মুসলিম সামরিক শক্তির তালিকা ২০২৩- List of Muslim Military ২০২৪
List of Muslim Military Powers 2022

মুসলিম সামরিক শক্তির তালিকা ২০২২ - List of Muslim Military Powers 2022

সামরিক শক্তিকে কি দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে মুসলিম বিশ্ব? সামরিক শক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার ২০২২ সালের জন্য যে র‌্যাঙ্কিং প্রকাশ করেছে, তা দেখে অন্তত তাই মনে হচ্ছে। এই র‌্যাঙ্কিংয়ে থাকা ১৫টি মুসলিম দেশ তাদের অবস্থানের উন্নতি করেছে। সামরিক শক্তিতে অত্যাধুনিক অস্ত্রের সঙ্গে যোগ হয় সেনাদের শৃঙ্খলা, মনোবল এবং যুদ্ধ সক্ষমতা। এই তালিকায় সৌদি আরব, তুরস্ক, মিসর, ইরানের পাশাপাশি বাংলাদেশের নামও রয়েছে।

পাকিস্তান

চলতি বছরে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী মুসলিম দেশ হিসেবে আখ্যায়িত করা যায় পাকিস্তানকে। মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে একমাত্র পারমাণবিক শক্তিধর দেশ এটি। এই দেশের সেনাবাহিনীতে সদস্যসংখ্যা প্রায় ৭ লাখ। অপরদিকে রিজার্ভ আর্মি আছে পাঁচ লাখের উপরে। যেখানে দেশটির মোট জনসংখ্যা ১৮০ মিলিয়ন। ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তিতেও অগ্রগামী। সেনা, নৌ, বিমান, মেরিন, আধা সামরিক এবং এসপিডি বাহিনী নিয়ে পাকিস্তানি সশস্ত্র বাহিনী গঠিত।

পাকিস্তানের রয়েছে ৪ হাজার সাঁজোয়া ট্যাংক, ৪টি ডেস্ট্রয়ার যুদ্ধজাহাজ, ১৪টি ফ্রিগেট, ৮টি করভেট যুদ্ধজাহাজ, ২৮টি পেট্রল বোট, ৮টি সাবমেরিন, ৩২৫টি যুদ্ধবিমান, ৩০টি বোমারু বিমান, ২৫০টি জঙ্গি বিমান, ১১০টি সাঁজোয়া হেলিকপ্টার এবং ১১০টি পরমাণু অস্ত্র। পাকিস্তানের সামরিক বাজেট থাকে ৭.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

এটি দেশটির জিডিপির ২.৭ শতাংশ। পাকিস্তানের রয়েছে শক্তিশালী সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা। বিশ্বব্যাপী পাকিস্তানি এই সংস্থা আইএসআই নামে পরিচিত। পাকিস্তানি অস্ত্র ভাণ্ডারের প্রায় ৮০ শতাংশ চীন থেকে আমদানি করা হয়। এক সময় পাকিস্তান আমেরিকাসহ পশ্চিমা দেশগুলো থেকে বিপুল অস্ত্রশস্ত্র সংগ্রহ করত।

তুরস্ক

সামরিক সক্ষমতার দিক থেকে মুসলিম বিশ্বে অন্যতম শক্তিধর দেশ তুরস্ক। তুর্কি সামরিক বাহিনীর বর্তমান সদস্যসংখ্যা ৪ লাখ ১০ হাজার। আর রিজার্ভ সদস্য রয়েছে আরও এক লাখ ৭৮ হাজার ৭০০ জন। আধা সামরিক বাহিনীর সদস্যসংখ্যা এক লাখ ৫২ হাজার। সব মিলিয়ে দেশটির বর্তমান সামরিক জনশক্তি ৭ লাখেরও বেশি।

