চট্টগ্রামের সেরা ১০ কলেজ-Top 10 colleges in Chittagong
চট্টগ্রাম বাংলাদেশের ৩য় বৃহত্তম শহর। চট্টগ্রাম শহরটি বন্দর শহর নামে ও পরিচিত। ঢাকার পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শহর হচ্ছে চট্টগ্রাম। চট্টগ্রাম বন্দর বিশ্বের প্রাচীনতম বন্দরগুলোর মধ্যে একটি। এই চট্টগ্রাম বন্দরটি তে অনেকগুলো উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। চট্টগ্রামের সেরা কলেজ সমূহ সম্পর্কে অনেকেই খোঁজ করেন। আপনাদের জন্য আজকে আমরা আলোচনা করব চট্টগ্রামের সেরা কলেজ সমূহ নিয়ে। কলেজের পড়াশোনার মান এবং বিগত দিনের পরীক্ষার রেজাল্টের উপর ভিত্তি করে চট্টগ্রামের সেরা কলেজ সমূহ পোষ্টে কলেজগুলো অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
১.চট্টগ্রাম কলেজ- Chittagong College
নীতিবাক্য: শিক্ষাই শক্তি
ধরন: সরকারি কলেজ
স্থাপিত: ১৮৬৯
অধ্যক্ষ: প্রফেসর মোজাহেদুল ইসলাম চৌধুরী
শিক্ষায়তনিক ব্যক্তিবর্গ: ১৬৯
প্রশাসনিক ব্যক্তিবর্গ: ৪০০
শিক্ষার্থী: ১৮০০০+ (বর্তমান)
অবস্থান: চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ
ওয়েবসাইট: www.ctgcollege.gov.bd
চট্টগ্রাম কলেজ বাংলাদেশের একটি শীর্ষস্থানীয় এবং ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এটি চট্টগ্রাম শহরের চকবাজার এলাকার কলেজ রোডে অবস্থিত। এই কলেজ বাংলাদেশ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এর অধিভুক্ত। এটি ঢাকা কলেজের পর প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশের ২য় কলেজ। ১৮৩৬ সালে চট্টগ্রাম জেলা স্কুল হিসেবে এই প্রতিষ্ঠানের জন্ম। প্রতিষ্ঠালগ্নের তেত্রিশ বছর পরে ১৮৬৯ সালে একে উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে উন্নীত করা হয়। তখন থেকেই এটি চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ বা চট্টগ্রাম কলেজ নামে পরিচিত হয়। কলেজটি চট্টগ্রাম শহরের চকবাজার এলাকায় কলেজ রোডে অবস্থিত। ৬ একর আয়তনের এই কলেজটি ঢাকা কলেজের পরে দ্বিতীয় কলেজ বাংলাদেশের মধ্যে।
১৯০৯ সাল থেকে এই কলেজে কলা বিভাগের পাশাপাশি উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের বিজ্ঞান বিভাগ চালু করা হয়।১৯১০ সালে তৎকালীন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম শ্রেণীর ডিগ্রী কলেজের স্বীকৃতি লাভ করে। বর্তমানে এই কলেজটি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত। এখানে মানবিক এবং বিজ্ঞান বিষয়ে ২০টি বিভাগ রয়েছে অধ্যায়নের জন্য। চট্টগ্রামের সেরা কলেজ সমূহ-এর এই কলেজে ১৫টি প্রাতিষ্ঠানিক এবং ১২টি আবাসিক ভবন নিয়ে চট্টগ্রাম কলেজের অবস্থান।
২.হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজ- Hazi Mohammad Mohsin College
নীতিবাক্য: জ্ঞানই আলো
ধরন: সরকারি
প্রতিষ্ঠাকাল: ১৮৭৪
অধ্যক্ষ: প্রফেসর মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম
শিক্ষার্থী সংখ্যা: ২০,০০০
ওয়েবসাইট: mohsincollege.edu.bd
হাজী মুহাম্মদ মহসীন কলেজ, চট্টগ্রাম একটি ঐতিহ্যবাহী সরকারি কলেজ। এটি চট্টগ্রাম শহরের কলেজ রোড এলাকায় অবস্থিত এবং চট্টগ্রাম কলেজের ঠিক উল্টো দিকে এটির অবস্থান। কলেজটি একটি পাহাড়ের উপরে অবস্থিত। এই কলেজের পর্তুগিজ ভবন নগরীর অন্যতম প্রাচীন স্থাপনা। মহসীন কলেজ চট্টগ্রামের নামকরা কলেজগুলোর মধ্যে একটি। এ কলেজে উচ্চমাধ্যমিক এবং স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে থাকে। নয়নাভিরাম ও মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক পরিবেশে ঘেরা এই কলেজ বাংলাদেশ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এর অধিভুক্ত।
