০ই জানুয়ারি প্রফেসর বিপ্লব কুমার ভট্টাচার্য এর নেতৃত্বে প্রফেসর নাসিম হায়দার এর সহযোগীতায় পরিসংখ্যান বিভাগে অনার্স কোর্স চালু করা হয়। প্রফেসর বিপ্লব কুমার ভট্টাচার্য ছিলেন পরিসংখ্যান বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা বিভাগীয় প্রধান। মাত্র ১১ জন ছাত্র নিয়ে এর যাত্রা শুরু হয়।কলেজে ছাত্রদের জন্য ৩টি (মুসলিম হোস্টেল, মহাত্মা অশ্বিনীকুমার হোস্টেল, কবি জীবনানন্দ দাশ হিন্দু হোস্টেল) এবং মেয়েদের জন্য চারতলা ভবনের ১টি হোস্টেল (বনমালী গাঙ্গুলী মহিলা হোস্টেল) রয়েছে। কলেজের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে মোট বইয়ের সংখ্যা ৪০,০০০। এখানে ১টি বাণিজ্য ভবন, ২টি কলা ভবন, একটি অডিটোরিয়াম, ৪টি বিজ্ঞান ভবন ও ৩টি খেলার মাঠ রয়েছে। এছাড়া দুই প্রান্তে দুটি দিঘি কলেজের সৌন্দর্যকে করে তুলেছে মনোমুগ্ধকর
২.সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজ
নীতিবাক্য: আরও আলো
ধরন: সরকারি কলেজ
স্থাপিত; ১৯৬৬
প্রতিষ্ঠাতা: সৈয়দ হাতেম আলী
অধ্যক্ষ: প্রফেসর মু. মোস্তফা কামাল
শিক্ষায়তনিক ব্যক্তিবর্গ: ৭৬
প্রশাসনিক ব্যক্তিবর্গ: ৩৬
শিক্ষার্থী: প্রায় ৭০০০ জন
অবস্থান: বরিশাল, বাংলাদেশ
শিক্ষাঙ্গন: শহুরে (২২ একর)
অধিভুক্তি: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
ওয়েবসাইট: http://www.gshac.gov.bd/
সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজ বাংলাদেশের বরিশাল শহরে অবস্থিত একটি সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ১৯৬৬ সালে এই কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হয় ও ১৯৮৬ সালে একে জাতীয়করণ করা হয়। এই কলেজটি উচ্চ মাধ্যমিক, স্নাতক (পাস) ও স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি প্রদান করে থাকে। এর উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যক্রম বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ও স্নাতক শিক্ষা কার্যক্রম জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত।
ইতিহাস
১৯৬৬ সালে বরিশাল শহরের বিদ্যানুরাগী ব্যক্তিবর্গ, জেলা প্রশাসনসহ সর্বস্তরের জনসাধারণের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এবং দানবীর সৈয়দ হাতেম আলী সাহেবের আর্থিক সহযোগিতায় ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক সংলগ্ন কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ও হাতেম আলী সাহেবের নামে কলেজটির নামকরণ করা হয়। পরবর্তীতে ১৯৮৬ সালে কলেজটিকে জাতীয়করণ করা হয়৷
শিক্ষা কার্যক্রম
পাঠ্যক্রম
সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজে উচ্চমাধ্যমিক, স্নাতক (পাশ), স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর শ্রেণি পাঠদান করা হয়। উচ্চ মাধ্যমিক ও ডিগ্রি শ্রেণিতে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা - তিনটি শাখায় শিক্ষার্জনের সুযোগ রয়েছে। উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণিতে ২২ টি বিষয়ে পাঠদান করা হয় এবং স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ১২ টি বিষয়ে শিক্ষাদান করা হয়।
উচ্চ মাধ্যমিক