তুরস্কের সেনাবাহিনীর রয়েছে নিজস্ব বিমান, নৌ ও পুলিশিং ইউনিট। বাহিনীর উল্লেখযোগ্য যুদ্ধ সরঞ্জামের মধ্যে রয়েছে ট্যাংক ৩ হাজার ৭৭৮টি, আর্মারড ফাইটিং ভেহিকেল (এএফভি) ৭ হাজার ৫৫০টি, স্বচালিত কামান (এসপিজি) ১ হাজার ১৩টি, ভ্রাম্যমাণ কামান (টিএ) ৬৯৭টি, বহুমুখী রকেট ব্যবস্থা (এমএলআরএস) ৮১১টি।

বিমান বাহিনীর অধীনে রয়েছে ৯টি যুদ্ধবিমান ঘাঁটি। এ ছাড়া ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি ও ড্রোন ঘাঁটিসহ রয়েছে আরও ১১টি ঘাঁটি ও ৪১টি সোয়াড্রন, বিমানসংখ্যা এক হাজার ৭টি, যুদ্ধবিমান ২০৭টি, প্রশিক্ষণ বিমান ২৭৬টি, হেলিকপ্টার ৪৪৫টি, সামরিক হেলিকপ্টার ৬৪টি। এ ছাড়া তুরস্কের উল্লেখযোগ্য যুদ্ধবিমানের মধ্যে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি অত্যাধুনিক এফ ১৬ ফ্যালকন। তাদের আছে ইসরায়েলের তৈরি মনুষ্যবিহীন ১০টি বিমান আইএআই হিরন।

ইরান

বিপদের সময় কারও সাহায্যের অপেক্ষা না করে সচেষ্ট নিজেই স্বয়ংসম্পূর্ণ থাকতে। সে কারণেই নিজ দেশেই প্রতিরক্ষা খাত বেগবান করাকে উত্তম মনে করেছে। ইরানের ১৯ বছর বয়সী নাগরিকদের ১৮ মাস বাধ্যতামূলক সেনা প্রশিক্ষণ  নিতে হয়।

ইরানি সেনাবাহিনীর রয়েছে এক হাজার ৬৫৮টি ট্যাংক। এর মধ্যে ১০০টি নিজেরা তৈরি করেছে। তাদের সামরিক শক্তির মধ্যে রয়েছে আট হাজার ১৯৬টি পৃথক আর্টিলারি ডিভিশন সৈন্য। দুই হাজার ১০টি টানা আর্টিলারি ও ৮০০টি স্ব-নিয়ন্ত্রিত অস্ত্র। ইরানের রয়েছে ২০০টি রকেট সিস্টেম, পাঁচ হাজার  মর্টার এবং এক হাজার ৭০১টি বিমান বিধ্বংসী অস্ত্র।

ইরানের রয়েছে এক হাজার ৩১৫ আর্মার্ড ফাইটিং ভেহিকেল। মোট নৌবাহিনীর জাহাজ ৩৯৭টি, বাণিজ্যিক জাহাজ ৭৪টি, ফ্রিগেট ওয়ারশিপ ১২টি, করভেট যুদ্ধজাহাজ ৩টি, কোস্টাল ডিফেন্স জাহাজ ১১১টি, সাবমেরিন ৩৭টি। বিমান বহরে ইরানের রয়েছে প্রায় ৫০০টি বিমান। মিসাইল শক্তির দিক দিয়েও পিছিয়ে নেই। ইরানের দূরপাল্লার বা স্বল্পপাল্লার শক্তিশালী প্রায় ১ হাজারের বেশি মিসাইল রয়েছে। ইরানের এই মিসাইল শক্তি ইসরায়েলের যে কোনো স্থান ছাড়াও মধ্যপ্রাচ্যের যে কোনো স্থান অতিক্রম করে পূর্ব ইউরোপ পর্যন্ত হামলা করতে সক্ষম।