১৮৭৪ খ্রিষ্টাব্দে দানবীর হাজী মুহাম্মদ মহসীন এর "মহসীন ফান্ড" এর অর্থায়নে চট্টগ্রাম মুহসেনীয়া মাদ্রাসা হিসেবে এ কলেজ প্রতিষ্ঠিত করা হয়। ১৯৭৯ সালের চট্টগ্রাম ইসলামিক ইন্টারমিডিয়েট কলেজ ও চট্টগ্রাম সরকারি ইন্টারমিডিয়েট কলেজ কে একত্রিত করে হাজি মহাম্মদ মহসিন কলেজ নামে নামকরণ করা হয়। এখানে শিক্ষার্থী সংখ্যা ২০,০০০। ১৯৭৯-৮০ শিক্ষাবর্ষে ডিগ্রী (পাস) কোর্স, ৯৬-৯৭ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) কোর্স, ৯৩-৯৪ শিক্ষাবর্ষে মাস্টার্স প্রথম পর্ব, এবং ৯৬-৯৭ শিক্ষাবর্ষে মাস্টার্স শেষ পর্ব প্রবর্তন করা হয়।
৩.ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ- Faujdarhat Cadet College
নীতিবাক্য: কথা নয় কাজ(Deeds not words)
স্থাপিত: ২৮ এপ্রিল ১৯৫৮; ৬৩ বছর আগে
প্রথম প্রধান শিক্ষক: উইলিয়াম মরিস ব্রাউন
শিক্ষাঙ্গন: ১৮৫ একর (০.৭৫ কিমি২)
ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ বাংলাদেশের (তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তান) প্রথম ক্যাডেট কলেজ। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে এবং জাতীয় ক্ষেত্রে এই ক্যাডেট কলেজের ছাত্ররা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। কলেজটি চট্টগ্রাম শহরের অদূরে ফৌজদারহাটে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে অবস্থিত। এই কলেজ থেকে ভাটিয়ারিতে অবস্থিত বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমীর দূরত্ব মাত্র ২ কিলোমিটার। কলেজের অদূরেই রয়েছে বঙ্গোপসাগর।
১৯৫৮ সালের ২৮ এপ্রিল নিউজিল্যান্ডের নাগরিক উইলিয়াম মরিস ব্রাউনের হাত ধরে এ কলেজের যাত্রা শুরু হয়। ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত এটি 'ইস্ট পাকিস্তান ক্যাডেট কলেজ' নামে পরিচিত ছিল। প্রাথমিকভাবে সেনাবাহিনীর জন্য যোগ্য কর্মকর্তা তৈরি করাই ছিল এ কলেজ প্রতিষ্ঠার মূল লক্ষ্য।
৪.সরকারি কমার্স কলেজ- Govt. Commerce College
নীতিবাক্য: প্রবেশ করো জ্ঞান অন্বেষণে
ধরন: সরকারি কলেজ
স্থাপিত: ১৯৪৭
অধ্যক্ষ: প্রফেসর সুসেন কুমার বড়ুয়া
শিক্ষায়তনিক ব্যক্তিবর্গ: ৩৩+ জন
প্রশাসনিক ব্যক্তিবর্গ: ৪৯+ জন
শিক্ষার্থী: আনুমানিক ৭,৫০০
ওয়েবসাইট: gcom.edu.bd
সরকারি কমার্স কলেজ, চট্টগ্রাম যা সরকারি বাণিজ্য কলেজ বা, শুধুমাত্র কমার্স কলেজ নামেও পরিচিত; বাংলাদেশের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলীয় শহর চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ এলাকায় অবস্থিত একটি কলেজ। দেশে মাত্র দুটি সরকারি কমার্স কলেজ এর মধ্যে এটি সবচেয়ে প্রাচীন। ৫ একর আয়তনের এই কলেজটি ১৯৪৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি বাণিজ্য বিষয়ে উচ্চতর শিক্ষা প্রদানের জন্য প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিলো। বর্তমানে এই কলেজে উচ্চমাধ্যমিক, স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয়। চট্টগ্রামের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত এই কলেজ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এর অধিভুক্ত।
১৯৪৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে এটি নিজ ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হচ্ছিলো। পরবর্তীতে এটি সরকারি স্বীকৃতি পায় এবং 'চট্টগ্রাম কলেজ অব কমার্স' থেকে 'গভর্নমেন্ট কলেজ অব কমার্স, চিটাগাং'-এ রূপান্তরিত হয়।
৫.সরকারি সিটি কলেজ- Govt. City College
ধরন: সরকারি কলেজ
প্রতিষ্ঠাকাল: ১৯৫৪
অধ্যক্ষ: প্রফেসর ড.সুদীপা দত্ত
শিক্ষার্থী সংখ্যা: ১৬০০০
ওয়েবসাইট: gccc.edu.bd
সরকারী সিটি কলেজ বাংলাদেশের চট্টগ্রামে অবস্থিত একটি সরকারি কলেজ। ১৯৫৪ সালে প্রতিষ্ঠিত এই কলেজটি প্রথমে আইন কলেজ হিসেবে যাত্রা শুরু করলেও বর্তমানে এখানে উচ্চ মাধ্যমিক থেকে শুরু করে স্নাতকোত্তর পর্যায়ের পাঠ দান চালু রয়েছে। স্নাতক পর্যায়ে এখানে ডিগ্রি (পাস) ছাড়াও ৪ বছর মেয়াদি সম্মান কোর্স চালু রয়েছে। সরকারী সিটি কলেজে শিক্ষার্থী সংখ্যা ১৬০০০ জন।