এই কলেজে এস,এস,সি, পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে একাদশ শ্রেনীতে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ছাত্রছাত্রীদের ভর্তির সুযোগ দেয়া হয়। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা (এইচ,এস,সি) কার্যক্রম বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।
৩.বরিশাল সরকারি মহিলা কলেজ
নীতিবাক্য: জ্ঞান শৃঙ্খলা পবিত্রতা
ধরন: সরকারি কলেজ
স্থাপিত: ১৯৫৭
অবস্থান: বরিশাল, বাংলাদেশ ,২২.৭০৪৫৭৭° উত্তর ৯০.৩৬৮৮০৪° পূর্ব
শিক্ষাঙ্গন: শহুরে পরিবেশ
অধিভুক্তি: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
ওয়েবসাইট: https://bwc.gov.bd/
বরিশাল সরকারি মহিলা কলেজ বাংলাদেশের বরিশাল শহরে অবস্থিত একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। কলেজটি ১৯৫৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ও ১৯৭৮ সালে এর জাতীয়করণ হয়। কলেজটিতে উচ্চমাধ্যমিক, স্নাতক (পাস), স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর বিষয়ে পাঠদান করা হয়ে থাকে। এর উচ্চ মাধ্যমিক ও ডিগ্রী শ্রেণীতে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা - তিনটি শাখায় পাঠদান করা হয় ও শিক্ষা কার্যক্রম বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় ও স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শিক্ষা কার্যক্রম জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত।
শিক্ষা কার্যক্রম
পাঠ্যক্রম
বরিশাল সরকারি মহিলা কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক (পাশ) শ্রেনী পাঠদান করা হয়। উচ্চ মাধ্যমিক ও ডিগ্রী শ্রেণীতে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা - তিনটি শাখায় শিক্ষার্জনের সুযোগ রয়েছে।
৪.সরকারি বরিশাল কলেজ
ধরন:সরকারি কলেজ
স্থাপিত: ২ সেপ্টেম্বর ১৯৬৩
অধ্যক্ষ: অধ্যাপক মো: আব্বাস উদ্দিন খান
উপাধ্যক্ষ: অধ্যাপক মো:নাসির উদ্দিন সিকদার
শিক্ষার্থী: প্রায় ৮০০০ জন
অবস্থান: বরিশাল, বাংলাদেশ ২২.৭০৭৯২৪° উত্তর ৯০.৩৬৬১৬৬° পূর্ব
শিক্ষাঙ্গন: কালিবাড়ি রোড বরিশাল, বাংলাদেশ (২.৮১ একর)
অধিভুক্তি: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
ওয়েবসাইট: http://www.gbc.gov.bd/
সরকারি বরিশাল কলেজ বাংলাদেশের বরিশাল শহরে অবস্থিত একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। কলেজটি ১৯৬৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এতে উচ্চ মাধ্যমিক, স্নাতক (পাস), স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর বিষয়ে পাঠদান করে থাকে। এর উচ্চ মাধ্যমিক ও ডিগ্রী শ্রেণীতে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা - তিনটি শাখায় পাঠদান করা হয় ও শিক্ষা কার্যক্রম বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় ও স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শিক্ষা কার্যক্রম জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত।
৫.আলেকান্দা সরকারি কলেজ, বরিশাল
প্রাক্তন নাম: সরকারি কমার্শিয়াল ইনিষ্টিটিউট, বরিশাল
ধরন: সরকারি কলেজ
স্থাপিত: ১৯৬৪
অধ্যক্ষ: মোঃ নাসির উদ্দিন সিকদার
শিক্ষায়তনিক ব্যক্তিবর্গ: ৭
শিক্ষার্থী: ৮০০ +
অবস্থান: আলেকান্দা, বরিশাল, বাংলাদেশ
শিক্ষাঙ্গন: শহুরে (১ একর)
ওয়েবসাইট: http://www.agcbarisal.edu.bd/
