ঋণের টাকায় হজ্জ করা যাবে কি?
হজ ফরজ ইবাদত। তবে তা সবার জন্য ফরজ নয়, যারা হজ করার সামর্থ্য রাখে কেবল তাদের ওপরই হজ ফরজ। কিন্তু কেউ যদি ঋণ করে হজ করতে চায়, তবে সে হজ করতে পারবে কি?
হজ সম্পর্কে অনেকের ধারণা সুস্পষ্ট নয়। হজ সবার ওপর ফরজও নয়। যারা কাবা শরিফ যাওয়ার সার্মথ্য রাখে তাদের জন্য জীবনে একবার হজ করা ফরজ। কোরআনুল কারিমের ঘোষণাও এমনই। আল্লাহ তাআলা বলেন-
وَلِلّهِ عَلَى النَّاسِ حِجُّ الْبَيْتِ مَنِ اسْتَطَاعَ إِلَيْهِ سَبِيلاً
‘মানুষের মধ্যে যারা সেখানে (কাবা শরিফ) পৌঁছার সামর্থ্য রাখে, তাদের ওপর আল্লাহর জন্য এ ঘরের হজ করা ফরজ।’ (সুরা আল-ইমরান : আয়াত ৯৭)
হ্যাঁ, ঋণ করে হজ করা যাবে। যদি এ ঋণ পরিশোধ করার সহজ উপায় থাকে। কিংবা যার কাছ থেকে ঋণ নেওয়া হবে, তার থেকে ঋণ পরিশোধের জন্য তাগাদা না থাকে। অন্যথা ঋণ করে হজ না করাই ভালো। কারণ সম্ভবত ঋণ করার পর তা পরিশোধ করার সামর্থ্য নাও হতে পারে। আবার রোগাক্রান্ত বা মৃত্যু হলে এ ঋণ পরিশোধ নাও হতে পারে। অতএব হজ করার জন্য পূর্ণ সামর্থ্যবান হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করাই উত্তম।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সব সামর্থ্যবানকে সময় মতো হজ করার তাওফিক দান করুন। ঋণ করে হজ করলে সে ঋণ পরিশোধের তাওফিক দান করুন। আমিন।
হজ্জ কি বা কাকে বলে?
হজ্জ আরবি শব্দ। এর আভিধানিক অর্থ হলো – ইচ্ছে করা, ঘোরাফেরা করা, সংকল্প করা, পর্যবেক্ষণ করা ইত্যাদি।
আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে কোরআন ও হাদিসের নিয়ম অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ে কাবা শরিফ এবং নির্দিষ্ট স্থান সমূহে তাওয়াফ ও জিয়ারত করাকে হজ্জ বলে।
হজ্জের ফরজ
হজ্জের ফরজ ৩ টি। এগুলো হলো –
১.ইহরাম বাঁধা
২.ওকুফে আরাফা অর্থাৎ, ৯ জিলহজ্জের দ্বিপ্রহরের পর হতে অর্থাৎ, সূর্য ঢলার পর হতে ১০ জিলহজ্ব সুবহে সাদিকের পূর্ব পর্যন্ত যেকোনো সময় আরাফার ময়দানে উপস্থিত থাকা।
৩.তাওয়াফে যিয়ারত করা। অর্থাৎ, ১০,১১ ও ১২ জিলহজ্জ তারিখের মাঝে কাবা শরীফ তাওয়াফ করা।
হজ্জের ওয়াজিব
হজ্জের ওয়াজিব ৬ টি। যথাঃ-
১.মীনায় অবস্থান করা
২.মুজদালিফায় রাত্রি যাপন করা
৩.মিনায় শয়তানের উপর পাথর মারা ও মাথা মুন্ডন করা
৪.কুরবানী করা
৫.সায়ী বা দৌঁড়ানো
৬.বিদায় তাওয়াফ করা
তথ্যসূত্র: জাগোনিউজ