৬.চট্টগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজ- Chittagong Govt. Women's College
ধরন: সরকারি কলেজ
স্থাপিত: ১৯৫৭
অধ্যক্ষ: অধ্যাপক সুবীর দাস
শিক্ষার্থী: ৬৪২১
ওয়েবসাইট: cgwc.edu.bd/index.php
চট্টগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজ চট্টগ্রামের নাসিরাবাদ এলাকায় অবস্থিত চট্টগ্রাম জেলার প্রথম সরকারি মহিলা কলেজ। ১৯৫৭ সালের পূর্বে চট্টগ্রামে মহিলাদের জন্য আলাদা কোন কলেজের ব্যবস্থা ছিল না। তৎকালীন সময়ে চট্টগ্রাম কলেজ, কানুনগোপাড়া কলেজ এবং সাতকানিয়া কলেজে সহ-শিক্ষার ব্যবস্থা থাকলেও আসনসংখ্যা সীমিত থাকায় মহিলাদের কলেজীয় শিক্ষার প্রসার ঘটাতে বাদশা মিয়া চৌধুরী, সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী এবং মনমোহন বিশ্বাসসহ স্থানীয় শিক্ষানুরাগীগণ মিলে ১৯৫৭ সালের ১ জুলাই বর্তমান এমইএস কলেজ চত্তরে ভিক্টোরিয়া ইসলামিক হোস্টেলে নৈশ কলেজের দিবাবিভাগে ‘‘সেন্ট্রাল গার্লস কলেজ’’ নামে মহিলাদের জন্য একটি পৃথক কলেজ স্থাপন করেন। যেটি পরবর্তীকালে চট্টগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজ নামে পরিচিত হয়।
১৯৬১ থেকে ১৯৬২ সালের দিকে কলেজটি নাসিরাবাদ এলাকায় বর্তমান স্থানে স্থানান্তর করা হয়। চট্টগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজ এইচএসসি, অনার্স কোর্স, মাস্টার্স এবং ডিগ্রী কোর্স প্রদান করে।
৭.চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজ- Chattogram Cantonment Public College
ধরন: সামরিক বাহিনী পরিচালিত কলেজ
নীতিবাক্য: আল্লাহ আমাকে জ্ঞান দাও
প্রতিষ্ঠাকাল:১৯৬১
অধ্যক্ষ: কর্নেল মুজিবুল হক সিকদার, পিবিজিএম
অন্তর্ভুক্তি: বাংলাদেশ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
ওয়েবসাইট: ccpc.edu.bd
চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজ চট্টগ্রামে অবস্থিত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণাধীন একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এটি বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একটি। চট্টগ্রাম সেনানিবাসের পূর্ব সীমানা ঘেঁষে ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড কর্তৃক প্রদানকৃত প্রায় ২০ একর এলাকা জুড়ে অবস্থিত চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজ। চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্টের তৎকালীন স্টেশন কমান্ডার কর্নেল আহমেদ আলী শেখ, টি পিকে-এর আমন্ত্রণে পাকিস্তানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ফিল্ড মার্শাল মোহাম্মদ আইয়ুব খান এন পিকে, এইচ জে ১৯৬১ সালের ১৭ অক্টোবর তারিখে এই প্রতিষ্ঠানের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। ১৮৬০ সালের সমাজ নিবন্ধীকরণ (Society Registration) Act XXI অনুসারে গঠিত চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ফাউন্ডেশন কর্তৃক এই প্রতিষ্ঠানটি ১৯৬১ সালের ২৩ অক্টোবর যাত্রা শুরু করে
১৯৮১ সালে অত্র প্রতিষ্ঠানে কলেজ শাখা চালু হয়। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালিত দেশব্যাপী ২১টি পাবলিক স্কুল ও কলেজের মধ্যে ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত স্কুল শাখা সর্বশ্রেষ্ঠ হিসেবে বিবেচিত হয়। ২০১৪ সালের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড এ সাফল্যের তালিকায় জিপিএ-৫ পেয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ। কলেজের ২১৫ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছিল।