আলেকান্দা সরকারি কলেজ, বরিশাল (পূর্বনাম: সরকারি কমার্শিয়াল ইনস্টিটিউট, বরিশাল বাংলাদেশের একটি উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, যেটি বরিশাল বিভাগীয় সদরে অবস্থিত। ব্যবসায় শিক্ষার ক্ষেত্রে বৃহত্তর বরিশাল অঞ্চলে সরকারি পর্যায়ে পরিচালিত একমাত্র এই প্রতিষ্ঠানটি ১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯৮১ সাল থেকে বর্তমান নামে পরিচিতি লাভ করে।
বরিশাল শহরের কেন্দ্রস্থলে আলেকান্দা সড়কে নিরিবিলি মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে অবস্থিত বরিশাল বিভাগের বৃত্তিমূলক বাণিজ্যিক শিক্ষার একমাত্র সরকারি কলেজ ‘সরকারি কমার্শিয়াল ইনিষ্টিটিউট’ বরিশাল। যা সদাশয় সরকার বিগত ১২.০৫.২০১৬ তারিখ সাধারণ কলেজে রূপান্তর করে ‘আলেকান্দা সরকারি কলেজ’ নামকরণ করেন।
সাচিবিক বিজ্ঞানে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে পারদর্শী করে গড়ে তোলা এবং পরবর্তীতে কর্মসংস্থানের ব্যবসা করে স্বাবলম্বী হওয়ার সুযোগ দানের উদ্দেশ্যে ১৯৬৪ সালে সারাদেশে তৎকালীন সরকার ১৬টি এ ধরনের প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেন। ১৯৮০ সাল পর্যন্ত এ প্রতিষ্ঠানগুলি পলিটেকনিক ইনষ্টিটিউটের সাথে একীভূত ছিল। পরবর্তীতে ১৯৮১ সাল থেকে এগুলোকে স্বতন্ত্র সরকারি কলেজের মর্যদায় উন্নীত করা হয়। কিন্তু সৃষ্টি লগ্নে যে উদ্দেশ্য নিয়ে কলেজটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল, সময়ের পরিবর্তনে এখন আর তার প্রয়োজনীয়তা তেমন না থাকায় এবং সরকারি সম্পদের সুষ্ঠ ব্যবহারের লক্ষ্যে কলেজটিকে সাধারণ কলেজে রূপান্তর করা হয়। বর্তমানে এ কলেজের প্রশাসনিক দায়িত্বভার অন্যান্য সরকারি কলেজের মত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় তথা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর এর উপর ন্যস্ত এবং এখানে বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারভুক্ত শিক্ষকগণ শিক্ষাদানে নিয়োজিত।
৬.সরকারি ফজলুল হক কলেজ
সরকারি ফজলুল হক কলেজ বাংলাদেশের বরিশাল জেলার বানারীপাড়া উপজেলার অন্তর্গত একটি সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৯৪০ সালে প্রতিষ্ঠিত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভূক্ত কলেজটি উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট, ডিগ্রি ও কিছু স্নাতক পর্যায়ের সার্টিফিকেট প্রদান করে। ১৯৪০ সালে এতে বি.এ(পাস) কোর্স ও ২০১৩ সালে স্নাতক সম্মান কোর্স চালু করা হয়।
৭.শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত ডিগ্রী কলেজ
বিদ্যালয়ের ধরন: কলেজ
প্রতিষ্ঠাকাল: ১৫ আগস্ট ১৯৭২
অবস্থা: সক্রিয়
বিদ্যালয় বোর্ড: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
বিদ্যালয় জেলা: বরিশাল
অন্তর্ভুক্তি: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
ওয়েবসাইট: http://govsarsdc.com/
শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত ডিগ্রী কলেজ বাংলাদেশের বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার অন্তর্গত একটি সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভূক্ত কলেজটি উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট, ডিগ্রি ও কিছু স্নাতক পর্যায়ের সার্টিফিকেট প্রদান করে।