মিসর

মিসর প্রতিরক্ষা ট্যাংকসহ মাঝারি আকারের অস্ত্রশস্ত্র নির্মাণ করে। যুদ্ধের চেয়ে প্রতিরক্ষা বিষয়ে তারা বেশি আগ্রহী। গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার র‌্যাংকিংয়ে সামরিক শক্তিতে মিসরের অবস্থান দশম। মিসরের সশস্ত্র বাহিনী ১৮২০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এখানকার মোট জনসংখ্যা প্রায় সাড়ে ৯ কোটি। অ্যাক্টিভ ফ্রন্টলাইন পার্সসোনালের সংখ্যা চার লাখ চুয়ান্ন হাজার ২৫০ জন এবং রিজার্ভ পার্সোনাল সংখ্যা আট লাখ পঁচাত্তর হাজার জন। মিসরের ল্যান্ডসিস্টেমে অন্তর্ভুক্ত আছে মেইন ব্যাটল ট্যাংক, লাইট ট্যাংক, ট্যাংক ডেস্ট্রয়ার, আর্মোরড পার্সোনাল ক্যারিয়ার এবং ইনফেন্ট্রি ফাইটিং ভেহিক্যাল।

মিসরের মেইন ব্যাটল ট্যাংক চার হাজর ১১০টি, আর্মোরড ফাইটিং ভেহিক্যাল ১৩ হাজার ৯৪৯টি, সেলফ প্রপেলড গান ৮৮৯টি, টাওয়েড আর্টিলারি দুই হাজার ৩৬০টি, মাল্টিপল লাঞ্চ রকেট সিস্টেম রয়েছে এক হাজার ৪৮১টি। আফ্রিকা অঞ্চলের সবচেয়ে শক্তিশালী বিমানবাহিনী। মিসরের বিমানবাহিনীতে রাশিয়ান, আমেরিকান ও ফ্রেঞ্চ অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান অন্তর্ভুক্ত। তাদের মোট বিমান সংখ্যা এক হাজার ১৩২টি, ফাইটার ৩৩৭টি, ফিক্সড উইং এটাক ৪২৭টি, পরিবহন বিমান ২৬০টি, প্রশিক্ষণ বিমান ৩৮৪টি, হেলিকপ্টার ২৫৭টি, অ্যাটাক হেলিকপ্টার ৪৬টি।

মিসরের সেনাবাহিনী ও বিমানবাহিনীর পাশাপাশি নৌবাহিনীও বেশ শক্তিশালী। মিসরের নৌবাহিনীতে ২টি হেলিকপ্টার ক্যারিয়ার আছে। এ ছাড়াও অত্যাধুনিক ফ্রিগেট রয়েছে। করভেট আছে ২টি, সাবমেরিন ৫টি, কোস্টাল ডিফেন্স ক্রাফট ২২৭টি, মাইন ওয়ারফেয়ার ২৩টি আছে।

মরক্কো

মরক্কোর প্রায় ৩৪ মিলিয়ন জনসংখ্যা মুসলিম। দেশটির মাত্র ১ শতাংশ জনগণ ভিন্ন ধর্মাবলম্বী আছে। সামরিক শক্তিতে মুসলিম দেশের মধ্যে মরক্কো রয়েছে এগিয়ে। তাদের একটি শক্তিশালী বিমানবাহিনী আছে। একই সঙ্গে সামরিক শক্তিকে আরও জোরদার করেছে প্রায় ৪ লাখ সৈন্য। সেনাবাহিনীর অধীনে আছে প্রয়োজনীয় ব্যাটেল ট্যাংক, লাইট ট্যাংক এবং যুদ্ধযান। কমব্যাট ট্যাংকের সংখ্যা ১ হাজার ২৭৬টি, আর্মড ফাইটিং যান ২ হাজারের ওপরে, সেলফ প্রোপেলড আর্টিলারি ৪৪৮টি, টোয়েড আর্টিলারি ১৯২টি এবং রকেট প্রজেক্টর রয়েছে ৭২টি। বোঝাই যাচ্ছে সেনাবাহিনী শক্তির দিক থেকে পিছিয়ে নেই। একইভাবে বিমানবাহিনীও অনেক সমৃদ্ধ।