৮.ইস্পাহানী পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ- Ispahani Public School and College
নীতিবাক্য: শিক্ষা ব্রতে এসো, সেবার তরে যাও
ধরন: বেসরকারি
স্থাপিত: ১৯৭৯
প্রতিষ্ঠাতা: মির্জা আহমেদ ইস্পাহানী
অধ্যক্ষ: ব্রিগে:জেনারেল(অব:) মোঃ মোসলেহ্ উদ্দিন ভূঁঞা
শিক্ষায়তনিক ব্যক্তিবর্গ: ৫০; ৩২(স্কুল), ১৮(কলেজ)
ওয়েবসাইট: ipscctg.edu.bd
ইস্পাহানী পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ হলো চট্টগ্রামের জাকির হোসেন রোডে অবস্থিত একটি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এটি এমইএস কলেজের সম্মুখে অবস্থিত। চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের অধীন এই প্রতিষ্ঠানে প্রাথমিক, নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যক্রম চালু রয়েছে।
চট্টগ্রামে কোনো আবাসিক স্কুল না থাকায় শিক্ষানুরাগী ও দানবীর মির্জা আহমেদ ইস্পাহানি কুমিল্লা সেনানিবাসে প্রতিষ্ঠিত ইস্পাহানী পাবলিক স্কুল ও কলেজের অনরূপ একটি আবাসিক বিদ্যালয় হিসাবে ১৯৭৯ সালে ইস্পাহানী পাবলিক স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৮১ সালে একটি ত্রিতল ভবনে কেজি প্রথম শ্রেণী থেকে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে এর শিক্ষা কার্যক্রম শুরু। ১৯৮৯-৯০ শিক্ষাবর্ষ থেকে এখানে উচ্চ মাধ্যমিক শাখা চালু হয়েছে। ১৯৮৫ সালে এই এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরা প্রথমবারের মতো এসএসসি এবং ১৯৯১ সালে প্রথমবারের মতো এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে।
৯.ক্যান্টনমেন্ট ইংলিশ স্কুল এন্ড কলেজ- Cantonment English School & College
ক্যান্টনমেন্ট ইংলিশ স্কুল অ্যান্ড কলেজ চট্টগ্রাম সেনানিবাসে অবস্থিত একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এটি চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজ-এর নিকটে অবস্থিত। এ প্রতিষ্ঠানটি ১৯৯৮ সালে তার যাত্রা শুরু করে। প্রতিষ্ঠার সময় এর নাম ছিল ক্যান্টনমেন্ট ইন্টারন্যাশনাল স্কুল। .২০০৫ সালে এটি ক্যান্টনমেন্ট ইংলিশ স্কুল এর সাথে একত্রিত হয়। ২০১০ সালে এ প্রতিষ্ঠানটিকে উচ্চমাধ্যমিক শাখায় উন্নত করা হয় এবং এরপর এই প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করে ক্যান্টনমেন্ট ইংলিশ স্কুল এন্ড কলেজ নামে নামকরণ করা হয়।
১০.বি.এ.এফ. শাহীন কলেজ- BAF Shaheen College Chattogram
বিদ্যালয়ের ধরন: মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক
নীতিবাক্য: শিক্ষা, সংযম, শৃংখলা (Education, moderation, Discipline)
ওয়েবসাইট: https://www.bafsc.edu.bd/
বি এ এফ শাহীন কলেজ চট্টগ্রাম বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার সিটি কর্পোরেশন এলাকায় অবস্থিত। কর্নফুলি নদীর তীরে, বিমান বাহিনীর জহুর আহমেদ বিমান ঘাঁটির ভেতরে অবস্থিত। এটি চট্টগ্রাম অন্যতম ঐতিহ্যবাহী এবং মানসম্পন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
বি এ এফ শাহীন কলেজ ১৯৬০ সালে প্রতিষ্ঠিত একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এটি বাংলাদেশ বিমানবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত । চট্টগ্রামসহ সারা দেশে মোট ছয়টি শাহীন কলেজ রয়েছে। মূলত বিমান বাহিনীর সন্তান ও পোষ্যদের জন্য প্রতিষ্ঠিত হলেও সাধারণ শিক্ষার্থীরাও এখানে শিক্ষাগ্রহণের সুযোগ পায়। ছয়টি শাহীন স্কুল ও কলেজের মধ্যে চট্টগ্রামের বি এ এফ শাহীন কলেজ চট্টগ্রাম অন্যতম। এটি চট্টগ্রামের অন্যতম সেরা ও ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর অধীনে ১৯৭৮ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করা হয় । ১৯৮৫ সালের দিকে এ বিদ্যালয়টিকে কলেজ শাখা পর্যন্ত উন্নত করা হয়।
সাম্প্রতিক মন্তব্য
#রিফাত
আমি চাকরি করতে চাই