কলেজটি ১৯৭৩ সালে উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়, ১৯৮৪ সালে বি.এ(পাস) কোর্স ও ১৯৯৭ সালে স্নাতক শ্রেনী খোলা হয়। ১ মার্চ ১৯৮৫ তারিখে কলেজটিকে প্রথম এমপিওভুক্ত করা হয়।
৮.সরকারি শেরে বাংলা ডিগ্রী কলেজ
বিদ্যালয়ের ধরন:কলেজ
প্রতিষ্ঠাকাল: ৩ এপ্রিল ১৯৭০
অবস্থা: সক্রিয়
বিদ্যালয় বোর্ড: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
বিদ্যালয় জেলা: বরিশাল
অন্তর্ভুক্তি: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
ওয়েবসাইট: http://sbdc.edu.bd/
সরকারি শেরে বাংলা ডিগ্রী কলেজ বাংলাদেশের বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার অন্তর্গত একটি সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৯৭০ সালে প্রতিষ্ঠিত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভূক্ত কলেজটি উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট, ডিগ্রী ও কিছু স্নাতক পর্যায়ের সার্টিফিকেট প্রদান করে। ১৯৭৩ সালে বি.এ(পাস) কোর্স খোলা হয়। ১ জুন ১৯৮৫ তারিখে কলেজটিকে প্রথম এমপিওভুক্ত করা হয়।
৯.সরকারি মুলাদী কলেজ
বিদ্যালয়ের ধরন: কলেজ
প্রতিষ্ঠাকাল: ১ জানুয়ারি ১৯৭০
অবস্থা: সক্রিয়
বিদ্যালয় বোর্ড: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
বিদ্যালয় জেলা: বরিশাল
অন্তর্ভুক্তি: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
ওয়েবসাইট: http://muladicollege.edu.bd/
নদীবেষ্টিত ছায়াঘেরা সুনিবিড় আড়িয়াল খাঁ-জয়ন্তী-নয়াভাঙ্গনী নদীর পলি অববাহিকায় মুলাদী উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত মুলাদী সরকারি কলেজ স্বাধীনতার পূর্বকালীন সময় থেকে দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম বিদ্যাপীঠ হিসেবে জ্ঞান-বিদ্যার আলো বিকশিত করে এসেছে।বরিশাল জেলার উত্তরে দ্বীপাঞ্চল নামে খ্যাত এই উপজেলা অনেক সংগ্রামী মানুষের পূন্য স্মৃতি বিজড়িত।শিক্ষা প্রসারের লক্ষে এলাকার জ্ঞানী-গুণী ও শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিবর্গের উদ্যোগে কলেজটির বর্তমান অবস্থান থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার পূর্বদিকে নয়াভাঙ্গনী নদীর পাদদেশে নিরিবিলি মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে ১৯৭০ সালের ০১ জানুয়ারি কলেজটি আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে।কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার এক দশক পার না হতেই ১৯৭৯ সালে নয়াভাঙ্গনী নদীর করাল গ্রাসে কলেজটি বিলিন হয়ে গেলেঅদম্য মুলাদীবাসীর প্রচেষ্টায় বর্তমান ক্যাম্পাসে স্থানান্তর করা হয়।
মুলাদী সরকারি কলেজে উচ্চমাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বি.এম শাখা, স্নাতক(পাস) এবং চারটি বিষয়ে স্নাতক(সম্মান) শ্রেণিতে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালিত হয়।কলেজটিতে প্রায় ৩৮০০ জনছাত্র-ছাত্রীঅধ্যয়ন করে চলেছে।বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ২০১৮ সালে কলেজটি জাতীয়করণ করেন।কলেজটিতে বর্তমানে ৪৫ জন শিক্ষক ০৪ জন অফিস স্টাফ ১৩ জন অফিস সহায়ক কর্মরত আছেন।দুইটি তিনতলা, একটি চারতলা, দুইটি দোতালা ভবন, শহিদ মিনার, পুকুর ও খেলার মাঠমিলে ক্যাম্পাসটি অনন্য বৈশিষ্ট্যতায় আসীন হয়েছে।