তাদের মোট বিমান ২৮৪টি। এর মধ্যে ফাইটার বিমান ৫৬টি, অ্যাটাক বিমান ৫৬টি, ট্রান্সপোর্ট বিমান ১১৬টি, ট্রেইনার বিমান ৮০টি এবং মোট হেলিকপ্টার আছে ১৩০টি। নৌশক্তিতেও পিছিয়ে নেই মরক্কো। তাদের নৌবাহিনীর রয়েছে নিজস্ব হেলিকপ্টার ক্যারিয়ার। বিশ্বের দরবারে তাদের এই সক্ষমতা যথেষ্ট সম্মানের সঙ্গে বিবেচনা করা হয়। মরোক্কোর রয়েছে নিজেস্ব সাবমেরিন। শুধু তাই নয় সাবমেরিনগুলো ডিজেল এবং বিদ্যুত্চালিত।

এগুলো কনভেনশনাল আঘাত এবং পারমাণবিক আঘাতে পারদর্শী। তাদের মোট নৌসম্পদ আছে ১২১টি। এর মধ্যে ফাইটার ৬টি, করভেটস ১টি, পেট্রোল ক্রাফটস ২২টি। এ ছাড়াও দেশটি প্রাকৃতিক শক্তিতে সমৃদ্ধ। তাদের যে পরিমাণ মজুদকৃত তেল আছে তা অনেক বড় ধরনের সাপোর্ট বলে মনে করা হয়। এটাকে তাদের জীবনীশক্তি হিসেবে দেখা হয়। যুদ্ধাস্ত্রে ব্যবহৃত যে কোনো ধরনের তেল তাদের কাছে আছে। প্রতিদিন ১৬০ ব্যারেল তেল উত্তোলন করা হয়।

সৌদি আরব

ঐতিহাসিকভাবে তেলসমৃদ্ধ একটি দেশ সৌদি আরব। মধ্যপ্রাচ্যের এই রাজতন্ত্র রাজনৈতিক এবং সামরিক ইস্যুতে দৃশ্যত কিছু দূরত্ব বজায় রাখে। অথচ বিশ্বের একমাত্র দেশ এটিই যারা অস্ত্র আমদানিতে সর্বোচ্চ অর্থ ব্যয় করে থাকে। দেশটিতে এমন কিছু অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র রয়েছে যেগুলো মার্কিন সেনাবাহিনীতেও প্রচলন হয়নি।

সৌদি আরবের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য সংখ্যা ২ লাখ ৫১ হাজার ৫০০। সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর পাশাপাশি রয়েছে এয়ার ডিফেন্স, স্ট্র্যাটেজিক ফোর্স ও ন্যাশনাল গার্ড নামে পৃথক বাহিনী। আকাশপথে শত্রুর মোকাবিলার জন্য ফাইটারসহ হামলা চালাতে সক্ষম এমন বিমান রয়েছে চার শতাধিক। সামরিক হেলিকপ্টার ২২৭টি, প্রশিক্ষণ বিমান রয়েছে ২৪৩টি। স্থলযুদ্ধের জন্য আছে এক হাজর ১৪২টি ট্যাংক, সাঁজোয়া যান আছে ৫ হাজার ৪৭২টি, অটোমেটিক ও সাধারণ কামান মিলে রয়েছে মোট ৯৫৪টি। এ ছাড়া রকেট প্রজেক্টর আছে ৩২২টি।

সামরিক নৌযানের মধ্যে সৌদি আরবের রয়েছে ৭টি ফ্রিগেট, ৪টি করভেটস, ১১টি টহল সামরিক জাহাজ ও ৩টি মাইন অপসারণ যান। সৌদি আরবের সর্বশেষ সামরিক বাজেট ৫ হাজার ৬৭২ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার। সৌদি আরবের অর্থনীতি মূলত তেলনির্ভর। দেশটির জাতীয় বাজেটের ৭৫ শতাংশ এবং রফতানি আয়ের ৯০ শতাংশ আসে তেল থেকে। সমগ্র বিশ্বের ভূগর্ভের অভ্যন্তরে খনিজ তেলের যে মজুদ রয়েছে তার পাঁচ ভাগের এক ভাগই সৌদি আরবে, পরিমাণে যা ২৬ হাজার কোটি ব্যারেল। তেল ছাড়াও দেশটির রয়েছে গ্যাস ও স্বল্পপরিসরের স্বর্ণখনি।