অভ্যন্তরীন, স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে খেলাধুলা, বিজ্ঞান মেলা, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড ও কর্মসূচীতে কলেজ অংশগ্রহণ করে পুরস্কার প্রাপ্তির মাধ্যমে অত্রাঞ্চলের মানুষের মধ্যে এসেছে চাঞ্চল্যতা। যাদের কর্ম প্রচেষ্টায় এ প্রতিষ্ঠানটি আজ মহিরুহে পরিনত হয়েছে তাদের অনেকেই ইহধামে না থাকলেও তারা সকলের মাঝে বেচেঁ থাকবে যুগ যুগান্তর।
১০.সরকারি পাতারহাট আর সি কলেজ
সরকারি পাতারহাট আর সি কলেজ বাংলাদেশের বরিশাল জেলার মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার অন্তর্গত একটি সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠিত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভূক্ত কলেজটি উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট, ডিগ্রি ও কিছু স্নাতক পর্যায়ের সার্টিফিকেট প্রদান করে। ১৯৭০ সালে বি.এ(পাস) কোর্স ও ২০১৬ সালে স্নাতক শ্রেনী খোলা হয়। ১ মার্চ ১৯৮৫ তারিখে কলেজটিকে প্রথম এমপিওভুক্ত করা হয়।
১১.হিজলা সরকারি কলেজ
সংক্ষিপ্ত নাম: হি.স.ক
নীতিবাক্য: শিক্ষা. শান্তি. প্রগতি
ধরন: সরকারি কলেজ
স্থাপিত: ১৯৮৪
অধ্যক্ষ: আ: রাজ্জাকক খান
ঠিকানা: খুন্নাগেবিন্দপুর, হিজলা, বরিশাল, বাংলাদেশ
অধিভুক্তি: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, বরিশাল
ওয়েবসাইট: http://hizladegreecollege.edu.bd/
হিজলা সরকারি কলেজ বাংলাদেশের বরিশালে হিজলায় অবস্থিত একটি সরকারি কলেজ । এই কলেজটি হিজলা কলেজ নামে পরিচিত। আধুনিক সুযোগ সুবিধা সহ শ্রেণীকক্ষ, গবেষণাগার, গ্রন্থাগার এবং সাধারণ কক্ষ রয়েছে। কলেজ রাজনৈতিক অস্থিরতা থেকে মুক্ত ফলে কলেজটি উপজেলার অন্যতম কলেজের স্বীকৃতি পেয়েছে।
ইতিহাস
বরিশাল জেলার তথা হিজলা উপজেলার ঐতিয্যবাহী কলেজ হলো হিজলা ডিগ্রী কলেজ । এই কলেজটি ১৯৮৪ সালে প্রতিস্ঠিত হয়। এই কলেজে প্রায় ৩০০০ জন ছাত্র ছাত্রি পড়াশোনা করে। বর্তমানে এই কলেজের প্রিন্সিপল হলেন জনাব আ: রাজ্জাকক খান। এই কলেজে এইচ এসসি, বিএ (পাসকোর্স) বাণিজ্য শাখায় পড়াশোনা করা যায়। পাসের হার শতকরা ১০০%। এছাড়া এইচ এস সি কারীগরি এবং বি এ উন্মক্ত পড়াশোনা করা যায়।
অবস্থান
হিজলা উপজেলা চত্বর থেকে মাত্র ০৫ মিনিটের মধ্যে অত্র কলেজে যাওয়া যায়। কলেজটি হিজলা উপজেলার খুন্নাগেবিন্দপুর মৌজায় অবস্থিত।
১২.সরকারী গৌরনদী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ
বিদ্যালয়ের ধরন: কলেজ
প্রতিষ্ঠাকাল: ২৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৪
অবস্থা: সক্রিয়
বিদ্যালয় বোর্ড: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
বিদ্যালয় জেলা: বরিশাল
অন্তর্ভুক্তি: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
ওয়েবসাইট: http://gournadicollege.edu.bd/
সরকারি গৌরনদী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ বাংলাদেশের বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলার অন্তর্গত একটি সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠিত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভূক্ত কলেজটি উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট, ডিগ্রি ও কিছু স্নাতক সম্মান পর্যায়ের সার্টিফিকেট প্রদান করে। ১৯৬৪ সালে বি.এ(পাস) কোর্স ও ১৯৯৯ সালে স্নাতক সম্মান খোলা হয়।
১৩.বাকেরগঞ্জ সরকারি কলেজ
বিদ্যালয়ের ধরন: কলেজ
প্রতিষ্ঠাকাল: ১ জুলাই ১৯৭০
স্থাপিত: ১৯৭০
অবস্থা: সক্রিয়
বিদ্যালয় বোর্ড: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
বিদ্যালয় জেলা: বরিশাল
অন্তর্ভুক্তি: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
ওয়েবসাইট: http://bkgc.edu.bd/
বাকেরগঞ্জ সরকারি কলেজ বাংলাদেশের বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার অন্তর্গত একটি সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। মির্জা আগা মুহম্মদ বাকের এর নামে বাকেরগঞ্জ প্রতিষ্ঠিত হয়। তিনি উড়িয়্যার নায়েব নাযিম দ্বিতীয় মুর্শিদ কুলি খানের জামাতা। তিনি তৎকালীন বরিশাল জেলার প্রধান অংশ বুযুর্গ উমেদপুর এবং সলিমাবাদ পরগনার জমিদার ছিলেন।মুঘল আমলের এ দু’টি পরগনা বৃহত্তর বরিশাল জেলার বিশাল অংশে বিস্তৃত ছিল। ১৭৪১ সালে আগা বাকের বুযুর্গ উমেদপুরে একটি বড় গঞ্জ প্রতিষ্ঠা করেন। নিজের নামে এ গঞ্জের নামকরণ করেন বাকেরগঞ্জ। বাকেরগঞ্জ তৎকালীন একটি গুরুত্বপূর্ণ বন্দর রূপে গড়ে উঠে। এ অঞ্চলে পারসিক ও আর্মেনীয় বণিক ও কাশ্মীরি খাজরা লবণ ও চামড়ার ব্যবসা করতেন। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী আমলে ১৭৪৭ খ্রিস্টাব্দে বাকেরগঞ্জ জেলা নামটি ১৭৯৭ থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত ছিল। ১৯৯৩ সালে বরিশাল বিভাগ সৃষ্টির ফলে বাকেরগঞ্জ নামটি জেলা থেকে বাদ দেয়া হয়। আগাবাকের খান এর স্মৃতি বিজড়িত বাকেরগঞ্জ নামটি বর্তমানে উপজেলাতেই সীমাবদ্ধ রয়েছে।
১৯৭০ সনে দেশের উত্তাল রাজনৈতিক সংঘাতময় বিপন্ন পরিবেশেও এলাকার কতিপয় শিক্ষানুরাগী নবীন-প্রবীণ ব্যক্তিবর্গ উচ্চ শিক্ষা বিস্তারের মহান ব্রত নিয়ে যে সাহসী ও প্রশংসনীয় পদক্ষেপ নিয়েছিলেন, তারই পরিপক্ক ফসল আজকের এই বাকেরগঞ্জ সরকারি কলেজ।
১৯৭৮ সনে তৎকালীন সরকার কর্তৃক প্রদত্ত অর্থে কলেজের অস্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তিত হয়ে স্থায়ী ঠিকানায় অবস্থান গ্রহণ করে। ১৯৮৩ সনে নির্মিত হয় মূল ভবন এবং পুরাতন বিজ্ঞান ভবন। ১৯৮৯ সনের ২৫ জুলাই এক সরকারি ঘোষণার মাধ্যমে বাকেরগঞ্জ কলেজটি সরকারি কলেজের মর্যাদা পায়।
১৪.আবুল কালাম ডিগ্রী কলেজ
বিদ্যালয়ের ধরন: কলেজ
প্রতিষ্ঠাকাল: ৮ জানুয়ারি ১৯৬০
অবস্থা: সক্রিয়
বিদ্যালয় বোর্ড: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
বিদ্যালয় জেলা: বরিশাল
অন্তর্ভুক্তি: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
ওয়েবসাইট: http://www.govtabulkalamcollege.info/
আবুল কালাম ডিগ্রী কলেজ বাংলাদেশের বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার অন্তর্গত একটি সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৯৭০ সালে প্রতিষ্ঠিত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভূক্ত কলেজটি উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট, ডিগ্রি ও কিছু স্নাতক পর্যায়ের সার্টিফিকেট প্রদান করে। ১৯৭৩ সালে বি.এ(পাস) কোর্স ও ২০০৩ সালে বি.এম শাখা খোলা হয়। ১ মার্চ ১৯৮৬ তারিখে কলেজটিকে প্রথম এমপিওভুক্ত করা হয়।