ইন্দোনেশিয়া

বর্তমানে মুসলিম বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি হিসেবে বিবেচিত ইন্দোনেশিয়া। দেশটির ৮৮ শতাংশ মানুষ মুসলিম। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে রয়েছে ছোট বড় প্রায় ১৩ হাজারের অধিক দ্বীপ। সামরিক দিক থেকে মুসলিম দেশ হিসেবে ইন্দোনেশিয়ার অবস্থান বেশ সম্মানজনক স্থানে রয়েছে। দেশটি বেশিরভাগ অস্ত্র দক্ষিণ কোরিয়া, জার্মানি ও ইংল্যান্ড থেকে কিনে থাকে। পাশাপাশি নিজস্ব প্রযুক্তিতে দেশেও অস্ত্রশস্ত্র উৎপাদন করে থাকে। ইন্দোনেশিয়ার সেনাবাহিনী প্রধান ব্যাটল হিসেবে অত্যাধুনিক লিওপার্ড ট্যাংক ব্যবহার করে। এ ছাড়াও জলভাগের আয়তন বেশি হওয়ায় উন্নতমানের ফ্রিগ্রেট, সাবমেরিন, পেট্রোল ভেসেল তৈরি করে। ইন্দোনেশিয়ার সামরিক বাহিনী অত্যন্ত আধুনিক।

ইন্দোনেশিয়ার মোট জনসংখ্যা প্রায় ২৬ কোটি। সার্ভিসের জন্য উপযুক্ত প্রায় ১১ কোটি। অ্যাক্টিভ ফ্রন্টলাইন পার্সোনালের সংখ্য চার লাখ ছিয়াত্তর হাজার এবং রিজার্ভ পার্সোনাল সংখ্যা চার লাখ। ইন্দোনেশিয়ার সেনাবাহিনীতে ট্যাংক ৪১৮টি, আর্মোরড ফাইটিং ভেহিক্যাল এক হাজার ৮৯টি, সেলফ প্রপেলড গান ৩৭টি, ওয়েড আর্টিলারি ৮০টি, মাল্টিপল লাঞ্চ রকেট সিস্টেম ৮৬টি।

তাদের বিমানবাহিনী এশিয়ার অন্যতম শক্তিশালী। ইন্দোনেশিয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া উভয় পরাশক্তির কাছে থেকেই যুদ্ধবিমান কেনে। মোট যুদ্ধবিমান ৪২১টি, ফাইটার ৩৯টি, ফিক্সড উইং অ্যাটাক ৫৮টি, পরিবহন বিমান ১৭০টি, প্রশিক্ষণ বিমান ১১১টি, হেলিকপ্টার ১৪৭টি, অ্যাটাক হেলিকপ্টার ৫টি। সেনাবাহিনী ও বিমানবাহিনীর পাশাপাশি ইন্দোনেশিয়ার নৌবাহিনীও বেশ শক্তিশালী। ইন্দোনেশিয়ার নৌবাহিনীতে ৪টি সাবমেরিন অন্তর্ভুক্ত ও একটি নির্মাণাধীন। এ ছাড়াও অত্যাধুনিক ফ্রিগেট ও করভেট অন্তর্ভুক্ত আছে।

বাংলাদেশ

মুসলিম দেশ হিসেবে সমরশক্তিতে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়। এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় ৩৩টি রাষ্ট্রের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৮তম। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতে নিয়মিত মোট কর্মীর সংখ্যা ১ লাখ ৬০ হাজার ও সংরক্ষিত বাহিনীতে রয়েছে ৬৫ হাজার কর্মী। দেশের প্রতিরক্ষা বাজেট হিসেবে রাখা হয় ১৫৯ কোটি মার্কিন ডলার। সম্প্রতি বাংলাদেশের নৌবাহিনীতে যুক্ত হয়েছে ‘নবযাত্রা’ ও ‘জয়যাত্রা’ নামে দুটি সাবমেরিন। টর্পেডো ও মাইন বহনকারী এই সাবমেরিন শত্রুজাহাজ ও অন্য সাবমেরিনকে আঘাত আনতে পারবে। সমরশক্তি বাড়াতে নৌবাহিনীতে রাখা হয়েছে মোট ১৬৬টি এয়ারক্রাফট। এর মধ্যে যুদ্ধবিমান ৪৫টি, অ্যাটাক এয়ারক্রাফট ৪৫টি এবং হেলিকপ্টার রয়েছে ৬১টি।

বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর মোট ট্যাংক রয়েছে ৫৩৪টি। সাঁজোয়া যান রয়েছে ৯৪২টি, ১৮টি স্বয়ংক্রিয় আর্টিলারি গান এবং ৩২টি রকেট প্রজেক্টর। ন্যাভাল অ্যাসেট হিসেবে আছে চারটি করভেট ও দুটি সাবমেরিনসহ ৯১টি তরী। শত্রু মোকাবিলায় বাংলাদেশ ব্যবহার করছে ৬টি ফ্রিগেট। এ ছাড়া মাইন ওয়ারফেয়ার ক্রাফট এবং বাণিজ্যিক নৌযানের দিক থেকে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। এ ছাড়াও আছে ৯৪২টি বিভিন্ন ধরনের সাঁজোয়া যান, ১৮টি কামান ও ৩২টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের যান। ২০১০ সালের পর থেকে বাংলাদেশ চীন থেকে পাঁচটি মেরিটাইম পেট্রোল ভেসেল, দুটি করভেট, ৪৪টি ট্যাংক, ১৬টি জেট ফাইটার, ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য জাহাজবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র কিনেছে। সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়নের জন্য ‘ফোর্সেস গোল ২০৩০’ নামে পাঁচ বছর মেয়াদি চার ধাপের একটি পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এর প্রথম ধাপ ২০১১-২০১৫ সফলতার সঙ্গে শেষ হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপ ২০১৬-২০২০ বাস্তবায়নাধীন। তৃতীয় ধাপ ২০২১-২০২৫ এবং চতুর্থ ধাপ ২০২৬-২০৩০ সালে বাস্তবায়ন করা হবে।

বর্তমানে দ্বিতীয় ধাপের অংশ হিসেবে সামরিক অস্ত্র কেনা হচ্ছে। সরকার গত পাঁচ বছরে সামরিক খাতে কেনাকাটার জন্য বেশ কয়েকটি চুক্তি করেছে। এ পর্যন্ত সশস্ত্র বাহিনীর জন্য ১৫ হাজার ১০৪ কোটি টাকার অস্ত্র, গোলাবারুদসহ বিভিন্ন ধরনের সামরিক সরঞ্জাম কেনা হয়েছে। আমাদের সামরিক বাহিনীর সদস্যরা জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে কাজ করে সুনাম কুড়িয়েছে। এদের অনেকেই আছেন বিদেশ থেকে উন্নতমানের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত।

যৌন হয়রানির দায়ে ৪৮ কর্মীকে বহিষ্কার করেছে গুগল
বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালি ৫টি মুসলিম দেশ - 5 Most Powerful Muslim Countries in the World
পারমাণবিক বোমা শক্তিধর দেশের তালিকা ২০২৩ - List of countries with nuclear bomb ২০২৪
বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ ২০২৩- The most powerful country in the ২০২৪
বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সামরিক শক্তি ২০২৩- Military power of Bangladesh and ২০২৪
ড্রোন কি? কিভাবে ড্রোন কাজ করে? - What is a drone? How do drones work?
বাংলাদেশের সামরিক শক্তি ২০২৪- Military power of Bangladesh 2024
সিম লাগাতেই শাওমি ফোন বিস্ফোরণ
পারমাণবিক বোমা আবিষ্কারের ইতিহাস - History of the invention of atomic bomb
হঠাতই বুড়ো হওয়ার হিড়িক!